ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন শিল্পী কলাকুশলী, নির্মাতারা

বিজ্ঞাপন, বিদেশী সিরিয়াল জটিলতায় হুমকিতে দেশের টিভি শিল্প

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

বিজ্ঞাপন, বিদেশী সিরিয়াল জটিলতায় হুমকিতে দেশের টিভি শিল্প

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ বিদেশী টেলিভিশন চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার, বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাব করা বিদেশী সিরিয়াল প্রদর্শনসহ নানামুখী জটিলতায় হুমকির মুখে পড়েছে দেশের টেলিভিশন শিল্প। এ অবস্থার উত্তরণে একজোট হয়েছেন দেশের টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনাল অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। এ সংগঠনের ব্যানারে ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ সেøাগান ধারণ করে রাজপথে নেমেছেন শিল্পী, কলাকুশলী ও নির্মাতারা। বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করেছেন তারা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই পাঁচ দাবি পূরণের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। এছাড়া কোন চ্যানেলে ১৫ ডিসেম্বরের পর ডাবিং সিরিয়াল চালানো হলে সেই চ্যানেলের সামনে অবস্থান নেবেন শিল্পী ও কলাকুশলীরা। এফটিপিওর দেয়া ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাব করা বিদেশী সিরিয়াল ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনর্নির্ধারণ করতে হবে, দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে এবং ডাউনলিংক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশী চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। তবে এই পাঁচ দফা দাবির অন্যতম বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাব করা বিদেশী সিরিয়াল প্রদর্শনের বিষয়ে রয়েছে অস্পষ্টতা। কারণ এ বিষয়ে নেই কোন সরকারী নীতিমালা। ফলে সব বেসরকারী চ্যানেলও একমত হচ্ছে না এ দাবির সঙ্গে। এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি হচ্ছে, দর্শক ধরে রাখতে অর্থ খরচ করে এসব বিদেশী সিরিয়াল আমদানি করে বাংলায় ডাবিং করে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এখন হঠাৎ করে এ সিরিয়াল বন্ধ করে দিলে ক্ষতির মুখে পড়বে এসব টিভি চ্যানেল। এক্ষেত্রে তাদের সুপারিশ হচ্ছেÑ সব টিভি চ্যানেলের কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে প্রয়োজনে চুক্তি করতে হবে। অন্যদিকে আন্দোলনরত শিল্পী-কুশলীসহ বিশিষ্টজনরা বলছেন, বাংলায় বিদেশী সিরিয়ালগুলো আমাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। এখানে নীতি-নৈতিকতা বা সামাজিক দায়বদ্ধতা বলে কিছু নেই। চাপিয়ে দেয়া সংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করা হচ্ছে দর্শককে। বাংলায় ডাব করা বিদেশী সিরিয়াল প্রদর্শনের বিষয়ে বেসরকারী টিভি চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ জনকণ্ঠকে বলেন, বিদেশী সিরিয়াল ডাব করে চ্যানেলে প্রচারের ক্ষেত্রে মূলত কোন সুষ্ঠু নীতিমালা নেই। নীতিমালা থাকলে তাহলে আর এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতো না। আর বিদেশী সিরিয়াল প্রচারের বিষয়টি শুরু হয়েছে বিটিভি থেকে। আলিফ লায়লা কিংবা সোর্ড অব টিপু সুলতানের মতো বিদেশী সিরিয়াল প্রচারিত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনে। সেই ধারাবাহিকতায় এখন বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেলেও সুলতান সুলেমান বা এ ধরনের কিছু বিদেশী সিরিয়াল প্রচারিত হচ্ছে। এ ধরনের সিরিয়াল অনেক সময় দর্শকের কাছে জনপ্রিয় হয় এবং সে কারণে প্রদর্শনকারী চ্যানেলটিও বিজ্ঞাপন পাওয়ার স্বার্থে সেটি চালানোয় আগ্রহী হয়। তবে এ বিদেশী সিরিয়াল প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পরিপন্থী অনেক কিছুই প্রদর্শিত হয়। এমনকি এই ডাবিংয়ের উচ্চারণেও ব্যাপক ত্রুটি রয়েছে। আমরা যে ভাষায় কথা বলি তেমন ভাষার বদলে অনেক সময় কলকাতার প্রচলিত বাংলা উচ্চারণে ডাবিং হয় এসব সিরিয়াল। এছাড়া এসব সিরিয়ালে নৈতিকতার বিষয় বলে কিছু থাকে না। বিষয়বস্তু ভাল হলে আপত্তির কিছু ছিল না। কিন্তু এসব সিরিয়ালের বিষয়বস্তুর মধ্যে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের চরিত্র কিংবা ব্যক্তি ও সামাজিক আদর্শিকতার প্রতিফলন থাকে না। আমরা বাইরের ভাল কিছু গ্রহণ করব না- এই মতবাদের বিশ্বাসী নই। তবে সেটা হতে হবে মানসম্পন্ন এবং আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ওয়ার্ল্ড ক্ল্যাসিক সিরিজগুলো এখানে দেখানো হয় না। তাই এ ধরনের মানহীন বিদেশী ডাবিং সিরিয়াল প্রদর্শনের ব্যাপারে কম নজর দিয়ে আমাদের ভাল অনুষ্ঠান নির্মাণের আগ্রহী হতে হবে। যেটা কিনা দর্শককে একই সঙ্গে বিনোদন দেবে এবং আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যও অনুসরণ করবে। দীপ্ত নামের একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বর্তমানে তুরস্ক থেকে আমদানিকৃত সুলতান সুলেমান নামের একটি সিরিয়াল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। উসমানীয় সাম্রাজ্যের দীর্ঘকালব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী শাসক প্রথম সম্রাট সুলাইমানের জীবনগাঁথা, প্রাসাদ ষড়যন্ত্র, হেরেমখানার দাসীদের প্রতি আসক্তি, সাম্রাজ্য ধরে রাখার যুদ্ধÑ এমন নানা বিষয় এসেছে এ সিরিয়ালে। এ সিরিয়ালটি প্রদর্শনের বিষয়ে দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী উরফী আহমদ জনকণ্ঠকে বলেন, মূলত দর্শকদের বিনোদনের কথা চিন্তা করেই আমরা এ সিরিয়ালটি আমদানি করেছি। এ সিরিয়ালের গল্পটা আমাদের কাছে ভাল ও মানসম্পন্ন বলে মনে হয়েছে। বর্তমানে টিভি চ্যানেলে বিদেশী সিরিয়াল প্রদর্শনের আন্দোলন এবং এর প্রচার বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের আন্দোলনের ফলে এখন হঠাৎ করে এ সিরিয়ালটি প্রদর্শন বন্ধ করে দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। কারণ আমরা অর্থ খরচ করে এ সিরিয়ালটি আমদানি করেছি। এছাড়া দেশের টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাবিংকৃত বিদেশী সিরিয়ালের প্রদর্শন বন্ধের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোন সরকারি নির্দেশনা আসেনি। যদি তেমন নির্দেশনা আসে তাহলে আমরাও এ সিরিয়াল প্রচার বন্ধ করে দেব। তবে এখন যারা আন্দোলন করছেন তাদের সব টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সেটা করা হলে দুই পক্ষই চুক্তির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান খুঁজে পাবে। টেলিভিশন শিল্পী ও কলাকুশলীদের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন প্রসঙ্গে খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ডাবকৃত বিদেশী সিরিয়াল ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করা উচিত। এসব সিরিয়াল বন্ধ হলে আমাদের টেলিভিশন শিল্পের কোন ক্ষতি হবে না। আমাদের দেশের দুই-একটি চ্যানেল আছে যারা এগুলো চালায়। দেশের ৫ শতাংশ মানুষ হয়ত দেখে বাকি ৯৫ শতাংশ মানুষ এগুলো পছন্দ করে না। অনেক ক্লায়েন্ট ও এজেন্সি শিল্পী নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দেশক ও প্রযোজকদের ওপর তাদের মতামত চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা খুব অমানবিক। দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ বন্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের শিল্পীরা অন্য দেশে গিয়ে কাজ করতে গেলে ওয়ার্ক পারমিটসহ ট্যুরের বিভিন্ন আইন ও নীতিমাল মেনে কাজ করে, কিন্তু বিদেশী শিল্পীরা কোন নিয়ম-নীতি ছাড়াই আমাদের দেশে নাটক বা অন্যান্য মাধ্যমে কাজ করে থাকে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। পরবর্তী কর্মসূচী সম্পর্কে তিনি বলেন, আগে দেখব সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়। পরবর্তীতে আমরা অন্য কর্মসূচী দেব। এ প্রসঙ্গে অভিনয়শিল্পী আবুল হায়াৎ বলেন, আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাব করা বিদেশী সিরিয়াল বন্ধ হলে টিভি শিল্পের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথমত আমাদের সরকারকে বুঝতে হবে এর থেকে আমরা কি লাভবান হচ্ছি? বিদেশে নাটকের একটি সিকোয়েন্স করতে কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের দেশে ব্যয় হয় বড়জোর পঞ্চাশ হাজার টাকা। এ বৈষম্য থেকে আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এগুলো বন্ধ করা উচিত। আমাদের দেশে অনেক বেশি টাকা দিয়ে বিদেশী শিল্পীদের কাজ করানো হচ্ছে, আমাদের দেয়া হচ্ছে খুবই কম। অসঙ্গতির কারণে আমাদের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বিদেশী শিল্পীরা এ দেশে কাজের ক্ষেত্রে কতটা নীতিমালা মানছে, তাদের কাছ থেকে আদৌ কোন লভ্যাংশ আসছে কিনা, সরকারের তা পর্যবেক্ষণ করা উচিত। টিভি চ্যানেল মালিকদের সঙ্গে কোন বৈঠক হয়েছে কি-না? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চ্যানেল মালিকরা আমাদের শত্রু না। তাদের কাছে আমাদের জীবন-জীবিকা। আমাদের সঙ্গে তেমন কোন বৈঠক এখনও হয়নি। তবে বসতে হবে। এসব বিষয়ে চ্যানেল মালিকরা নিয়মের মধ্যে আসুকÑ এটাই চাই। সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবে আমাদের আন্দোলন শুরু হলো। অবশ্যই সরকারের সঙ্গে বসতে হবে। তিনি বলেন, ডিস চ্যানেলে রাত-দিন চব্বিশ ঘণ্টা দেখানো হয় বিদেশী সিনেমা। সরকারী অনুমতি ছাড়া টিপু সুলতানসহ আরও অনেক সিরিয়াল দেখানো হয়। এগুলো বন্ধ করতে হবে। নাটকে পারিশ্রমিক তারতম্য সমস্যার সমাধানে প্রযোজকদের প্রতি অনুরোধ জানান নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক। তিনি বলেন, পারিশ্রমিক নিয়ে সমন্বয়হীনতার অভাব রয়েছে। এ ব্যাপারে সবার একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আসা উচিত। বাংলায় ডাবকৃত বিদেশী সিরিয়াল বন্ধের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ দাবি যৌক্তিক। এতে আমাদের দেশের টেলিভিশন শিল্পের ওপর কোন প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। এখন সময় বদলাচ্ছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের সিরিয়াল বানানো সম্ভব। বিদেশ থেকে সবকিছু আসার ফলে আমাদের দেশের ডিরেক্টর, প্রযোজকরা বঞ্চিত হচ্ছে। মোটকথা, আমরা দেশের জন্য কী করতে পারছিÑ এটা আগে ভেবে দেখতে হবে। আমরা সব নিয়মটা ঠিকমতো ইউটিলাইজ করতে পারছি কিনা দেখা উচিত। অভিনেতা ও নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, এ ভূখ-ের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ-ভাবনা ও চেতনাকে সুরক্ষিত রাখতেই আমাদের এ আন্দোলন। আমরা আমাদের কিছু দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরেছি, আর কিছু দাবি চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছে। আমরা চাইছি আমাদের দাবিগুলো শীঘ্রই মেনে নেয়া হোক। এফটিপিওর সদস্য সচিব নির্মাতা গাজী রাকায়েত বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আমাদের একতার শক্তিটি আমরা দেশবাসীকে দেখাতে চাই। দুর্যোগের মুহূর্তে আমরা একসঙ্গে চলব। তবে আমাদের আন্দোলন কোনভাবেই সরকারবিরোধী বা চ্যানেলবিরোধী নয়। আমরা সবাই মিলে আমাদের টেলিভিশন মাধ্যমকে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই, যা হবে এক নতুন উদাহরণ। চ্যানেল মালিকদের প্রতি এই নির্মাতা বলেন, ‘আপনারা ব্যবসা করবেন ভাল কথা, কিন্তু ব্যবসার পাশাপাশি শিল্পকেও ভালবাসুন। বর্তমানে আন্দোলনরত এফটিপিওর অন্তর্ভুক্ত সংগঠনগুলো হলো টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, টেলিভিশন নাট্যশিল্পী ও নাট্যকার সংসদ, সহকারী পরিচালক সমিতি, শূটিং হাউস ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টরস গিল্ড, টেলিভিশন লাইট হাউস এ্যাসোসিয়েশনস, অভিনয়শিল্পী সংঘ, প্রযোজনা ব্যবস্থাপক সমিতি, টেলিভিশন মেকাপ আর্টিস্ট এ্যাসোসিয়েশন, অডিও ভিজ্যুয়াল টেকনিক্যাল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, ক্যামেরাম্যান এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, টেলিভিশন লাইট ক্রু এ্যাসোসিয়েশন ও টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ। শিল্পী ও কলাকুশলীদের এ আন্দোলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে স্যাটেলাইট চ্যানেলÑ চ্যানেল আই, এটিএন বাংলা, এনটিভি, আরটিভি, বাংলাভিশনসহ বিভিন্ন স্যাটেলাইট চ্যানেল।
×