ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শব্দচয়নে বৈচিত্র্যপিয়াসী ব্রিটিশ রানী

প্রকাশিত: ০৬:০১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

শব্দচয়নে বৈচিত্র্যপিয়াসী ব্রিটিশ রানী

ব্রিটেনে ক্রিসমাস উপলক্ষে টেলিভিশন প্রোগ্রামের মধ্যে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ভাষণ অবধারিতই বলা চলে। তিনি ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর জাতির উদ্দেশে ৬৩টি ক্রিসমাস ভাষণ দিয়েছেন। তবে ৬৪ বছরে তার বলা ৪২ হাজার শব্দের মধ্যে তিন হাজার ৯৯১টি শব্দ স্বতন্ত্র যা কখনও তিনি পুনরায় ব্যবহার করেননি। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের (ইউএলসি) গণিত বিশেষজ্ঞদের হিসাবে এ কথা জানা গেছে। তারা দেখেছেন, রানী তার ভাষণে নাউন ও ফ্রেডের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন এবং ‘অব’ ও ‘দ্য’ এর মতো সাধারণ শব্দ এড়িয়ে গেছেন। তার ভাষণে বারবার ব্যবহৃত হওয়া শব্দের মধ্যে রয়েছে ‘ফ্যামিলিস’, ‘কমনওয়েলথ’, ‘চিলড্রেন’ ও ‘পিপলস’। ফ্রেস হিসেবে তিনি ‘ট্রাজিক এক্সাম্পল’, ‘শাইনিং এক্সাম্পল’ ও ‘উইক এ্যান্ড ইনোসেন্ট’ বারবার ব্যবহার করেছেন। গবেষক হানাহ ফ্রাই বলেন, রানী ১৯৫২ সালে সিংহাসনে আরোহণের পর থেকে ৬৩টি ক্রিসমাস ভাষণ দিয়েছেন। তিনি শুধু ১৯৬৯ সালে ভাষণ দেননি। তবে সেবার লিখিত বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি ওই সময় অনেক কিছুই বলতে পারতেন। তবে টেক্সট বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, রানী আসলে খুব কম কথা বলেছেন। সময়, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে তিনি কিছু শব্দচয়ণ করেছেন। সেগুলো খুবই চমৎকার এবং শব্দের পুনরাবৃত্তি হয়নি বলেই চলে। ভাষণে ১৯৫০ এর দশকে যিশু শব্দ উল্লেখ করা হয়নি বলেই চলে। এটি চলে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত। তবে ২০০০ সালে ২০ বার এবং ২০১১ সালে কয়েকবার এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাঁচ থেকে দশবার উল্লেখ করা হয়েছে। রাজা পঞ্চম জর্জ প্রথম রাজকীয় ক্রিসমাস ভাষণ দিয়েছিলেন। তবে তার সেই ভাষণ লিখেছিলেন লেখক রুডইয়ার্ড কিপলিং। ১৯৩২ সালে রেডিওতে এটি প্রচার করা হয়। তখন সময় বেছে নেয়া হয়েছিল বিকেল তিনটা। কারণ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিকাংশ দেশে এই ভাষণ শ্রোতাদের কাছে পৌঁছতে এটিই ছিল সেরা সময়। -ডেইলি মেইল
×