অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারিয়েছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড। এমনকি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ইউনিট বরাদ্দ বিনিয়োগকারীরাও লোকসানে চলে গেছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের বরাদ্দ পাওয়া ইউনিটধারীদের একদিনেই লোকসান হয়েছে ২৫০ টাকা।
জানা গেছে, আইপিওতে আসার পর সোমবারই ফান্ডটির প্রথম লেনদেন হয়। কিন্তু ফান্ডটি শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। দিনশেষে ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৯.৫০ টাকা। অথচ ইউনিটধারীরা লাভের আশায় ফান্ডটি কিনেছিল। দিনটিতে ফান্ডটির সর্বোচ্চ মূল্য দাঁড়িয়েছিল ১১.১০ টাকা। পুরোদিন ফান্ডটির মোট ৩ লাখ ৫০ হাজার ৯১৫টি ইউনিটের লেনদেন হয়।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর দক্ষতার অভাবের কারণেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। যার কারণে প্রথম দিনেই বিনিয়োগকারীদের ফান্ডটি বাজারে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।
জানা গেছে, ফান্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। আর ৫০০ শেয়ার নিয়ে এর মার্কেট লট। মিউচুয়াল ফান্ডটির আকার ২০০ কোটি টাকা। ফান্ডটিতে উদ্যোক্তার অংশ ৪০ কোটি টাকা। এছাড়া প্রি-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৬৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বাকি ৯৫ কোটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়ছে। তবে ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে ফান্ডটির উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৫.২০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৩.৭০ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১.১০ শতাংশ ইউনিট রয়েছে।
গত ২ আগস্ট পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ডের প্রসপেক্টাস অনুমোদন করে। ক্লোজইন্ড এই মিউচুয়াল ফান্ডটির মেয়াদ ১০ বছর। ফান্ডটির উদ্যোক্তা রূপালী ব্যাংক লিমিটেড। ফান্ডটি পরিচালনা করবে ভ্যানগার্ড এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
ফান্ডটির ট্রাস্টি ও কাস্টোডিয়ান হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: