ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যের ওপর ভরসা করেই চলছে চট্টগ্রাম সিএমপি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

অন্যের ওপর ভরসা করেই চলছে চট্টগ্রাম সিএমপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অন্যের ওপর ভরসা করেই চলছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি। প্রতিষ্ঠার ৩৮ বছর ধরে সদর দফতর করার নিজস্ব জমি না থাকায় জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থাকা খাস জমিতে চলে আসছে সংস্থাটির কার্যক্রম। একই সঙ্গে, তিন যুগের বেশি সময়েও নিজস্ব বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় নির্ভর করতে হচ্ছে পিআরবির ওপর। তবে, দখলে থাকা জমিটি চার কোটি টাকার বিনিময়ে সদর দফতর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার। ১৯৭৮ সালের ৩০ নবেম্বর অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিএমপি। তখন ৬০ বর্গমাইল এলাকায় দশ লাখ নগরবাসীর জন্য থানা সংখ্যা ছিল ছয়টি। কার্যক্রম শুরুর কয়েক বছরের মধ্যে স্বতন্ত্র বিধিমালা প্রণয়ন করে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ (ডিএমপি) এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে পড়ে সিএমপি। ৩৮ বছর পেরিয়ে গেলেও নিজস্ব কোন বিধিমালাই তৈরি হয়নি। সিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) পরিতোষ ঘোষ বলেন, ‘সিএমপির বিধিমালা বলতে বোঝায়, সিএমপি কিভাবে কাজ করবে, প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব-কর্তব্য কি। যখন কোন একটি সংগঠনের নিজস্ব বিধিমালা থাকে না তখন একটা সাধারণ বিধিমালা দিয়ে তারা কাজ করে।’ শুধু নিজস্ব বিধিমালা নয়, সদর দফতর স্থাপনের জন্য নিজস্ব কোন জায়গাও নেই সিএমপির। নগরীর লালদীঘি এলাকায় জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে থাকা সরকারী খাস জায়গার ওপর ছোট একটি দ্বিতল ভবনেই চলছে সিএমপির বর্তমান কার্যক্রম। তবে সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল বাহার জানালেন, শেষ পর্যন্ত ২ দশমিক ছয় দুই একর জায়গাটি নামমাত্র মূল্যে কেনার প্রক্রিয়া চলছে। ৬০ লাখ নগরবাসীর এ নগরীতে বর্তমানে চারটি জোনে বিভক্ত হয়ে থানা রয়েছে ১৬টি। ফাঁড়ির সংখ্যা ৫০। আর পুলিশ সদস্যের সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার।
×