ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নেপথ্যে জামায়াত শিবির চক্র ॥ এলাকায় আতঙ্ক

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পাকি অর্থায়নে নাশকতার ছক

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে পাকি অর্থায়নে নাশকতার ছক

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পাকিস্তানী নাগরিকের অর্থায়নে ঈদগাঁওতে জামায়াত-শিবির চক্র মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যু পুঁজি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও নাশকতার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ কারণে ঈদগাঁওতে জনমনে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আমান উল্লাহ চৌধুরী নামে এক পাকি নাগরিকের পরামর্শ ও অর্থায়নে এই নাশকতার ছক কষছে চক্রটি। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক নেতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। সূত্র মতে, পাকিস্তানে বসবাসরত আমান উল্লাহ ঈদগাঁও মাইজপাড়ার মরহুম মোস্তাক আহমদের ছেলে। তৎকালীন রূপালী ব্যাংক ঈদগাঁও শাখায় ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে ওই ব্যাংকের ১০ লাখ টাকা লুট করে প্রমাণাদিসহ সকল কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান পালিয়ে যান আমান উল্লাহ। সেখানে গিয়ে পাকিস্তানী নাগরিকত্ব হাতিয়ে নেন তিনি। ব্যাংক লুটের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়েরকৃত মামলায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সাজা ও অপর মামলায় অর্থদণ্ড দেন। এরপর থেকে দেশে আসতে না পেরে পাকিস্তানে বসে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে আঁতাত রেখে জঙ্গী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আদালত দ-িত আসামি আমান উল্লাহর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিলেও এখনও তা কার্যকর হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যু কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাও একই অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগকারী সাঈদীসহ বেশ কিছু যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কেন্দ্র করে চক্রটি ঈদগাঁওতে নানা নাশকতা চালিয়েছে। চক্রটির প্রধান হিসেবে নেতৃত্বে রয়েছে সাবেক শিবির ক্যাডার দিদারুল ইসলাম। ঈদগাঁও মেহেরঘোনায় মহাসড়কে পেঁয়াজ ভর্তি একটি ট্রাকে আগুন দিয়ে আলোচিত ঘটনার জন্ম দেয় সন্ত্রাসী দিদার। মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার নিরীহ লোকজন ওই চক্রের অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও কতিপয় রাজনৈতিক নেতার অদৃশ্য ইশারায় বার বার পার পেয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টিকল্পে শিবির ক্যাডার দিদারের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড জিয়াসহ কয়েক আরএসও জঙ্গী ইতোপূর্বে একাধিকবার বৈঠক করেছে। বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থার নজরে আসায় এক সপ্তাহ ধরে সেখানে মন্দিরগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ২৪ নবেম্বর ওই চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসী দিদার বাহিনীর প্রধান দিদারুল ইসলামকে গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার আওয়ামী লীগ নেতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ প্রেরণ করা হয়েছে।
×