ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

উবাচ

আরও নারী ড্রাইভার চাই স্টাফ রিপোর্টার ॥ আমাদের দেশে আরও নারী ড্রাইভার দরকার রয়েছে বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি মনে করেন, পুরুষের মাথা তুলনামূলকভাবে গরম। মহিলাদের মাথা ঠা-া থাকে। মহিলারা গাড়ি চালালে ঝুঁকি থাকে না। তবে তিনি এটাও মনে করেন, পুরুষদের মধ্যেও অনেক দক্ষ চালক আছে, তা না হলে তো বাংলাদেশে খালি দুর্ঘটনাই ঘটত। তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে অনেকে আমার সফলতার কথা বলে, মন্ত্রী হিসেবে আমি নিজেকে সফল মনে করি না। সড়কে দুর্ঘটনা ও যানজট দূর করতে পারিনি। এ দুটি বিষয়ে দৃশ্যমান ব্যর্থতা রয়েছে। আমার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। চালকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের অনুরোধ করব বাচ্চাদের, শিশুদের ড্রাইভার বানাবেন না। যানজট আর দুর্ঘটনার জন্য দায়ী আমাদের মন-মানসিকতা। মন-মানসিকতা পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। আমার চেয়ে বেশি কে বুঝবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির যৌথসভা চলছিল। মঞ্চে বক্তৃতা করছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। মঞ্চে তার একপাশে এরশাদ অন্যপাশে জিএম কাদের। বক্তৃতা শুরু করেন রওশন। তিনি বলেন, আমরা কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হব না। এরপর তিনি বিরোধী দলের প্রধানের মতোই দেশের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। এ সময় মঞ্চের পেছন থেকে দলের নেতারা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কিছু বলতে বলেন। কিন্তু তা উপেক্ষা করে দেশের বেকার সমস্যা নিয়ে কথা বলতে থাকেন তিনি। রওশনের আবেগে এরশাদ নেই দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সভাকক্ষ। কেউ কেউ উচ্চৈঃস্বরে বলতে শুরু করেন- দলের চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলেন। এরশাদের উপস্থিতিতে কিছুক্ষণ বিশৃঙ্খল অবস্থা চলার পর মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার সবাইকে শান্ত করেন। এরপর রওশন বলেন, আমি তোমাদের দুঃখ ও আবেগ বুঝি। তার (এরশাদ) মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি না হলেও এক শ’ বার বলেছি। পরে অবশ্য রওশন বলেন, তোমরা তোমাদের নেতার জন্য কষ্ট পাও, কিন্তু সে তো আমার স্বামী। আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা। আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন- তার কষ্ট আমার চেয়ে বেশি আর কে বুঝবে! জামানত থাকবে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। তারা জানে নির্বাচনে গেলে তাদের জামানত থাকবে না। উক্তিটি বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন স্থানে এমন বক্তৃতা করেছেন। এখন কেউ কেউ বলছেন তাহলে বিএনপি গত নির্বাচনে যেতে ভয় কেন পেয়েছিল। তারাও কি জামানত হারানোর শঙ্কায় ছিল। এ যুক্তি যদি দেন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না মনে করেই বিএনপি তা বর্জন করেছিল। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের আগেই বুঝলো কী করে নিরপেক্ষ হবে না। আদালতের রায়ে নির্বাচনে অযোগ্য বিএনপির প্রবাসী নেতা তারেক রহমানের ৫২তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে মোশাররফ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে জনগণ ক্ষমতায় আনেনি। এ সরকার ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের ফসল। ‘মিয়ানমারে কিভাবে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, যা সহ্য করা যায় না। বিবেক নাড়া দিয়ে ওঠে। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতেও দিচ্ছে না এ সরকার।’ এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের দেশে ঢুকতে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। অথচ জাতিসংঘ বলছে ঘটনার পর বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ করেছে রোহিঙ্গারা।
×