বর্তমান সময় কেমন কাটছে?
এই তো ব্যস্ততায় মধ্যে পার করছি।
অভিনয় কবে থেকে শুরু করেন?
২০১১ সালে মনফড়িংয়ের গল্প দিয়ে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু।
কোথা থেকে শপিং করেন?
দেশে তেমন শপিং করা হয় না। বেশিরভাগই দেশের বাইরে থেকে সময় নিয়ে করা হয়। তবে গুলশানের কিছু কিছু শপিং মল থেকে মাঝে মধ্যে করি।
শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে কি করছেন?
সপ্তাহে ৩ বা ৪ দিন জিমে যায়। আর নিয়মিত সুইমিং করি।
খাবারের ক্ষেত্রে কি কি খেতে পছন্দ করেন?
আগে তো অনেক ভাজাপোড়া আর ফাস্টফুড খেতাম। কিন্তু এখন শরীরের ফিটনেসের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তাই ফলমূল, সবজি মোটকথা স্বাস্যকর খাবারই বেশি খাই।
কী ধরনের সানগ্লাস পছন্দ?
(মুচকি হেসে) বেশিরভাগ গিফট পায়। আর এর মধ্য থেকে নিজের কাছে যখন যেটা ভাল লাগে।
ঘড়ির ক্ষেত্রে পছন্দ কোন্ ব্র্যান্ড?
অবশ্যই রাডোআর ওমেগা। এই দুই ব্যান্ডের ঘড়িই পরা হয়।
আইকোন হিসেবে কাকে ফলো করেন?
আসলে কাউকে ফলো করি না। তবে ডেভিড বেকহ্যাম আমার পছন্দের আইকন। মানে ফ্যাশনের ক্ষেত্রে উনাকে অনেক ভাল লাগে।
অভিনয় জগতে পছন্দের মানুষ কে?
অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি সবমসময় পারসোনালিটিকে বেশি প্রাধান্য দেয়। সে দিক দিয়ে হুমায়ুন ফরিদী, আলি জাকের এবং আসাদুজ্জামান নূর তাঁদের অভিনয়ই ভাল লাগে।
কোন ধরনের জুতায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
লোফারের লোভটা কেন জানি সামলাতে পারি না। তবে স্নিকারস আর বুটসও অনেক টানে।
অবসর সময়ে কী করেন?
আমার কাছে অবসর সময় বলে কিছু নেই।
শখ কী আপনার?
আমার প্রতিনিয়তই শখ চেঞ্জ হয়। এখন অবশ্য ট্রাভেলিং, পিয়ানো বাজানো, ফিটনেস ধরে রাখা আর ড্রাইভিং এইগুলোই আছে।
কোন রঙের ওপর ভাল লাগা কাজ করে?
নীল, সাদা আর কালো।
গাড়ি কি নিজে ড্রাইভ করেন?
না, আসলে ঢাকা শহরে নিজে করি না। তবে দেশের বাইরে নিজেই করি।
শীতের ফ্যাশনকে কীভাবে দেখছেন?
শীতের ফ্যাশন কেন জানি আমার কাছে বেশ আনন্দের। মানে শীতেই তো জ্যাকেট, স্যুট-কোট পরতে ভাল লাগে। আমার মনে হয় একটা ছেলেকে সব কিছুর থেকে সুটেই মার্জনীয় ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা যায়। তবে সস্তায় ২০ টা সুট না কিনে দাম দিয়ে একটা সুট কেনাই ভাল।
কোন প্রস্তুতি নিয়েছেন?
-না। আর সবাই যেভাবে দেখে সেভাবেই। খেয়াল যতটুকু রাখার ততটুকুই রাখি। তবে ঠোঁট ফাটার হাত থেকে বাঁচার জন্য লিপ জেলটা সবসময়ই ব্যবহার করা হয়।
প্রিয় মানুষ কে?
অবশ্যই বাবা মা।
সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছা আছে?
ব্যাটে বলে হলে ভেবে দেখব।
ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
আসলে আমার সেরকম কোন পরিকল্পনা কখোনই ছিল না। স্বপ্নও দেখতাম না তেমন। যা আছি অনেক ভালো আছি। তবে যতদিন বেঁচে থাকব দেশের মানুষকে এন্টারটেইন করতে চাই।
ফ্যাশন সচেতনদের জন্য কিছু কি বলবেন?
-আমার মনে হয় ফ্যাশন এত ইম্পোটেন্ট কিছু না। সারাদিন যে ফ্যাশনের পিছনে সময় দিতে হবে তেমনটা না। যেটা নিজের কাছে ভাল লাগে, মানানসই মনে হয়। সুট-বুট-জিন্স পরে যদি নিজেকে নিজের কাছেই ভালভাবে উপস্থাপন করা যায় তবে সেটাই ফ্যাশন। কারণ নিজের প্রতিচ্ছবিই সবচেয়ে বড় দর্শক।
ছবি : সুজন
শীর্ষ সংবাদ: