ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রসুন নাগালের বাইরে ॥ সবজির দাম কমেছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

রসুন নাগালের বাইরে ॥ সবজির দাম কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাড়তে বাড়তে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মসলা জাতীয় পণ্য রসুনের দাম। সপ্তাহ না ঘুরতেই প্রতিকেজিতে ১০ টাকা বেড়ে রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২১০ টাকায়। তবে রাজধানীর কাঁচা বাজারগুলোতে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে সবজির দাম। দেশী পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়া কমেছে মসুর ডাল, চিনি এবং ব্রয়লার মুরগি দাম। চাল, আটা, ভোজ্যতেল, মাছ, মাংস ও ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে রসুনের দাম বাড়ছে। আর বরাবরের মতো চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি বলে নিজের পক্ষে সাফাই গাইছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট এবং মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ঘুরে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে। শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, বেগুনসহ প্রতিটি সবজির দাম গত সপ্তাহে থেকে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মুলা ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। শিম ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহেও এই দামে বিক্রি হয়েছে। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা করে। এছাড়া বাজারগুলোতে অন্যান্য ঢেঁড়স, রেখা, ঝিঙা, জালি, করলা, বরবটি, ধুন্দল ও পটল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। বেগুন প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কচুরমুখি ৩০ টাকা, ধনেপাতা ২৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি লেবু ২৫ টাকা হালি, মিষ্টিকুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিচ। এছাড়া, বাজারে শীতের শাকের দাম একটু বেশি দেখা যায়। লাল শাক, পালং শাক, সরিষা শাক, মুলা শাক ও লাউ শাক পাওয়া যাচ্ছে। শাকের আঁটি ১৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাজারে নতুন আলু আসলেও দাম কমেনি। পুরান আলু প্রতিকেজি আলু ৩০ টাকা। নতুন আলু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকা করে। এদিকে বাজারে মানভেদে দেশী পিঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। তবে আমদানি করা পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৮ টাকায়। এছাড়া আদা (দেশি) ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা এবং আদা (বিদেশী) ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন দেশী ১৯০ টাকা, ভারতীয় ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতারা জানান, সবজির পাইকারী বাজারে দর কিছুটা কম। গত দু’দিন সবজির বাজার ভাল। তাই দামও একটু কম। কিন্তু শীতের সবজির ঘাটতি দেখা দিলে আবার সবজির দাম বাড়বে। তবে দাম সহনীয় থাকলে বিক্রি ভাল হয়। শিম গতকাল বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কিন্তু আজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আর ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। এদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দামেও কোন পরিবর্তন নেই। কেজি প্রতি দেশী মসুর ডাল ১৫০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৯৫ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, বুটের ডাল ১০০ টাকা, মাসকলাই ১৩০ টাকা এবং ছোলা ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০২ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৩৪ টাকা, হাঁসের ডিম ৪০ টাকা ও দেশী মুরগির ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা, লেয়ার ১৬০ টাকা, দেশী মুরগি আকার ভেদে প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায়। গরুর মাংস ৪৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, তেমন কোন পরিবর্তন নেই। আকার ভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ২৫০-৪৫০ টাকা, বাইন ৪০০-৬০০ টাকা, চায়না পুঁটি ১৫০-১৬০ টাকা, কাতলা ৩০০-৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০-১৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০-২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৮০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০-২৮০ টাকা ও দেশী মাগুর ৮০০-১০০০ টাকা, শিং ৭০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি সাইজের ইলিশ প্রতিজোড়া (মাঝারি) ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
×