ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ বিচারের দাবি

প্রকাশিত: ০০:০৩, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের গ্রেফতারসহ বিচারের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাসিরনগর, গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী সাওতাল পাড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ধারাবাহিকভাবে হামলা লুঠপাট, মঠ মন্দির প্রতিমা ভাংচুর, ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ ও সকল অপকর্মে জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার ট্রাইবুন্যালে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে একটি সংগঠন। এসময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মঠ মন্দির, ঘর বাড়ী সরকারী খরচে পূনঃনির্মান করে দেয়া ও নির্দোষ রসরাজের মুক্তিসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসব দাবিতে কর্মসূচী পালন করে হিন্দু মহাজোট নামের একটি সংগঠন। এসময় বক্তারা বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে বারবার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটছে। প্রকৃত হামলাকারীদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া হয়। একারণে কেউ অপরাধ করলেও ভয় পায় না। কর্মসূচীতে হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডঃ দীনবন্ধু রায় এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব অ্যাডঃ গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, সাবেক জেলা জজ ঝুমুর গাঙ্গুলী, সিনিয়র সহ সভাপতি ডঃ সোনালী দাস, ডাঃ মৃত্যুঞ্জয় রায়, বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সুবীর কুমার সাহা, উত্তম দাস, কপিল কৃষ্ণ মন্ডল, রিপন দে, সমীরন বড়াল, সুমন সরকার, মিঠু রঞ্জন দেব, মিল্টন বসু, সাজেন বল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর বাড়িঘরে হামলা লুটপাট, অগ্নি সংযোগসহ ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। কিন্তু প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ নিরব ভুমিকা পালন করছে। নানা অযুহাতে বছরের পর বছর হিন্দুদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত আছে। গত কয়েক বছর যাবৎ একের পর এক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, মঠ মন্দির বাুড়ঘরে হামলা, লুঠপাঠে ব্যপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে। অথচ বরাবরই অন্য দল বা গোষ্ঠীর উপর দায় চাপিয়ে নিজেদের কর্মীদের রক্ষা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের হাট হাজারী, সাতক্ষীরাসহ কোন অপরাধেরই বিচার সরকার করেনি। ফলে একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে। জঙ্গী হামলার পর থেকে গ্রামে পুজা পার্বন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হিন্দু সম্প্রদায় নিরবে দেশত্যাগ করছে। দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব আজ বিপন্ন। সরকারী দলের সম্পৃক্ততা আর সরকারের নির্লিপ্ততা প্রমান করে সরকার এদেশ থেকে হিন্দু শুন্য করতে উঠে পড়ে লেগেছে। বক্তারা আরও বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফারুক মিয়াসহ সকল জঘন্য অপরাধীদের গ্রেফতার দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচার, ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ীঘর ও মঠ মন্দির সরকারী খরচে পুনঃ নির্মাণ ও ক্ষতিগ্রন্থদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপুরন না দিলে হিন্দু সম্প্রদায় ঢাকায় মহাসমাবেশসহ কঠিন কর্মসূচী ঘোষণা করবে। বক্তাগণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পূনঃস্থাপনের স্বার্থে ও হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য জাতীয় সংসদের ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা পূনঃবাস্তবায়ন, একটি সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়েনের জোর দাবী জানান।
×