ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিলাঞ্চলে এখন চলছে বাউত উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

বিলাঞ্চলে এখন চলছে বাউত উৎসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ৫ ডিসেম্বর ॥ বিলাঞ্চলে এখন চলছে বাউত উৎসব। শীতের ভোরে প্রতিদিন বিভিন্ন বিলে শতশত মানুষ পলো দিয়ে মাছ শিকারের জন্য জমায়েত হচ্ছে। এরা সারিবদ্ধভাবে পলো নিয়ে মাছ শিকারে বিলে নামছে। গ্রামবাংলায় মাছ শিকারের এ উৎসবকে বলা হয় বাউত উৎসব। প্রতিদিনই এখন হাজার হাজার মানুষ চলনবিল, গাজনার বিল, ঘুঘুদহবিল ছাড়াও জেলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিলে এ উৎসবে মেতে উঠেছে। এক সপ্তাহ থেকে মৎস্যভা-ার চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলার খলিশাগাড়ি, ডিকসিরবিল, বড়াল নদী, গুমানী নদী, রতœাই নদী, করতোয়া নদী, ডেঙ্গার বিল, রুহুল বিল, সুজানগরের গাজনার বিল, সাঁথিয়ার ঘুঘুদহ বিলে পলো বাওয়া বা বাউত উৎসব বেশ জোরেশোরেই চলছে। পলো দিয়ে যারা বিলে মাছ ধরে তাদের বাউত বলা হয়। প্রতিবছর এ সময় এ এলাকার মানুষ এক সঙ্গে পলো দিয়ে বিলে উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ ধরে। চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, সুজানগর, সাঁথিয়া, পাবনা সদর এলাকার শত শত মানুষ দলবেঁধে এ বাউত উৎসবে যোগ দেয়। ভোরবেলা থেকে শুরু“ করে সকাল নয়টা পর্যন্ত দূর-দূরান্ত থেকে নছিমন, করিমন, অটোভ্যান, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলে আবার কেউবা হেঁটে রওনা হয় বিলের উদ্দেশে। তাদের হাতে থাকে মাছ শিকারের পলো, চাক পলো, নেট পলো, ঠেলা জাল, বাদাই জাল, লাঠিজালসহ নানা সরঞ্জাম। বিলপারে সবাই সমবেত হওয়ার পর একসঙ্গে বিলে নেমে মাছ ধরার আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধসহ নানা বয়স শ্রেণীপেশার মানুষও যোগ দেয় তাদের সঙ্গে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় বিল থেকে বর্ষার পানি প্রায় নিঃশেষ হবার পথে। মূল বিল, খালে কিছু পানি অবশিষ্ট রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে আসা কিছু পানি এসব খাল বিল বেয়ে আসে নদীতে। সে পানি প্রায় শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে এ এলাকার উৎসবপ্রিয় মানুষ যোগ দিয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাউত উৎসবে। মাছ পাওয়া না পাওয়া তাদের কাছে বড় কথা নয়, ব্যতিক্রমী এ উৎসবে যোগ দিয়ে আনন্দ উপভোগই মুখ্য। তবে অনেকেই বোয়াল, রুই, কাতলা, শোল মাছ শিকার করে বাড়ি ফিরেছেন আনন্দের সঙ্গে। কিশোরীগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ আহত ২০ স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ তুচ্ছ ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও বসতঘরের মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে কিশোরীগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব দলিরাম হাজিপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে রমজান আলী, সুজাতা বেগম, বুলবুলি, মমতা বেগম, মরিয়ম বেওয়া, আহম্মেদ আলী, ওবায়দুল ইসলাম ও মজিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে পূর্ব দলিরাম গ্রামের সেকেন্দার আলীর লোকজন জমির ধান কেটে বাড়ি নিয়ে আসছিল। এ সময় গ্রামের রমজান আলীর স্ত্রী আমেনা বেগমের শরীরে ধানের ভার লাগে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধ্যার পর সেকেন্দার আলীর পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে রমজান আলীর পক্ষের লোকজনের ওপর চড়াও হলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সেকেন্দার আলীর লোকজন রমজান আলীর বাড়ির মালামাল লুটপাট ও একটি গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।
×