ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থানান্তর দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

প্রকাশিত: ২৩:১৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থানান্তর দাবি ওয়ার্কার্স পার্টির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাততে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির নেতৃবৃন্দ বলছেন, সুন্দরবনের ক্রিটিকাল সীমানার বাইরে স্থানান্তর, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে যে জমি উন্নয়ন করা হয়েছে সেখানে পরিকল্পিতভাবে আধুনিক নগর স্থাপন, মুনাফার উদ্দেশ্যে যে কোন অপরিকল্পিত উদ্যোগকে আইনগতভাবে রোধ করা, প্রকল্পের চুক্তি, অর্থনৈতিক বিবেচনা ও জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলোকে জনসমক্ষে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা ও সামগ্রিক জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। শনিবার প্রেসক্লাবের সামনে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এসব কথা বলেন। সভায় ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের কথা বলছে এবং ২০২০ সালের মধ্যে সকল জনগণের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের পিএসএমপি-২০১০-এ বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্যাস নির্ভরতা কমিয়ে অন্তত ৫০ ভাগ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার পরিকল্পনা ও প্রস্তাবনা রেখেছে- যা বাস্তবায়ন করতে হলে এ ধরনের কয়লা ভিত্তিক আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। সেই ক্ষেত্রে যেটা বিবেচনার বিষয় হল এ সকল প্রকল্প পরিবেশ বান্ধব কিনা। সুন্দরবনের অতি সন্নিকটে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আপত্তির ক্ষেত্রে সুন্দরবনের ধ্বংস সাধন ও প্রকৃতি ও পরিবেশে কতখানি ক্ষতিসাধন করবে সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয় হিসেবে আমরা মনে করি। আমরা প্রকল্পটি সুন্দরবনের নিকটতম এলাকা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বিকল্প স্থান খুলনার বর্টিয়াঘাটার লবণচোরা বা কাছাকাছি কোথাও স্থানান্তরিত করার দাবি করে আসছে। আমরা এখনও আশা করছি সরকার এ সকল আপত্তি আমলে নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নের বিকল্প স্থান নির্ধারণ করবেন বলে আশা করি। তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে। সকল আন্দোলনে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল শক্তিশালী। অথচ এ কমিটির কিছু ব্যক্তির সরকার বিরোধী ও জামাত-বিএনপি ঘেষা দৃষ্টিভঙ্গি প্রকৃত সংগ্রামকে বিচ্যুত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। সে কারণেই ‘রাজনীতি পরিবর্তন করা হবে। জামাত-বিএনপি’র নাশকতা-বিশ্বব্যাংকের বিশ্বাসঘাতকতার বিরুদ্ধে সেদিন যে সকল রাষ্ট্র যেমন ভারত, চীন ও রাশিয়া বলিষ্ট সমর্থন জানিয়েছিল বাংলাদেশকে। জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই এসকল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উলগ্ন বক্তব্য রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আশা করি জাতীয় কমিটি এ সকল বিভ্রান্তি থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকবে। সভায় সুন্দরবন ও রামপাল সংক্রান্ত বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান পত্র পাঠ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল। সভায় উপস্থিত ছিলেন পলিটব্যুরো সদস্য নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, আমিনুল ইসলাম গোলাপ, ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টি মহানগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
×