ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভাগা মোহাম্মদ আমির

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

দুর্ভাগা মোহাম্মদ আমির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তান তো বটেই, বিশ্ব ক্রিকেটেরই এক আলোচিত নাম। ঘরোয়া ক্রিকেট, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল), পাকিস্তান সুপার লীগে (এএসএল) দুর্দান্ত পারফর্ম করার পর স্পট ফিক্সিংয়ের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফের জাতীয় দলে ফিরেছেন এক বছর হতে চলল। অথচ পাকিস্তানের জার্সিতে বড্ড ম্লান। নিয়মিত সুযোগ পেলেও উইকেট শিকারে নিজের জাতটাকে চেনাতে পারছেন না। নাকি ভাগ্য তার সঙ্গে প্রতারণা করছে? আশ্চর্য হলেও সত্যি, ফেরার পর কম করে হলেও সতীর্থতরা আমিরের বলে ১৭-১৮ বারের মতো ক্যাচ ফেলেছেন। চাইলে এজন্য তিনি ফিল্ডারদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন। কিন্তু মাঠ ও মাঠের বাইরে বদলে যাওয়া আমির সেটি করছেন না, ‘অবশ্যই, এটা বোলারের ওপর প্রভাব ফেলে। ২২ গজ দৌড়ে এসে বল করছেন, তারপর আপনার বলে ক্যাচ ফেলতে দেখলে হতাশ হতেই হবে। তবে এটা আপনার চেয়ে দলকেই বেশি প্রভাবিত করে। আমি দুর্ভাগা, কিন্তু দলের কথাই আগে ভাবি।’ বলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত হ্যামিল্টন টেস্টে হেরে দীর্ঘ ৩১ বছর পর নিউজিল্যান্ডের কাছে ২-০তে সিরিজ খুইয়েছে পাকিস্তান। সিরিজে ‘হোয়াইটওয়াশ’ আজহার আলির দল। সফরে আমিরের পারফর্মেন্সও আহামরি নয়। ৪ ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন আলোচিত এ বাঁহাতি পেসার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর (প্রত্যাবর্তনে) ক্রাইস্টচার্চের প্রথম টেস্টে সেরা বোলিংটা (৪৩/৩) করলেও, নিষিদ্ধ হওয়ার আগের সেই আমিরের দেখা এখনও পায়নি পাকিস্তান। ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ টেস্টে ৫১ উইকেট পাওয়া আমির ফিরে আসার পর ৮ ম্যাচে পেয়েছেন ২৫ উইকেট। মন্দ নয়। তবে ঠিক তার সঙ্গে যায় না। স্ট্রাইক রেট দেখুন, ২০১০ সালে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে উইকেট প্রতি ৫৬ বল খরচ হতো আমিরের। আর শেষ ৮ টেস্টে প্রতিটি উইকেটের জন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে ৭৪টি করে বল। অথচ দায়টা পুরোপুরি আমিরের একার নয়। হ্যামিল্টন টেস্টের কথাই ধরা যাক। মোট ৪টি ক্যাচ পড়েছে আমিরের বলে। কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচটি তিনি নিজেই ছেড়েছেন। বাকি তিনটি ক্যাচ ফেলেছেন সামি আসলাম। এই ক্যাচ ফেলে দেয়াটা প্রভাব ফেলছে আমিরের বোলিং পরিসংখ্যানে। শুধু টেস্ট নয়, ওয়ানডে ও টি-২০তেও দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন আমির। ফিরে আসার পর ৯ ওয়ানডেতে ১২ উইকেট তার। টি২০তে তো আরও খারাপ অবস্থা। ১৩ ম্যাচে মাত্র ১১ উইকেট। তবে আমিরের দাবি, তার বলে এভাবে ক্যাচ না পড়লে উইকেট সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারত, ‘মনে রাখা কঠিন, তবে টেস্টে সম্ভবত ১২-১৩টা ক্যাচ পড়েছে আমার বলে। ছোট সংস্করণেও বোধ হয় ৬-৭টা ক্যাচ পড়েছে। ভাগ্য সহায় হচ্ছে না। তবে এটা ক্রিকেটেরই অংশ। কেউই ইচ্ছা করে ক্যাচ ফেলে না। আশা করছি সমস্যাটা কেটে যাবে।’
×