ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উপনির্বাচনে ইইউপন্থী লিবডেম পার্টির জয়েহুঁশিয়ারি কনজারভেটিভ নেতাদের

আগামী নির্বাচনে হারতে পারে ক্ষমতাসীন টোরিরা

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আগামী নির্বাচনে হারতে পারে ক্ষমতাসীন টোরিরা

ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ (টোরি) পার্টি যদি ইউকিপ পার্টির অনুকরণের দিকেই মনোনিবেশ করে এবং ব্রেক্সিট প্রশ্নে অনড় থাকে তবে দলটি পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে হেরে যেতে পারে। পার্টির কয়েক সাবেক মন্ত্রী ও পার্লামেন্ট সদস্য এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-কে সতর্ক করে দিয়েছেন। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। বৃহস্পতিবার রিচমন্ড পার্ক উপনির্বাচনে ইইউপন্থী লিবডেম পার্টির সদস্য সারাহ অলনি জয়লাভের পর টোরি দলের সাবেক সিনিয়র সদস্যরা এখন নড়েচড়ে বসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নির্বাচনে টোরি দলের বহু ভোটার লিবডেম প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। উপনির্বাচনের ফল সাম্প্রতিক সময়ে কনজারভেটিভ পার্টির জন্য একটি বড় ধাক্কা বলেই বিবেচিত হচ্ছে। হিথরো বিমানবন্দরের তৃতীয় রানওয়ে নির্মাণ নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতভেদ দেখা দেয়ায় অক্টোবরে টোরি এমপি জ্যাক গোল্ডস্মিথ পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়েছিল। উপনির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন। গোল্ডস্মিথ ছিলেন ইইউ ত্যাগ বা ব্রেক্সিটপন্থী এমপি। গত এক দশকের মধ্যে লিবডেম পার্টি এখন সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। দলটির নেতা টিম ফ্যারন বলেছেন, তাদের লক্ষ্য এখন পার্লামেন্টে টোরি আসনগুলো দখল করা। রিচমন্ড পার্ক উপনির্বাচনের ফল প্রধানমন্ত্রী মে-এর জন্য একটি সতর্ক বার্তা বলে অবজারভার পত্রিকায় এক নিবন্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন সাবেক টোরি মন্ত্রী ডোমিনিক গ্রিভ, এ্যালিস্টার বার্ট ও ক্লেয়ার পেরি, শিক্ষা বাছাই কমিটির সাবেক প্রধান নেইল কারমাইকেল এবং বাথ এলাকা নির্বাচিত এমপি বেন হলেট। তারা আরও লিখেছেন, টোরি সমর্থক ভোটারদের একটি বড় অংশ ইইউকে সমর্থন করে। তারা চায় না ব্্েরক্সিটপন্থীদের সব কথায় সরকার সায় দিক। অথবা তারা এটাও চায় না যে, কনজারভেটিভ পার্টি ইউকিপ পার্টির আরেকটি সংস্করণে পরিণত হোক। যদি তাই হয় সেটি দলের জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে না। তারা আরও লিখেছেন, সরকার তাদের কথা শুনুক - সংখ্যাগরিষ্ঠ টোরি সমর্থকরা এটি আশা করে। যদি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয় তবে দলের জন্য ভোটার হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মধ্যপন্থী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটাররা যদি অন্য দলকে ভোট দেয় তবে আগামী সাধারণ নির্বাচনে টোরি দলের ভরাডুবি হতে পারে। লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুসারে আগামী মার্চে ব্রেক্সিট ইস্যুতে সরকারের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু তার আগেই এ বিষয়ে মে-কে তার অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য ওই নিবন্ধে আহবান জানানো হয়েছে। তারা জানতে চান সরকারের কি এ বিষয়ে নিজস্ব কোন অবস্থান রয়েছে নাকি ব্রেক্সিটপন্থীদের দাবি পূরণ করাকেই নিজের করণীয় ঠিক করে নিয়েছে মে’র প্রশাসন। বৃহস্পতিবারের উপনির্বাচনে ব্রেক্সিটপন্থীদের ব্যাপক প্রচারাভিযান সত্ত্বেও ইইউপন্থী সারাহ অলনি জিতেছেন। সরকার অবশ্য বলছে, উপনির্বাচনের ফল এ বিষয়ে তেমন কোন গুরুত্ব বহন করে না। ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন থেকে পিছু হটার কোন সুযোগ নেই।
×