ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বেড়ে হচ্ছে তিনগুণ

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বেড়ে হচ্ছে তিনগুণ

অনলাইন রিপোর্টার॥ জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বর্তমান দেড়গুণ থেকে বাড়িয়ে তিনগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন-২০১৬ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ‘যেহেতু আইনটি ভূমি সংক্রান্ত ও জটিল এজন্য এটাকে আরও বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনার জন্য আইনমন্ত্রীকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভূমি সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব হবেন এ কমিটির সদস্য, কমিটি মনে করলে আরও সদস্য কো-অপ্ট (অন্তর্ভুক্ত) করতে পারবে। কমিটি ভেটিংসহ (আইন মন্ত্রণালয়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা) আইনটি চূড়ান্ত করবে।’ খসড়া আইনে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ‘পাবলিক পারপাস’ ও ‘পাবলিক ইন্টারেস্ট’ বলে দুটি শব্দ আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘দুটি শব্দ সত্যিকার অর্থে কি বুঝায় এটা ব্যাপক বিশ্লেষণ করে যেন আইনে সন্নিবেশিত করা হয় এজন্য কমিটিকে বলা হয়েছে। আইনে যা আছে তা দিয়ে শব্দ দুটির অর্থ বিস্তারিতভাবে বুঝা যাচ্ছে না।’ ‘হাইকোর্টের কিছু অবজারভেশনও আছে, সেগুলোর আলোকে এটিকে (অধিগ্রহণ আইন) রিফ্লেক্ট (প্রতিফলন) করা।’ এই আইনটি হলে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন আসবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘জমির ক্ষতিপূরণ দেড়গুণের মধ্যে আছে, সেটা হয়ে যাবে তিনগুণ। অধিগ্রহণ করা জমির মূল দাম যদি এক কোটি টাকা হয়, (নতুন আইন অনুযায়ী) এর সাথে আরও ২০০ ভাগ যুক্ত হয়ে ৩ কোটি টাকা (ক্ষতিপূরণ পাবে মালিক) হবে। অর্থাৎ মূল মূল্যের তিনগুণ।’ মূল দাম কীভাবে নির্ধারিত হবে- একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এক্ষেত্রে প্রচলিত আইন হল বিগত বছরের ১২ মাসের জমি (একই মৌজায় একই শ্রেণির জমি) কেনাবেচার দলিলের (বিক্রিত জমির দামের) অ্যাভারেজ (গড়)।’ জমি অধিগ্রহণের বর্তমান অধ্যাদেশটি ১৯৮২ সালের জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘সেটাকেই মোটামুটি বাংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। এখন আইনের একটা বড় সমস্যা হল ক্ষতিপূরণ কম। এছাড়া এটা মার্শাল ল আমলের আইন। কোর্টের আদেশ আছে মার্শাল ল আমলের আইনকে বাংলায় অনুবাদ করে নতুনভাবে করতে হবে। এজন্য নতুন আইনটি আনা হয়েছে।’ এছাড়া আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক অধ্যাদেশ-২০১৬ আইন আকারে জারি করা হয়েছে। অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ লজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস আইন-২০১৬ খসড়াও। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরি সফর সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
×