জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নয়া মার্কিন প্রশাসনের অধীনে পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কেমন হবে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ব। তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের মধ্যকার ফোনালাপে বলছে, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসলামাবাদের ভাল বন্ধুই হবেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে পাকিস্তানকে নিয়ে ট্রাম্পের যে মনোভাব ছিল ফোনালাপে তার ইউটার্ন ঘটেছে। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ডনের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ৮ নবেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ৪০ জনের বেশি বিদেশী নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে তার নির্বাচনী প্রচার শিবির বিদেশী নেতাদের সঙ্গে কী নিয়ে কথা হয়েছে তার খুব বেশিকিছু তুলে ধরেনি। সর্বশেষ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সোমবার অভিনন্দন জানাতে তাকে ফোন করেন। পাকিস্তানের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বুধবার রাতে তাদের মধ্যকার ফোনালাপের টেক্সট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ট্রাম্প-নওয়াজ শরীফকে বলেছেন, ‘আপনার অনেক সুনাম আছে। আপনি একজন অসাধারণ মানুষ। আপনি অনেক বিস্ময়কর কাজ করছেন, যা প্রতিক্ষেত্রে দৃশ্যমান। আমি আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আপনার মতো প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পেরে আমার মনে হচ্ছে, আমি এমন একজনের সঙ্গে কথা বলছি যাকে আমি অনেক দিন ধরে চিনি। আপনার দেশের অনেক উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তানিরা অন্যতম বুদ্ধিমান মানুষ। কঠিন সমস্যা মোকাবেলা ও এর সমাধান খুঁজে পেতে আপনি আমার কাছে যে সাহায্য চাইবেন আমি তা দিতে প্রস্তুত ও আগ্রহী। এটা আমার জন্য সম্মানের বিষয় এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা করব। যে কোন সময়ে আমাকে ফোন করতে সংশয়ে ভুগবেন না। এমনকি ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের আগেও।’ পাকিস্তান সফর করতে নওয়াজ শরীফের আমন্ত্রণ পেয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি অসাধারণ দেশ, অসাধারণ মানুষদের জায়গায় যেতে মুখিয়ে আছেন। তিনি বলেন, দয়া করে পাকিস্তানী জনগণকে জানিয়ে দিন, তারা চমৎকার। আমি জানি, পাকিস্তানীরা ব্যতিক্রমী মানুষ।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক মন্তব্য জানতে চাইলে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবির বলে, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘শক্তিশালী বন্ধন’ গড়ে তোলার বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।
পাকিস্তানিদের ভূয়সী প্রশংসায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের মনোভাবে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রতিফলিত হলো। ২০১২ সালে ঠিক তিনিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পাকিস্তানের তিরস্কার করেছিলেন।
ওই বছরের ১৭ জানুয়ারি তিনি টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আমাদের সোজা সাপ্টা কথা, পাকিস্তান আমাদের বন্ধু নয়। আমরা তাদের শত শত কোটি ডলার দিয়েছি। কিন্তু আমরা কী পেয়েছি? পেয়েছি বিশ্বাসঘাতকতা ও অসম্মান এবং আরও অনেক কিছু। এখনই সময় কঠোর হওয়ার।’
ট্রাম্প বিশেষ করে যেসব দেশকে ‘উগ্র ইসলামী সন্ত্রাস’র উর্বরভূমি অভিহিত করেন সেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলমানদের প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাবও দেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: