ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষায় সেই দুই শিক্ষার্থী অকৃতকার্য

প্রকাশিত: ০৮:০২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষায় সেই দুই শিক্ষার্থী অকৃতকার্য

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ২০১৬-১৭ সেশনে সম্মান শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তীর্ণ অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে যাচাইয়ের জন্য পুনরায় এমসিকিউ পরীক্ষা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে তারা অনেক কম নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে মৌখিক পরীক্ষা (ভাইবা) দিতে এলে তাদের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হয়। অভিযুক্তরা হলেন ঘ ইউনিটের মেধা তালিকায় ৫ম স্থানে থাকা তাজরীন আহমেদ খান ও ৭৮তম নূর মাহফুজা দৃষ্টি। এই দ্ুিশক্ষার্থীর জালিয়াতি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরই কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নেয়। ডিন অফিস সূত্র থেকে জানা যায়, দুই শিক্ষার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এলে জালিয়াতিতে অভিযুক্ত তাজরীনকে নতুন করে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে বলা হয়। শুধু বাংলা ও ইংরেজী বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রতি বিষয়ে ২৫টি করে সর্বমোট ৫০টি প্রশ্ন ছিল। প্রত্যেক প্রশ্নের মান ১.২০ করে সর্বমোট মান ৬০ নম্বর। পরীক্ষার ওএমআর শিটে নেয়া উত্তরপত্র মূল্যায়নে দেখা যায়, তাজরিন বাংলায় ১৭ টি প্রশ্নের উত্তর ভরাট করেন। এর মধ্যে বাংলায় উত্তর সঠিক হয় ৯টি এবং ভুল হয় ৮টি। প্রাপ্ত নম্বর ৮ দশমিক ৪। অথচ মূল ভর্তি পরীক্ষায় বাংলায় সে পেয়েছিল ২৭ নম্বর। অন্যদিকে ইংরেজীতে ২৩টি প্রশ্নের উত্তর ভরাট করেন। এতে উত্তর সঠিক হয় ১৫টি ও ভুল হয় ৭টি। প্রাপ্ত নম্বর ১৫ দশমিক ৬। মূল ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ২৪ পেয়েছিলেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত আরেকজন হচ্ছে মেধা তালিকায় ৭৮তম তাজরীনের আত্মীয় নূর মাহফুজা দৃষ্টি। একই প্রশ্নে তারও পরীক্ষা নেয়া হয়। কিন্তু মেধা তালিকায় অবস্থান করলেও এই শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় ফেল করেন। বাংলা অংশে ৩০ এর মধ্যে পেয়েছেন ৬ দশমিক ৬ ও ইংরেজী অংশে ৩০-এর মধ্যে পেয়েছেন ১১ দশমিক ৪ নম্বর। এ বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জালিয়াতি করে পার পাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওদের মাধ্যমে পুরো চক্রকে আটক করার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান তিনি। গত ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার দিনই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। পরীক্ষা শুরুর আগে ও পরীক্ষা চলাকালে অনলাইনের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায় জালিয়াতির অভিযোগে আটক শিক্ষার্থীদের মোবাইল থেকে। পরবর্তীতে নয় লাখ টাকায় ঢাবি ‘ঘ’ ইউনিটে মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অর্জন করার অভিযোগ ওঠে তাজরীন ও তার পরিবার এবং মাহফুজার বিরুদ্ধে।
×