ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দারিদ্র্য কমলেও নগর দারিদ্র্য এ সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ: সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:১২, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

দারিদ্র্য কমলেও নগর দারিদ্র্য এ সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ: সংসদে পরিকল্পনামন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমলেও নগর দারিদ্র্য এ সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। কারন নগরের বসতিবাসীরা এখনও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আসেনি। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে দেশে নগরায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে শহরমুখী মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি জানান, গ্রামীণ উন্নয়ন তথা অবকাঠামোগত ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবার পরও উন্নত জীবন-যাপন, বেশি আয়ের আশা, গ্রামের নদী ভাঙ্গন ইত্যাদি কারণে মানুষ শহরমুখো হচ্ছে। এছাড়া অপুষ্টি, জলবায়ুজনিত পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এবং ভৌগলিক কারণে সৃষ্ট দারিদ্র্যের ফলে গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের চাপ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ফলে নগর বা শহরগুলোতে অতি দরিদ্র্য জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। শহরে দরিদ্রদের সার্বিক জীবনমান অনেক নিচে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নগর দারিদ্র্য একটি নতুন সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। তিনি আরও জানান, নগর দারিদ্র্য নিরসনে সরকার অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। নগরের বাসিন্দারা এখনো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পুরোপুরি আসেনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন ওএমএস-এর মাধ্যমে নগরের দারিদ্র্যেদের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। নগরের সঙ্গে গ্রামীণ এলাকার সংযোগ বৃদ্ধিসহ নাগরিক সুবিধা সেখানে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি নগর দারিদ্র্য হ্রাসে স্বল্প আয়ের নগরবাসীর জন্য পৃথক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, সরকার নগরের ওপর চাপ কমাতে দেশের বিভিন্নস্থানে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ওই সব স্থানে কাজের সুযোগ বাড়বে। ফলে শহরমুখী লোকের সংখ্যা কমে আসবে।
×