স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক পরিবহনের জন্য যা যা দরকার সবই করা হবে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে যানবাহনে চলাচল করতে পারে। এ ব্যাপারে সরকার আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
শনিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আয়োজিত এক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মোবাইল এ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সিসেবা নেটওয়ার্ক ‘উবার’ নিয়ে শীঘ্রই যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছব। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলব আর একে স্বাগত জানাব না এটা হয় না। কিন্তু এজন্য একটি লিগ্যাল ফ্রেমে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আইন করব জনগণের স্বার্থে, কাজেই এটি যেন সহজ হয়, কঠিন হলে জনস্বার্থে কাজে আসবে না। তাই জনস্বার্থে যেভাবে আসবে সেভাবেই আইন করা হবে। চালক ও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির এই ক্যাম্পেনের সেøাগান হচ্ছে ‘সাবধানে গাড়ি চালান, নিরাপদে থাকুন’। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের দুর্ভোগ কমানো। নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক পরিবহনের জন্য যা যা দরকার সবই করা হবে। ক্যাম্পেনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, অভিনেতা রিয়াজ, তৌকির আহমেদ, লিটু আনাম, মীর সাব্বির ও সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল।
ওয়বাদুল কাদের বলেন, শিল্পী-কলাকুশলীদের এ ধরনের কর্মসূচীতে আরও বেশি করে অংশ নেয়া উচিত। এতে জনগণ বেশি সচেতন হবেন। তিনি বলেন, পাশের দেশের তুলনায় আমাদের দেশে নারী গাড়ি চালক কম। তারা মাথা ঠা-া রেখে গাড়ি চালান, যার ফলে দুর্ঘটনা কম হয়। আমরা বিআরটিএর মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিচ্ছি। আমাদের এ ধরনের ক্যাম্পেন ৫ বছর ধরে চলছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, চলতেই থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ নবেম্বর) ঢাকায় স্মার্টফোন এ্যাপ্লিকেশন (এ্যাপ) নির্ভর ট্যাক্সি পরিবহনসেবা ‘উবার’ চালু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার ৩৩তম শহর হিসেবে ঢাকায় এ কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ বা নতুন ব্যবসায় উদ্যোগ হলো উবার। বিশ্বের সাড়ে চার শ’র বেশি শহরে এর কার্যক্রম চালু আছে। অনুমোদনহীন এই সেবা কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ। তিন সপ্তাহের মধ্যে বৈধভাবে সেবা পরিচালনার জন্য উবারকে আনুষ্ঠানিক পরামর্শ দিয়েছে সরকার। এ সময় মামুনুর রশীদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্য নিয়েই রাস্তায় নেমেছি।
আশা করি সবাই সাবধানে পথ চলবেন। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ যে কোন মূল্যে মোকাবেলা করতে হবে। এসআই টুটুল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ ঝরছে অনেক মানুষের। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মালিক-চালক- যাত্রী সবারই সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।
