ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তাতিয়ানা চেরনোভাকে তিন বছর আট মাস নিষিদ্ধ ঘোষণা

স্বর্ণপদক ফিরে পাচ্ছেন ব্রিটেনের জেসিকা

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

স্বর্ণপদক ফিরে পাচ্ছেন ব্রিটেনের জেসিকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অবশেষে পদক হারালেন রাশিয়ার এ্যাথলেট তাতিয়ানা চেরনোভা। মঙ্গলবার কোর্ট অব অর্বিট্রেশান ফর স্পোর্টস (সিএএস) চেরনোভার জেতা ২০১১ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে সেই টুর্নামেন্টের স্বর্ণপদক পেতে যাচ্ছেন দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্য জেতা ব্রিটেনের জেসিকা ইন্নিস হিল। ২০০৯ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন জেসিকা ইন্নিস হিল। ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার দায়েগু ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের হেপ্টাথলনেও ফেবারিট হিসেবে জেসিকার নাম ছিল সবার আগে। কিন্তু সেবার তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান তাতিয়ানা চেরনোভা। শেষ পর্যন্ত ইন্নিস হিলকে পরাজিত করে স্বর্ণ জিতে নেন তাতিয়ানা। আর রৌপ্যপদক জুটেছিল জেসিকার ভাগ্যে। কিন্তু পরবর্তীতে চেরনোভার বিরুদ্ধে ড্রাগ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। সংশয় দেখা দেয় তার জেতা পদক নিয়ে। অবশেষে মঙ্গলবার কোর্ট অব অর্বিট্রেশান ফর স্পোর্টস ১৫ আগস্ট ২০১১ সাল থেকে ২২ জুলাই ২০১৩ সাল পর্যন্ত জেতা সব পদকই বাতিল করে দেয়। মোট তিন বছর আট মাস নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। এর মধ্যে ২০১১ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের স্বর্ণ এবং ২০১২ সালের অলিম্পিক পদকও নিষিদ্ধ করা হয়। চেরনোভা নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের হ্যাটট্রিক স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়লেন জেসিকা ইন্নিস। মঙ্গলবার তা ঘোষণার পরপরই দায়েগু ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের একটি ছবি ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করেছেন সম্প্রতি এ্যাথলেটকে বিদায় বলে দেয়া এই ব্রিটিশ তারকা। যে ছবিতে চেরনোভার সঙ্গে হতাশায় আচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। ছবির ক্যাপশানে জেসিকা ইন্নিস হিল লিখেছেন, ‘এই ছবিটা চিরদিনের জন্যই আমার স্মৃতিপটে অঙ্কিত হয়ে আছে।’ এ সময় তিনি আরও লিখেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত স্বর্ণপদক গ্রহণ করতে যাচ্ছি, এতে আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় স্বর্ণপদক, ওয়াও!’ গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরেই ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডে আলো ছড়িয়েছেন জেসিকা ইন্নিস। অসাধারণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। বিয়ের পর সন্তানসম্ভবা হওয়ার কারণে অনেকটা সময়ই ট্র্যাকের বাইরে থাকতে হয় তাকে। ২০১৩ সালের মাঝামাঝিতে বিয়ে করেন তিনি। এরপরই পেয়েছেন নারী জীবনের সফলতার স্বাদ। হয়েছেন পুত্র সন্তানের মা। অন্তঃসত্ত্বার কারণে ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি। সেই জেসিকাই বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন করেন। হ্যাপ্টাথলনে জিতেন স্বর্ণপদক। এরপর গত আগস্টে রিও অলিম্পিকে রৌপ্য জিতেন হিল। রিওতে স্বর্ণ জিততে পারলে প্রথম ব্রিটিশ মহিলা হিসেবে ব্যাক টু ব্যাক স্বর্ণ জেতার রেকর্ড গড়তে পারতেন তিনি। কিন্তু রিও অলিম্পিকের পরই হঠাৎ করে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটেনের স্বর্ণকন্যা জেসিকা। আগামী বছর লন্ডনে বসবে বিশ্ব এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠের সেই আসরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেই সরে যাওয়ার কথা জানালেন ৩০ বছর বয়সী এ্যাথলেট। অবসর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘২০০৯ সালের বার্লিন চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক- বর্ণাঢ্য এই সময়ে ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই পেয়েছি। তাই অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া খুব সহজ ছিল না। তবে আমি জানি এটাই চলে যাওয়ার সেরা সময়।’ সুদীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের অসামান্য সব অর্জনে দারুণ তৃপ্ত জেসিকা।
×