ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নে ইউএনডিপির সঙ্গে সোয়া ৩ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নে ইউএনডিপির সঙ্গে সোয়া ৩ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর (ইউএনডিপি) তিন কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের নতুন প্রকল্পের চুক্তি সই হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউএনডিপির সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ইউএনডিপি অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপির সহায়তায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন জোরদারকরণ’ শীর্ষক এই নতুন প্রকল্পটি আগামী ৫ বছরে বাস্তবায়িত হবে। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দারবানে ২০০৩ সাল থেকে বাস্তবায়িত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন ও আস্থা বিনির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি সফল প্রকল্পেরই ধারাবাহিকতা। অতীতের মতোই বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রকল্প কার্যক্রমের সার্বিক দায়দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সেই সঙ্গে প্রকল্প থেকে প্রত্যাশিত ফলের জন্যও তারা দায়ী থাকবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে প্রথমবারের মতো বৃহৎ উন্নয়ন উদ্যোগ হিসাবে ২০০৩ সাল থেকে সক্রিয়। বাংলাদেশ সরকার ও ইউএনডিপির ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা’ কর্মসূচীর আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান আব্দুল মতিনের মতে, শান্তি চুক্তিতে বিধৃত উন্নয়ন ও আস্থা বিনির্মাণ লক্ষ্যের যা এখনও পুরোপুরি অর্জন করা যায়নি, তা-ই হবে এ প্রকল্পের উপজীব্য। প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ব্যয় ধরা হয়েছে তিন কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৩৬৩ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৮ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ডলারের সংস্থান হবে ডেনমার্ক থেকে, দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) উন্নয়ন তহবিল থেকে ১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন, ইউএসএইড থেকে ৩ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন আর বাংলাদেশ সরকার দেবে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশিষ্ট ১২ মিলিয়ন ডলারের যোগান দেবে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান উন্নয়ন প্রতিবন্ধকতাসমূহকে বিবেচনায় নিয়েই এই নতুন পর্যায়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। জনগোষ্ঠীসমূহের অন্তর্ভুক্তি এ প্রকল্পের একটি প্রধান দিক। বাস্তু, সামাজিক উন্নয়ন ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নে এর বিশেষ ভূমিকা থাকবে বলে প্রত্যাশা করেছেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি।
×