ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধুর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স

প্রকাশিত: ০১:১৪, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

বঙ্গবন্ধুর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফেরত আনতে কাজ করছে টাস্কফোর্স

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে গঠিত টাস্কফোর্স কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের ছবি সম্বলিত তথ্য প্রেরণ করে তাদের অবস্থান চিহ্নিতপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দন্ড কার্যকর করতে আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত টাস্কফোর্স দন্ডপ্রাপ্ত খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর উক্ত টাস্কফোর্সটি পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স একাধিক সভায় মিলিত হয়ে জাতির পিতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম মাহজাবিন খালেদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ সর্বদা সীমান্ত রক্ষা ও সীমান্তের বসবাসকারী জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছে। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যা বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সর্বোচ্চ নেতৃত্ব পর্যায়ে আলোচিত হয়েছে। তিনি জানান, ভারতীয় সরকার সীমান্তে হত্যাকান্ড বন্ধ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে বিএসএফ প্রাণঘাতি মরণাস্ত্র ব্যবহারের পরিবর্তে নন-লেথাল উইপেন ব্যবহার করছে। সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যাকান্ড পূর্বের তুলনায় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। আশা করা যায় আগামী দিনগুলোতে তা আরও হ্রাস পাবে। সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মানব পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশ গমনকালে ২০১৫ সালে ২৩০ জন এবং অদ্যাবধি সর্বমোট ১ হাজার ৭৩৬ জন বিদেশগামী নাগরিককে সাগর থেকে আটক করা হয়েছে। বেগম জেবুন্নেছা আফরোজের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ পুলিশের মোট মঞ্জুরীকৃত জনবল ১ লাখ ৯৪ হাজার ২৮৩। বর্তমানে নারী পুলিশের শতকরা হার ৬ দশমিক ৮৫ ভাগ। নারী পুলিশ সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা পুরুষ পুলিশ সদস্যদের চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা।
×