ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৪ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রাইম ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা

বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ব্যবসায় প্রশাসনে একজন স্নাতক (বিবিএ), স্নাতকোত্তর (এমবিএ) তার কর্মজীবনে আকর্ষণীয় বেতন, উন্নত সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটিয়ে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদগুলোতে কাজ করার সুযোগ পান। বিশ্বব্যাংক বা কোন আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার এবং দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করছে চার বছরের ডিগ্রী ব্যবসায় প্রশাসন শিক্ষা। চাকরির বাজারে বিবিএ-এমবিএ ডিগ্রীধারীদের জন্য ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিভাগ, নিরীক্ষা বিভাগ, ট্যাক্স, আর্থিক প্রশাসন, আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজের সুযোগ রয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবেও চাহিদা রয়েছে এ বিষয়ের ডিগ্রীধারীদের। আবার যারা ব্যবসা করতে পছন্দ করেন বিভিন্ন উদ্যোক্তা হয়ে তারা কাজ করে সাফল্য লাভ করতে পারেন। বিবিএ-এমবিএ শিক্ষার্থীরা ব্যবসার বিভিন্ন শাখায় জ্ঞানলাভ করতে পারেন যেখানে অন্য কোর্সগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা একটি কিংবা দুটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করেন। তবে চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা নির্ভর করে একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ওপর। তাই বিবিএ-এমবিএ সনদ একজন শিক্ষার্থীর চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা নয় বরং চাকরির প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রবেশের ছাড়পত্র মাত্র। উদ্যোক্তাদের মতে বিবিএ-এমবিএ করে দুই ধরনের কাজ করা যায়। উদ্যোক্তা হয়ে নিজের মতো কাজ নয়ত অন্যের অধীনে চাকরি করা। উদ্যোক্তা হতে যেহেতু আর্থিক মূলধন দরকার আর তা প্রাথমিকভাবে সংগ্রহ করা জন্য খুব সহজ নয়। বিবিএ এমবিএ শেষে বিশেষায়িত কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে হবে। বর্তমানে সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-এমবিএ পড়ার সুযোগ রয়েছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাইম ইউনিভার্সিটি অন্যতম। শিক্ষাবিদ, সমাজ সেবকদের নিয়ে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় প্রাইম ইউনিভার্সিটি। আইন, ব্যবসায় প্রশাসন, সমাজ বিজ্ঞান ও অর্থনীতি বিভাগের ৫ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। ইতোমধ্যে অনেক ছাত্রছাত্রী পাস করে বেরিয়ে গেছে। প্রাইম ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রতিটি কর্মকা- পরিচালিত হচ্ছে সুপরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে। আর এর নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনা রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষ ট্রাস্টি বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মীর শাহাবুদ্দীন। তিনি বলেন, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ আজ আদর্শ অনুষদ হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও রয়েছে অত্যন্ত মেধাবী, অভিজ্ঞ ও পরিশ্রমী পূর্ণকালীন শিক্ষক ও কিছু সংখ্যক খ-কালীন অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান বলেন, প্রাইম ইউনিভার্সিটির ট্রাইমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিটি সেমিস্টারে ছাত্রছাত্রীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষার জন্য কোর্স শিক্ষকরা পর্যাপ্ত কেসস্ট্যাডি, চলমান বিষয়ের উপর এ্যাসাইনমেন্ট, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। নিয়মিত ওয়ার্কসপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে থাকে। প্রতি বছর বিবিএ ও এমবিএ ফাইনাল সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের স্ট্যাডি ট্যুর এবং বিভিন্ন সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের ব্যবস্থা করা হয়। চাইলে আপনিও যোগাযোগ করতে পারেন এই ঠিকানায় ২এ/১, নর্থ ইস্ট অব দারুস সালাম রোড, মিরপুর, সেকশন-১, ঢাকা-১২১৬। ৯০৩৮৭৭৮,০১৯৩৯৪২৫০৩০। এ ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর-এর নেতৃত্ব এ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের শিক্ষকদের সমন্বয়ে যুগোপযোগী বিবিএ এবং এমবিএ প্রোগ্রামের সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। কোর কোর্সের পাশাপাশি রয়েছে অনেক মেজর কোর্স। এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এতে তারা বেশ সাফল্য অর্জন করছে। অনুষদে একাডেমিক চর্চা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত লেকচার, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম করা হয়। বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ১৪শ’ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। নাঈম খান
×