ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

যান্ত্রিক ত্রুটি না ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

যান্ত্রিক ত্রুটি না ষড়যন্ত্র

হাঙ্গেরীর উদ্দেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’ এবং পথিমধ্যে জরুরী অবতরণ, ভাবাই যায় না। গা শিউরে ওঠে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপা যে, এবারও তিনি তাঁকে রক্ষা করেছেন। তাঁর দরবারে হাজারো শুকরিয়া। কি ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল সেই মুহূর্তে। কোন অবলম্বন নেই, কোথাও দাঁড়াবার সুযোগ নেই, মেঘের সীমা ছাড়িয়ে হাজার হাজার ফুট উঁচু দিয়ে কেবল দুটি পাখার ওপর ভর করে উড়ে চলছিল। কোন স্থল বা জলযান নয় যে, ত্রুটি দেখা দিলে স্টার্ট বন্ধ করে দাঁড়িয়ে প্রাণ রক্ষা করা যাবে। হাওয়ার ওপর তো আর দাঁড়ানো যায় না। একমাত্র কাছাকাছি কোন এয়ারপোর্টে জরুরী অবতরণ বা কোন সমতলে ক্র্যাশ-ল্যান্ডিং, ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে- এর বাইরে কিছু করার থাকে না। থ্যাঙ্ক গড যে, কাছাকাছি তুর্কমেনিস্তান এয়ারপোর্ট ছিল এবং তাতে জরুরী অবতরণ সম্ভব হয়েছে। এটি ছিল বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি ফ্লাইট এবং তাতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীসহ ৯৯ যাত্রী; ৪ ককপিট ক্রু, ২০ কেবিন ক্রু এবং এয়ারক্র্যাফট ইঞ্জিনিয়ার ভ্রমণ করছিলেন। ॥ এক ॥ আমরা ভাবতে চাই না এটি কোন ষড়যন্ত্র ছিল। ছিল যান্ত্রিক ত্রুটিÑ এটিই সত্য বলে মেনে নিতে চাই। কিন্তু তার পরও কথা থেকে যায়। একটু পেছনে তাকালে দেখতে পাব ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে তাঁকে টার্গেট করে সিরিজ অব গ্রেনেডের বিস্ফোরণ, সঙ্গে গুলিবর্ষণ; চট্টগ্রাম, জামালপুর, নাটোর, রাসেল স্কোয়ার, বঙ্গবন্ধু ভবনে তার অবস্থানকালে গুলিবর্ষণ, এমনি করে ১৯ বার তাঁকে হত্যার যড়যন্ত্র হয়েছে। প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন এবং জাতির নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা কি ভুলতে পারি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতের কথা? কি ভয়ঙ্কর ছিল সেই কালরাত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব; তাঁদের তিন পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল ও তাদের নবপরিণীতা বধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল; শিশু শেখ রাসেলসহ গোটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল। এতটাই নৃশংস ছিল খুনী খন্দকার মুশতাক, খুনী মিলিটারি জিয়া এবং তাদের ভাড়াটেরা। সেদিনও বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যান। শেখ হাসিনা স্বামী ড. এম ওয়াজেদ আলী মিয়ার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে জার্মানি ছিলেন বলে সে রাতে বেঁচে যান। এসব আমরা জানি তবুও বলতে হয় এ জন্য যে, সেই খুনীদের প্রেতাত্মা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এখনও সমাজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনও প্রকাশ্যে কখনও ছদ্মবেশে। যারা ১৪ আগস্টও বঙ্গবন্ধু একান্ত অনুসারী বলে নিজেদের জাহির করতেন, ক্ষেত্র বিশেষ উল্লাস করতেন, তারাই আবার ১৫ আগস্ট মন্তব্য করেছে ‘সব কিছুরই একটা শেষ আছে(?)’। এই মনুষ্যরূপী শয়তানের দল এখনও আছে। আমাদের ভয়টা এখানেই, সমস্ত ভরসা এবং প্রশংসা সর্বশক্তিমান আল্লাহ পাকের ওপরই, যিনি জীবন দিয়েছেন এবং জীবন রক্ষাও করছেন। মাঝে মাঝে ভাবি শেখ হাসিনাকে তিনি এতই শক্তি ও মনোবল দিয়েছেন যে, ওই মৃত্যুর মিছিল থেকেও তিনি মানুষের কথা বলছেন, মানুষকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে জীবনমান উন্নয়নে আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অগ্রগামিতার মহাসড়কে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। এ আমাদের প্রতি মহান স্রষ্টার আশীর্বাদ। ॥ দুই ॥ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ বা ‘ধরিত্রীর আদরের কন্যা’। তিনি হাঙ্গেরীর রাজধানী বুদাপেস্টে যাচ্ছিলেন ‘বিশ্ব জলবায়ু ব্যবস্থাপনা’র ওপর একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে। এখানে একটা কথা বলে রাখা ভাল যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্ব নেতৃত্বের প্রথম কাতারের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্যতম, কয়েকজনের একজন। এমনি এমনি তিনি এ অবস্থানে আসেননি। বাংলাদেশের মতো একটি দরিদ্র দেশ, বিদেশীরা যাকে নিয়ে ঠাট্টা করত, বলত তলাবিহীন ঝুড়ি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, মঙ্গা-দুর্ভিক্ষের দেশ, সেই বাংলাদেশকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে আজ বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয় করে তুলেছেন। উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য ঘাটতি দূর শুধু নয়, উদ্বৃত্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। মঙ্গা, দুর্ভিক্ষ শব্দাবলী আজ আর জীবনে নেই, ডিকশনারিতে ঢুকে গেছে। ১৬ কোটি মানুষ ভালভাবে খেয়ে পরে কাজ করে জীবনমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের পথে এগিয়ে চলেছে। আগামী ২০২০ ও ২১ সালে বা ভিশন ২০-২১ উদ্যাপন করবে উন্নত অর্থনীতির সোপানে পা রেখে। বড় অর্থনীতির দেশের নেতারাও শেখ হাসিনাকে প্রশ্ন করেন- ‘আপনার ম্যাজিকটা কি? কি করে করলেন এমন অসাধ্য সাধন?’ জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস এবং স্বপ্ন দেখতে জানা।’ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আছে পিতা শেখ লুৎফুর রহমান তাকে বলেছিলেন- ‘ঐড়হবংঃু ড়ভ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব, ংরহপবৎরঃু ড়ভ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব.’ এ কথা যেন না ভুলে যান। বঙ্গবন্ধু শিখেছেন পিতার সেই নির্দেশ তিনি প্রতিটি মুহূর্তে মেনে চলেছেন। শেখ হাসিনার মধ্যেও পিতার মতোই ঐড়হবংঃষু ড়ভ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব, ংরহপবৎরঃু ড়ভ ঢ়ঁৎঢ়ড়ংব-কে সম্মান দিয়ে কাজ করতে। তিনি যখন বুকে হাত দিয়ে বলেন, মানুষকে ভালবাসার নামই তার রাজনীতি- তখন তাতে এতটুকু খাদ নেই, বিশ্বাস থেকেই বলেন। কতদিনই বা ক্ষমতায় আছেন? বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসেন ১৯৯৬-২০০১, পাঁচ বছর তারপর ২০০৯ থেকে আজ অবধি ৮ বছর অর্থাৎ ৫+৮=১৩ বছর। এই ১৩ বছরে তিনি বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিলেন (ইতিবাচক পথে)। যে পাকিস্তান আমাদের ২৩ বছর শোষণ করে নিজেদের গড়ে তুলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দিয়ে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন, সেই পাকিস্তান আজ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশের অনেক পেছনে পড়ে রয়েছে। আমরা এগিয়ে চলেছি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। এমনকি নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. অমর্ত্য সেনও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের মতো দেশকেও অনেক সূচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। অপরদিকে যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে (দেশ-বিদেশী) বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামাতে চেয়েছিল, তারা দেখছে অসম সাহসী বঙ্গবন্ধুরই কন্যা আজ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার কা-ারি। আর সেই কারণেই তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মিলিটারি শাসন চালিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে কোন অবদান রাখতে পারেনি। এর অনেক কারণ আছে ১. অযোগ্যতা ২. বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র; যা দেশের মানুষ মেনে নেয়নি। তাদের ক্ষমতা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের সঙ্গে গাদ্দারি করলে এই পরিণতিই ভোগ করতে হয়। তারা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল। মূলধারা থেকে জাতিকে বিচ্যুত করতে চেয়েছিল। ॥ তিন ॥ আমাদের ভাবতে হবে কেন শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বার বার। কারণ, প্রথমত. স্বাধীনতায় নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দলের নেতা, স্বাধীনতাকামী বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতা, দ্বিতীয়ত. তিনি বাংলাদেশকে তার মূলধারায় এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। এটাই মিলিটারির আঁতুড়ঘরে জন্ম নেয়া দল ও নেতা-নেত্রীদের পছন্দ নয়। ক্ষোভ। এতে করে তারা এরই মধ্যে অথর্ব-অযোগ্য এবং ব্যর্থ বলে চিহ্নিত হয়েছেন। তাছাড়া শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছেন এবং চলতি আমলে যুদ্ধাপরাধী-দালাল-রাজাকার-আলবদর আর শান্তি কমিটির পা-াদের বিচার করেছেন। বিশ্বব্যাংক থেকে শুরু করে মোড়ল নামধারীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পদ্মা সেতুর মতো মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করে চলেছেন। ছেলেবেলায় প-িত মশাই আমাদের প্রশ্ন করতেনÑ বলতো কোন জেলায় ট্রেনলাইন নেই? উত্তর ছিল বরিশাল। আর দেড় দুই বছর পর কোন প-িত মশাই এ জাতীয় প্রশ্ন করতে পারবেন না। ২০১৯ সাল থেকে বরিশাল পর্যন্ত সড়কপথে পাশাপাশি রেলও চলবে। ॥ চার ॥ কাজেই প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে এমন ত্রুটি যে ইচ্ছাকৃত বা ষড়যন্ত্র নয়, এমন কথা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। বিমানটি পুরনোও নয়, মাত্র বছরখানেক আগে এটি কেনা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং-৭৭৭ (রাঙা প্রভাত)। এ পর্যন্ত যে সব তথ্য জানা গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিমানের ইঞ্জিনে মোবিল লিক করায় একটি ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার পথে। কর্মকর্তাদের মতে, বিমানটি গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে হাঙ্গেরীর উদ্দেশে যাত্রা করে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের শেষ সীমানা অতিক্রম করার সময় ‘ত্রুটি’ ধরা পড়ে। এর পরই তুর্কমেনিস্তানে জরুরী অবতরণ করে এবং ৪ ঘণ্টা ধরে মেরামতের পর আবার আকাশে ওড়ে এবং যথারীতি বুদাপেস্ট পৌঁছে এবং প্রধানমন্ত্রী তার কাজ শেষ করে দেশে ফিরেছেন। দেশব্যাপী প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়। শুক্রবার বাদ জুমা মসজিদে মসজিদে দোয়া করা হয়, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা হয়। ॥ পাঁচ ॥ এই ঘটনার পর বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ৬ ইঞ্জিনিয়ারকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। অবহেলা প্রমাণিত হলে শাস্তি হবে। বরখাস্তকৃত ৬ জন হলেন, রুকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, সিদ্দিকুর রহমান ও জাকির হোসেন। রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের জানান, বিমানের ইঞ্জিনে অয়েল (লুব্রিকেন্ট) সিস্টেমের একটি নাটবোল্ট অর্ধেক খোলা ছিল। ওই ঢিলা অংশ দিয়ে ইঞ্জিন থেকে লুব্রিকেন্ট বেরিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ইঞ্জিনে অয়েল শেষ হয়ে যায়। যে কারণে ফ্লাইটটির গতিপথ পরিবর্তন করে তুর্কমেনিস্তানে জরুরী অবতরণ করা হয়। মেরামতকালীন ৪ ঘণ্টা প্রধানমন্ত্রী এয়ারপোর্টেই অবস্থান করেন। ॥ ছয় ॥ বিষয়টি যত সহজভাবে বলা হচ্ছে দায়িত্বে অবহেলাজনিত ত্রুটি। বস্তুত তাই কি? কোন একটি বিমান এই ত্রুটি নিয়ে আকাশে উড়বে? উড়বার আগেই তো বার বার চেক, ক্রস চেক করে ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই টেক অফ করার কথা। প্রশ্ন হচ্ছে, কোন্ ইঞ্জিনিয়ার ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, তা কি অবহেলা না ইচ্ছাকৃত, সেটি দেখতে হবে। আমরা জানি তদন্ত হবে এবং তদন্ত চলবে অনন্তকাল, এ ক্ষেত্রে এটি যাতে না হয়। এটি কোন সাধারণ ব্যাপার নয়, অনেক বড় ব্যাপার, অনেক বড় ঘটনা। যে সব ইঞ্জিনিয়ার দায়িত্বে ছিলেন তারা কারা, কখন তাদের নিয়োগ হয়েছে, ছাত্র জীবনে কী করতেন, সার্ভিস রেকর্ড কী, এসব দেখলে তবেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তারেক রহমানকে দুর্নীতি মামলা থেকে খালাস দিয়ে এক বিচারক যেমন দেশ থেকে পালিয়ে গিয়েছিল, এ ক্ষেত্রে ওই রকম কেউ ছিল কি-না দেখতে হবে। ঢাকা : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি, জাতীয় প্রেসক্লাব নধষরংংযধভরয়@মসধরষ.পড়স
×