ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার দাবি

প্রকাশিত: ০২:২১, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশেষ ক্ষেত্রে মেয়েদের বয়স সীমা শিথিলের সুযোগ রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনার দাবি জানিয়েছে কোস্ট ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন। শনিবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৬ ব্যালবিবাহের ঝুঁকি বাড়াবে: অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংশোধন করুন’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে সংগঠনটির পক্ষে এ দাবি জানানো হয়। ওই মানববন্ধনে সচেতন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে কোস্ট ট্রাস্টের ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, বাবা-মা চাইলে বিশেষ ক্ষেত্রে সর্বোত্তম স্বার্থে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে বিয়ে দিতে পারার বিধানের কারণে আইনের ফাঁক গলে বাল্যবিবাহ বৈধতা পেতে পারে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এই আশঙ্কাকে অমূলক বলা হয়েছে। আমরা মনে কির, আইনের বিশেষ ধারাটির অপব্যবহার হবে। আদালত ও বাবা-মায়ের সম্মতির কথা বলা থাকলেও আমাদের দেশে যারা মেয়ের বাল্যবিবাহ দেন, তাদের মধ্যে কতজনের আদালত পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা আছে তাই প্রশ্নসাপেক্ষ। আবার আনেইর নজরদারিই বা কতোটুকু আছে? আইনের ফাঁকফোকরে ঠিকই বাল্যবিবাহ চলতে থাকবে। উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের আমিনুর রসুল বাবুল বলেন, বাংলাদেশে অপুষ্টির একটি প্রধান কারণ ব্যালবিবাহ। একজন শারীরিক ও মানসিক অপূর্ণঙ্গ বা অপরিণত মায়ের পক্ষে একজন সুস্থ শিশুর জন্ম দেয়া সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, এর ফলে মাতৃমৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাবে। বৃদ্ধি পাবে অধিক সন্তান জন্মদানের প্রবণলতা ও অপুষ্ট শিশুর জন্ম ও শিশুমৃত্যুর হার। বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতির সুবল সরকার বলেন, ১৮ বছর বসয়সের আগে একটি মেয়ের শারীরিক গঠন পূর্ণতা পায় না। ১৮ বা ২০ বছর বয়সের আগে সন্তান জন্ম দিলে সে সন্তানও হয় অপুষ্ট কিংবা অন্যান্য শারীরিক জটিলতার শিকার। কোস্ট ট্রাস্টের মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় আয়োজকদের পক্ষে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফেরদৌস আরা রুমী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের জায়েদ ইকবাল খান, আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন কমিটির আসমা আক্তার এবং কোস্ট ট্রাস্টের সনত কুমার ভৌমিক।
×