ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শরীফা খন্দকার

অতলান্তিকের দেশ থেকে ॥ আমেরিকার উৎসব কেনাকাটার কালো-সবুজ রং

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

অতলান্তিকের দেশ থেকে ॥ আমেরিকার উৎসব কেনাকাটার কালো-সবুজ রং

গাছের সবুজ পাতা যখন শীতের বাতাসে ঝরে পড়েছে তখন চলতি সপ্তাহ শুরুর দিনটি অভিহিত হয়েছে গ্রীন মানডে নামে। লাল নীল সোনালি নানা রঙের কত দিন আছে দুনিয়াময়। দুঃখ বা দুর্দশার সঙ্গে জড়ানো কোন কোন দিনকে লোকে কালো বলেছে। কিন্তু ক্রিসমাস পরবের বিশাল শপিংয়ের জাদুর কাঠি আছে যে শুক্রবারের হাতে তার ভাগ্যে কেন জুটল ব্ল্যাক ফ্রাইডে নাম? হলিডে সিজনে একটি অনলাইন বিক্রির দিন সম্প্রতি যোগ হয়েছে সাইবার মানডে নামে। এর গায়ে কোন রং ছিটানো হয়নি যদিও তবু কেনাকাটার বাজারে তার ঝলক কম নয়। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে সবুজ সোমবার দর্শন দিচ্ছে একই পথ ধরে। সবুজকে জীবনের রং, প্রকৃতির রং বলা হলেও গ্রীন মানডে ধরিত্রীর নয়, পরিবেশেরও নয়, পথ ভোলা পথিকের মতো অন্য কারও। হলিডে সিজনে ২০০৯ সাল থেকেই বেনামে খ্যাত মার্কিন মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেশন এ্যান্ড ই-কমার্স কোম্পানি গ্রীন মানডেকে বেছে নিয়েছে বছরে তাদের বেচা বিক্রির সেরা দিন হিসেবে। আমেরিকান ইলেকট্রনিক কমার্স এবং ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি আমাজানও শামিল হয়েছে। অর্থশাস্ত্র থেকে আমরা সাধারণ মানুষ টাকার বর্ণ ধলা বা কালা শুনলেও অর্থনীতিতে ঐতিহ্যগতভাবেই ফিন্যান্স, ব্যাংকিং, টাকা এসবের রং হলো সবুজ। আর আমেরিকাসহ অনেক দেশে কাগজের টাকার রংটি সবুজই বটে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও সাইবার মানডের ব্যবসার পর টার্গেট, ওয়ালমার্ট, বেস্ট বাই ও জেসিপেনির মতো স্বনামখ্যাত চেন স্টোরগুলো পুনরায় বড় আকারের মূল্য হ্রাসে পণ্য বিক্রির দিন হিসেবে নিয়েছে সবুজ সোমবারকে। ব্যবসা সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘কম স্কোর’ জানিয়েছে শুরুর দু’বছরের মাথায় বড় দিনের অনলাইন বিক্রি ছিল ১ হাজার ১৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিজ্ঞাপনে বলা হচ্ছে কেনাকাটার জন্য এ বছরের ব্ল্যাক ফ্রাইডে এবং সাইবার মানডের দিন যারা হারিয়ে ফেলেছেন তাদের জন্য গ্রীন মানডেতে শপিং হতে যাচ্ছে যাকে ফরাসী ভাষায় বলে ‘দে জাঁ বুঁ!’ কালো শুক্রবার আসে যেন রাধিকার কানের শ্রীকৃষ্ণের ঘর ছাড়ানোর বাঁশি হয়ে। তবে ছোটবেলায় শুনেছিলাম গ্রাম দেশের কোন কোন মানুষকে নিশিতে পাওয়ার গল্প। ক্রিসমাসের আলোকজ্জ্বল শহরনগরে সেই গল্প মানুষের জীবনে সত্যি হয়, সে বড় আশ্চর্য কথা। এদেশে বসবাস করতে গিয়ে স্বচক্ষে দেখলাম নিশির ডাকের চাইতে কালো শুক্রবারের ডাক আরও সর্বগ্রাসী। ভোরের সূর্যোদয় অপেক্ষার সময় ক্ষয় করার অবকাশ নেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ভূতগ্রস্তদের। বৃহস্পতিবারের টার্কি ডিনারের ভোজ দুপুরেই নম নম সেরে অন্ধকার ঘনাবার আগেই গৃহের বাইরে বেরিয়ে পড়ে লাখো মানুষ। শীতের তীব্রতা, তুষারে আচ্ছন্ন পথ সব তুচ্ছ করে তারা যেন ছুটে যাচ্ছে দিগি¦দিক ভুলে। সে এমন এক এলাহী কা- চোখে দেখলেই কেবল বিশ্বাস যোগ্য। কেউ কেউ আবার নাকি ব্ল্যাক ফ্রাইডের কুহকসম আহ্বানে সাড়া দেয় ক’দিন আগে থাকতেই। গত বছরই তো নাকি তার আগের বছর টিভির খবরে দেখাল- মানুষ সেখানে তাঁবু খাটিয়ে ঘরছাড়া রাতযাপন করেছে প্রায় তেরাত্তির ধরে। সম্ভবত সেবার কিছু টিভি ২৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য ছাড়া কোথাও ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে সরকারী মার্কিন ছুটির দিন হিসেবে স্বীকৃত নয়। তা নাইবা থাকল, সওদা পাগলেরা অনেক আগে থেকে কালো দিনের ছুটি নিয়ে রাখে। থ্যাঙ্কস গিভিং ও উইকেন্ডের নিয়মিত ছুটির সঙ্গে পাওনা ছুটি হিসেবে নিয়ে নেয়। বছর দুয়েক আগে চিপেস্ট রিটেলার বলে খ্যাত ওয়ালমার্ট নামের দোকানের দরজা যখন খুলল তখন উন্মাদ ছুটন্ত মানুষের পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন একজন নিরাপত্তা কর্মী। মিডিয়ার খবরে জানা গেলো, হিংসাত্মক ঘটনায় গত ১০ বছরের মধ্যে কেবল প্রাণহানির ঘটনার রিপোর্ট হয়েছে ৭ এবং আহত হওয়ার সংবাদ মিলেছে ৯৮ জনের। কয়েক বছর যাবত ঘটা সহিংসতা এড়াতে এ বছর স্টোরের ভেতর ক্রেতাদের ঢোকানো হয়েছে মাথা গুনে গুনে আর লাইনের ব্যবস্থাটা অনেক দূরে ছিল বলে প্রায় নির্বিঘœ হয়েছে দিনটি। ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে বহু বছর ধরে রিটেলাররা ভোর ৬টায় স্টোর খোলার কথা ঘোষণা করতেন। কিন্তু দু’হাজার সাল থেকে কেউ কেউ সকাল ৫ এমনকি ৪ টাতেও খুলে দিতে লাগলেন তাদের দুয়ার। ২০১১ সাল থেকে যখন বিভিন্ন বিক্রেতা কোলস, মেসিজ, বেস্ট বাই ইত্যাদি বিপণন কেন্দ্র মধ্যরাতে খোলা রাখা শুরু করল। কিন্তু শ্রমিকদের ধর্মঘট আহ্বানের কারণে ওয়ালমার্ট ও অন্যান্য কিছু রিটেলার আবার সকাল ৬টায় দরজা খোলা শুরু করল। বড়দিনের মৌসুম উপলক্ষে বেসরকারীভাবে আনুষ্ঠানিক কেনাকাটা শুরুর সূচনা দিন হিসেবে থাঙ্কস গিভিংয়ের পরের শুক্রবারকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবে নির্ধারণ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তখন দু’হাজার ডলারের টিভি ৫০০তেও পাওয়া বিচিত্র নয়, আবার ৪০০০ ডলারের রেফ্রিজারেটর মিলতে পারে দু’হাজারেও। কয়েক বছর হলো আরও দেখা যাচ্ছে কালো দিনের বিক্রিবাট্টা দখল করে নিয়েছে বৃহস্পতিবার থাঙ্কস গিভিং ডে’র দুপুরটিও। গিন্নিমারা দুপুরে চার ঘণ্টার জন্য ওভেনে মেহমানদারির টার্কি বসিয়ে কাছাকাছি শপিং মলে ছুটছেন । অনলাইন জীবনকে যতই ঘিরে রাখুক আমেরিকার শপিং জাদুতে দোকানে দোকানে ঘুরে আজও কালো শুক্রবার হয়ে আছে অদ্বিতীয়। কারণ, এখনও বহু মানুষ চাক্ষুষভাবে দেখেশুনে কিনতে ভালবাসেন। পরবর্তী সময়ে ফেরত দেয়ার ঝামেলাও থাকে না। ইদানীং আবার দেখা যাচ্ছে আর এক নতুন উপদ্রব। অনলাইনে কেনা দ্রব্যাদি যখন ইউপিএস দিয়ে যাচ্ছে দুয়ারের সামনে আর তখন লোকজন গৃহে উপস্থিত না থাকলে চোরের দল সে সব গাড়ি ভরে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। বড়দিনের মৌসুম উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক কেনাকাটার বেসরকারী সূচনা হিসেবে আসে এই কালো শুক্রবার। কিন্তু ক্রিসমাস উৎসবের তখনও তো মাসখানেক বাকি- তবে কেন এমন উন্মাদ দশা! এর কারণ হচ্ছে কেবল সকালে বিক্রির জন্য কিছু আইটেম অবিশ্বাস্য রকম স্বল্পমূল্যে সেদিন বিক্রি করা হয়। জনপ্রিয় খেলনা ও ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদিসহ নানান প্রস্তুতকারক দেন অবিশ্বাস্য রকম মূল্য ছাড়। কোথাও ৭০ কিংবা ৮০% তার সঙ্গে রয়েছে কুপন ও গিফট কার্ড, সব মিলিয়ে কখনও কখনও জলের দাম। আমাদের দেশে পরব এলে ধনী, গরিব নির্বিশেষে সামর্থ্য অনুযায়ী কেনে জামা কাপড় ও খাবারদাবার। কিন্তু এদেশে সামর্থ্যবানরা কেনে মোটরগাড়ি, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, বিছানা, বালিশ, খেলনা, রান্নার হাঁড়িপাতিল, লেপ-তোষক, রেফ্রিজারেটর, ইলেক্ট্রনিক্স ইত্যাদি! দেশে শুনতাম, মাগনা পেলে মানুষ নাকি আলকাতরাও খায়। এদেশে অভিজ্ঞতা হলো সেলে পেলে কিছু মানুষ আলকাতরা অর্থাৎ খামোখা জিনিসও কেনে। ক্রিসমাসের লাল সবুজ বর্ণকে উপেক্ষা করে আলো ঝলমলে এমন বর্ণাঢ্য দিনটির নাম কেন দেয়া হলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে সে প্রশ্ন কেউ তুলতেই পারেন। অভিবাসী জীবন শুরুতে সেটা আমরাও ভেবেছিলামÑ সবচেয়ে বড় পরবের এমন দিনের রং কালো বলে খ্যাত হলো কেন। প্রবাসী জীবনের অনেকটা বছর পার করে শুক্রবার দিনের কালো রংয়ের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছিল আর সঙ্কুচিত হয়েছিলাম নিজের জ্ঞানভা-ারের তুচ্ছতায়। প্রখ্যাত বাংলা সাহিত্যিক অসুস্থ হুমায়ূন আহমেদ মৃত্যর আগে নিউইয়র্ক থেকে দেশের পত্রিকান্তরে পাঠানো একটি লেখায় পড়েছিলাম : এদেশে শনিবার ইহুদীর, রবিবার খ্রীস্টানের এবং শুক্রবারটি মুসলমানদের হওয়ার কারণে শুক্রবারের রং দেয়া হয়েছে কালো। বিদেশ বিভুঁইয়েও এখন প্রচুর পরিমাণে ধর্মান্ধ স্বদেশী মুসলিমের বাস এবং নিশ্চিতভাবে তারাই তাকে এমন তথ্যটি দিয়েছিল। আসলে ব্যবসা বা টাকার কোন ধর্ম থাকে না সেটি চলে মুনাফার আলাদা ধর্ম মতে। পুরনো ব্যবসাদার মানুষ জানেন, তাদের হিসাবের খাতায় মুনাফার অঙ্ক আদিকাল থেকে কালো কালি দিয়ে লেখা হয়েছে লাভের অঙ্ক এবং লাল কালি দিয়ে লেখা অঙ্কগুলো ক্ষতি হিসেবে। প্রকৃতঅর্থে ১৮১৯ সালে ওয়ালস্ট্রিটের স্বর্ণ বাজারকে দু’জন ফাটকাবাজ কর্তৃক ধ্বংস করার একটি বৃহৎ চক্রান্ত ব্যর্থ করে বিপর্যয়ের হাত থেকে উর্ধমুখী করা হয়েছিল নবেম্বরের এই শুক্রবারে। তারপর থেকেই হলিডে বাজারে এমন দিনকে ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামে স্মরণীয় করে রাখা হয়। আমাদের অভিবাসী জীবনের মাস দুয়েকের মাথায় আমেরিকায় এসেছিল উৎসবের মরশুম। তীব্র শীতের অনুভবে এক বন্ধুজনের বাড়িতে টার্কি পাখির রোস্ট ভোজনের মধ্য দিয়ে পেয়েছিলাম এক অজানা-অচেনা থ্যাঙ্কস গিভিং ডে। ইতিহাস অনুসারে, ১৬২০ সালে মে ফ্লাওয়ার নামে এক জাহাজে ইংল্যান্ড থেকে টেমস নদী পাড়ি দিয়ে আগত ইমিগ্র্যান্টরা আটলান্টিকের কূলে পৌঁছে ধন্যবাদ দিয়েছিল পরমেশ্বরকে। কিন্তু এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে বছরভর বিবাদবিসংবাদ ও যুদ্ধের কারণে তাদের জীবনে এসেছিল অনাহার মৃত্যু। ফলে বাধ্য হয়ে তারা একটি চুক্তিতে পৌঁছে আদিবাসীদের কাছ থেকে শিখে নিল কী করে ফসল ফলাতে হয়, শীতকালের জন্য সেগুলো সংরক্ষণ করতে হয়। পরবর্তী বছর শস্যের প্রচুর উৎপাদনের পর তারা রেড ইন্ডিয়ান নেতাদের জন্য আয়োজন করল একটি ধন্যবাদ বিনিময় ভোজ এবং যার মূল খাদ্য ছিল টার্কি নামক জঙ্গলের সহজলভ্য পাখির সঙ্গে উৎপাদিত শস্যের আহার। বাংলাদেশে বনবাদাড়ে যখন প্রচুর পাখি বাস করত তখন এই টার্কি পাখিটিকে বাঙালীরা চিনত তিতির কিংবা বন মোরগ নামে। আমেরিকার স্বাধীনতার পর ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য সেই দিনটিকে থাঙ্কস গিভিং ডের ফেডারেল হলিডে হিসেবে বেছে নেয়া হলো। প্রতিবছর নবেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার থাঙ্কস গিভিং ডের টার্কি বার্ড ভোজের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয় ক্রিসমাসের আলোর দিনে। আমার জেনারেশনের মার্কিন বাঙালীদের উৎসবের ভোজ্যদ্রব্য সাধারণত পোলাও-কোর্মা, বিরিয়ানি, কাবাব ইত্যাদি। থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে সঙ্গে টার্কি রোস্ট অবশ্যই হয়। কিন্তু ধন্যবাদ দিনের ডিনারে অন্য আমেরিকানরা কী খান কারও জানবার সাধ হতেই পারে। টার্কি পাখির রোস্ট তো রইলই কিন্তু সঙ্গে আর কী কী? আমার নতুন প্রবাসী জীবন থেকে এক সহকর্মীর উচ্ছ্বসিত বৃত্তান্তটি শোনাই। থ্যাঙ্কস গিভিংয়ের পরদিন অফিসে বসে তার আন্টের বাড়ির ডিনারের বয়ান করছিল সে। আর আমি কান পেতে অতি আগ্রহে সেটি শুনছিলাম। -‘দে হ্যাড এভরিথিং, এভরিথিং ...! মাই আন্ট কুকড দ্য টার্কি রোস্ট, উই কুকড ম্যাকারনি এ্যান্ড চিজ- অন্যরা কেউ এনেছিল মেশ পটেটো এ্যান্ড গ্রেভি, কেউ এনেছিল সেদ্ধ ভুট্টা, মিষ্টি আলু, সুইট পটেটো পাই ...।’ সেদিন মুজতবা আলীর দেশে বিদেশের এক গল্প মনে পড়েছিল। লন্ডনে বাড়িওয়ালীর কন্যা ও জামাতা আসছে। দেশের কোন এক পিসির জামাই আপ্যায়নের স্মৃতি নিয়ে তিনি ভাল-মন্দ খাবার আশায় ঘুর ঘুর করছিলেন রান্নাঘরে- কী রাঁধছ আজ জামাইয়ের জন্য? শাশুড়ির উত্তর ছিল মজাদার- নতুন কি আর, প্রতিদিন যা রাঁধি। শুধু বেশি করে কিছু আলু সেদ্ধ দিলাম। বেটা আবার আলুটা খুব ভালবাসে তো! দেখ খাবার সময় তোমাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে নইলে তোমার ভাগেরটাও ও কিন্তু মেরে দিতে পারে! রসিকতা করে এই গল্পটা বললাম ঠিকই আসলে ওগুলোই ঐতিহ্য অনুসারে ধন্যবাদ দিনের খাবার! লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী
×