ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে মোদি

স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সন্ত্রাসবাদের অবসান চাই

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬

স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে  সন্ত্রাসবাদের অবসান চাই

আফগানিস্তান ও এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার অবসান অত্যন্ত প্রয়োজন। ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরে ষষ্ঠ হার্ট অব এশিয়া সম্মেলনে আগত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা সারতাজ আজিজসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের এ কথা বলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‘আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা ও শান্তি’ এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলেও ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘিরেই উত্তপ্ত হার্ট অব এশিয়া। আজিজ সম্মেলনে যোগ দিলেও কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন না। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে মোদি রবিবার সম্মেলনে বলেন, জঙ্গীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে হবে যারা জঙ্গী কার্যকলাপকে আশ্রয় ও ইন্ধন দিচ্ছে। জঙ্গী কার্যকলাপের নিন্দার পাশাপাশি ভারত-আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়েও মোদি বলেন, ভারত বা আফগানিস্তান জঙ্গী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে চুপ করে থাকলে ক্ষতি এই দু’দেশেরই হবে। আর আফগানদের শান্তি সুরক্ষিত করতে শুধু ভারত বা পাকিস্তানকে কাজ করলেই হবে না, কাজ করতে হবে এশিয়ার সব দেশকেই। এদিকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, আফগান পুনর্গঠনে ইসলামাবাদ যে ৫০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে ব্যবহার করলেই ভাল হবে। সীমান্ত পারের সন্ত্রাস সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় এবং এজন্য সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে আমাদের সহায়তা প্রয়োজন। তিনি বলেন, দাগী জঙ্গী নেতারা অনেক সময় বলেছে, পাকিস্তানের প্রশাসনের মদদেই সেখানে শান্তিতে ঘাঁটি গেড়েছেন তারা। সম্মেলনে আফগান প্রেসিডেন্ট পাক উপদেষ্টা আজিজকে উদ্দেশ করে বলেন, আমাদের সীমান্তপারের সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তহবিল গঠন করা প্রয়োজন। আফগানিস্তানের উন্নয়নের জন্য পাকিস্তান ৫০ কোটি ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আজিজ এই অর্থ পাকিস্তান চরমপন্থীদের দমনে ব্যবহার করতে পারে। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, চীন, ইরান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, পাকিস্তান, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা না এলেও এসেছেন তাদের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও এই সম্মেলনের সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, স্পেন, ইরাক, ইতালিসহ ১৭টি দেশ।
×