ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় কর্ণফুলী পানি প্রকল্প

পানীয় জলের সঙ্কট থেকে শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরবাসী

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

পানীয় জলের সঙ্কট থেকে শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছেন চট্টগ্রাম নগরবাসী

হাসান নাসির, চট্টগ্রাম অফিস ॥ অবশেষে পানীয়জল সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম নগরবাসী। রাঙ্গুনিয়ার পোমরা এলাকায় বাস্তবায়িত কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে পাইপলাইনে যুক্ত হবে প্রতিদিন ১৪ কোটি লিটার পানি। এ কাজটি একেবারেই শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে পাইপলাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিডিউল পাওয়া সাপেক্ষে চলতি মাসের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে পাইপলাইনে পানি সরবরাহ। এর পর নগরবাসীর পানি সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে বলে আশা করছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর চট্টগ্রাম, এখানে অন্তত ৬০ লাখ মানুষের বাস। গুরুত্বের দিক থেকেও চট্টগ্রামের অবস্থান উপরে। কিন্তু বিদ্যমান সামর্থ্য দিয়ে ওয়াসা প্রয়োজনের অর্ধেক পানিও সরবরাহ করতে সক্ষম নয়। এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে সপ্তাহ এমনকি পনেরো দিনেও একবার পানি পৌঁছে না। যেটুকু পানি সরবরাহ করা হয় তা পাইপলাইনের শেষ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই থেমে যায়। চট্টগ্রাম নগরীতে পানির সঙ্কট দীর্ঘদিনের। এ সঙ্কট সমাধানে আশ্বাসের পর আশ্বাসে কেটেছে যুগের পর যুগ। বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর শুরু করে বেশকটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ। কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প তারই অন্যতম। কিন্তু এ প্রকল্প বাস্তবায়নেও অতিক্রম করতে হয় দীর্ঘসূত্রতা। তবে নগরবাসীর জন্য অত্যন্ত আশার বিষয় হলো, শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে। চট্টগ্রামে পানি সমস্যার সমাধান এখন সময়ের ব্যাপার, এমন আশ্বস্তই করছে ওয়াসা। দফায় দফায় প্রতিবন্ধকতা ও দীর্ঘসূত্রতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কর্ণফুলী প্রকল্পের পানি পাইপলাইনে আসছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা বেশ জোর দিয়েই বলছে, নতুন বছরে আর পানি সমস্যার প্রকটতা থাকবে না। তবে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন পানি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় ধাপের প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত। চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ জানান, পরীক্ষামূলকভাবে পানি সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। এখন নিরীক্ষা চলছে পুরনো পাইপলাইনের। প্রথমে টানা তিনদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করে দেখা হয়েছে। এতে দেখা যায়,পুরনো পাইপলাইনের অনেক জায়গায় ফুটো রয়েছে। পরে সরবরাহ কমিয়ে ৯ কোটি লিটারে আনা হয়। এখন লিকেজ মেরামতের কাজ চলছে। তবে নতুন করে স্থাপিত পাইপলাইনে কোন সমস্যা নেই। প্রকল্পের আওতায় উন্নতমানের পাইপ বসানো হয়ে গেলে ভবিষ্যতে লিকেজজনিত কোন সমস্যা থাকবে না। ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, প্রায় একমাস ধরে কর্ণফুলী প্রকল্পের পানি সরবরাহের মাধ্যমে পাইপলাইনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এতে অন্তত ৮শ’ জায়গায় লিকেজ শনাক্ত হয়েছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। প্রথমদিকে পাইপ লাইনের সক্ষমতা অনুযায়ী কম পরিমাণে পানি দেয়া হচ্ছে। পুরোপুরি উপযোগী হলে কর্ণফুলী প্রকল্পের সক্ষমতা অনুযায়ী পানি সরবরাহ হবে। তখন নগরবাসীর পানি সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হবে।
×