ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০ মামলা

৯ জানুয়ারি হাজির না হলে খালেদার জামিন বাতিল

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

৯ জানুয়ারি হাজির না হলে খালেদার জামিন বাতিল

কোর্ট রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১০ মামলায় আদালতে হাজির হচ্ছেন না বলে বিচারকার্য ব্যাহত হচ্ছে। তাই আদালত আগামী ৯ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ওইদিন অনুপস্থিত থাকলে আসামির জামিন বাতিল করা হবে। বৃহস্পতিবারও এই মামলাগুলোয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সময় চাইলে সময় আবেদন মঞ্জুর করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়। গত ৫ এপ্রিল খালেদা জিয়া এই মামলাটিসহ ৫টি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেছেন, মামলাগুলোয় প্রধান আসামি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বারবার পেছানো হচ্ছিল। তাই আগামী ৯ জানুয়ারি তিনি আদালতে হাজির না হলে জামিন বাতিলের কথা বলেছে আদালত। খালেদার আইনজীবী এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেছেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশীট হওয়া ৯টি নাশকতার এবং একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া এদিন বিশেষ জজ আদালতে ২টি মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ায় এ আদালতে আসতে পারেননি। ওই কারণে তারা সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিলেন। এরপরই আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে হাজির হওয়ার শর্ত বেঁধে দেয়। গতবছর ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় খালেদা মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে, আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।’ ওই বক্তব্যে ‘দেশদ্রোহী’ মনোভাবের পরিচয় রয়েছে অভিযোগ করে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার হাকিম আদালতে খালেদার বিরুদ্ধে মামলা করেন আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। ওই মামলা করার আগে তিনি নিয়ম অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেন। এছাড়া গতবছর বিএনপির লাগাতার অবরোধ-হরতালের মধ্যে ২৩ জানুয়ারি ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি বাসে পেট্রোলবোমা ছোড়া হলে অগ্নিদগ্ধ ও আহত হন ৩০ জন। এর মধ্যে নূর আলম নামে এক ঠিকাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কেএম নুরুজ্জামান দুটি মামলা করেন, যাতে অবরোধ আহ্বানকারী বিএনপি চেয়ারপার্সনকে হুকুমের আসামি করা হয়।
×