ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে সরকার

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছেন, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটকে নতুন করে বাংলাদেশের মানুষসহ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য কাঁচা পাটের রফতানি নির্ভরতার হ্রাস করে পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে সরকার। বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও রফতানিতে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে বৈচিত্র্যকৃত পাটজাত পণ্য ও পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য কৃষিপণ্য যে ধরনের ব্যাংক ঋণ ও আর্থিক সহায়তা পায় পাটও কৃষিপণ্য হিসাবে সে ধরনের সহায়তা পাবে। এই সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। রবিবার রাতে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় কাঁচা পাট রফতানিকারক ও পাট ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। সভায় বাংলাদেশ জুট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমসহ পাট ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় পাট ব্যবসায়ীরা বলেন, কাঁচা পাট রফতানিতে সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকটাই দিশেহারা দেশের কাঁচা পাট রফতানিকারকরা। রফতানি নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন অনেক ব্যবসায়ী। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির স্বার্থে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পুনরায় কাঁচা পাট রফতানির সুযোগ দেয়ার দাবি জানান তারা। পাট প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পাট শিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ৬টি পণ্য যথা ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও ১২টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে।
×