ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কফির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

কফির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয় পানীয়। পানির সঙ্গে ফুটিয়ে রান্না করা ‘কফি বীজ’ নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুঁড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়। এই বীজ কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ। ৭০টি দেশে এই ফলের গাছ জন্মে। সবুজ কফি বিশ্বের সব থেকে বেশি বিক্রীত কৃষিপণ্যের একটি। কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ রয়েছে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। কফির মধ্যে থাকা উপাদান ক্যাফেইনের জন্য কফি মানুষের ওপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে ও উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। চায়ের পর কফি বিশ্বের অত্যধিক জনপ্রিয় পানীয়। সকাল, সন্ধ্যায় এবং রাতে অনেকেই কফি পান করে থাকেন। কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে কফি শরীরের পক্ষে উপকারী। কিন্তু কফি পান নেশায় পরিণত হলে সেক্ষেত্রে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন, জেনে নেয়া যাক কেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। ১. প্রতিদিন সকালে খালিপেটে কফি খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড তৈরি হতে পারে। এই ধরনের এ্যাসিড খাবার পরিপাকে ব্যবহৃত হয়। পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোক্লোরিক এ্যাসিড থাকলে খাবারের পরিপাক দ্রুত গতিতে হয়। ফলে বদহজমসহ নানা ধরনের পেটের সমস্যা হতে পারে। ২. কফির বীজে ক্যাফেইন ও অন্যান্য অম্লীয় উপাদান থাকে যা পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি করে আলসার, গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ৩. কফির পরিমাণ বেশি হলে কিডনিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানা গেছে বিভিন্ন গবেষণা থেকে। এতে কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্ষম ব্যাহত হতে পারে। ৪. উচ্চ তাপমাত্রায় কফির বীজ থেকে কফি তৈরির সময় এতে ক্যান্সারের প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান তৈরি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কফি খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পায়। ৫. কফি খেলে শরীরে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পেলেও এটি স্নায়ুতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। দীর্ঘদিন ধরে একটানা প্রচুর পরিমাণে কফি খেলে স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে। যাপিত ডেস্ক
×