ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে এক মামলার সুরাহা হয়নি ১৯ বছরেও

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

বরিশালে এক মামলার সুরাহা হয়নি  ১৯ বছরেও

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ক্রয়কৃত নিজ সম্পত্তি থেকে প্রভাবশালী অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে দায়ের করা মামলাটি গত ১৯ বছর পর্যন্ত পরিচালনা করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন নগরীর ২৪ নাম্বার ওয়ার্ড রূপাতলী এলাকার বাসিন্দা জালাল উদ্দিন হাওলাদার (৫২)। একদিকে মামলা পরিচালনা না করার জন্য প্রভাবশালী বিবাদী পক্ষের অব্যাহত হুমকি অন্যদিকে বিচার বিভাগের সময় ক্ষেপণের কারণে অসহায় জালাল দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তির আশায় প্রধান বিচারপতির কাছে ডাকযোগে খোলা চিঠি প্রেরণ করেছেন। মৃত মোসলেম উদ্দিন হাওলাদারের পুত্র ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন হাওলাদার বলেন, নগরীর মধ্যকার ওষুধ তৈরিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠান অপসোনিন গ্রুপ লালারদিঘীর পাড়ের তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির ৪৯ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। নিজ সম্পত্তি থেকে প্রভাবশালী অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে দীর্ঘ ১৯ বছর পূর্বে তিনি বরিশাল সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং ১৫১/৯৮)। জালাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, মামলার বিবাদী (অপসোনিন গ্রুপের মালিক) আব্দুর সবুর খান, আব্দুর রউব খান ও আব্দুর রকিব খান প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচার চেয়েও বার বার হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ইতোমধ্যে দ্রুত বিচারের স্বার্থে আদালত বদল করার পর বাদী পক্ষের সাক্ষী জেরা জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এরই মধ্যে বাদী পক্ষের দরখাস্ত অনুযায়ী কোর্ট নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করলে উক্ত আদেশ অমান্য করে বিবাদী পক্ষ বিরোধীয় ভূমিতে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করে। পরে বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত উকিল কমিশনার নিযুক্ত করে প্রমাণ সাপেক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ভায়ালেশন মোকদ্দমায় পরিণত করে। বিবাদী পক্ষ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে নানা অজুহাতে মোকদ্দমা কালক্ষেপণ করে ভায়ালেশন মামলায় মেন্ডেন্টরি নিষেধাজ্ঞায় জেল জরিমানা অবধারিত বুঝতে পেরে মামলা বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এমনকি তাকে (জালাল) মামলা পরিচালনা না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে আমি এখন নিঃস্ব হয়ে পরেছি। তাই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির আশায় অতিসম্প্রতি প্রধান বিচারপতির কাছে খোলা চিঠি প্রেরণ করেছি।
×