ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলায় ৯ আসামির যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদ, ডেইলি নিউএজ পত্রিকা ও একুশে টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান এবং বিবিসির কন্ট্রিবিউটর মরণোত্তর একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার রায়ে ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। দ-বিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের এই দ-াদেশ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই রায় ঘোষণা করেন ওই আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এমএ রব। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হলো সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম ওরফে বোমারু আকরাম, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল , মিঠুন, সাকা ওরফে সাখাওয়াত হোসেন ও সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন। অপর দুই আসামি কচি ওরফে ওমর ফারুক এবং মোঃ হাই ইসলাম কচির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। দ-প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৫জন পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত সূত্র জানায়, সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার দু’টি পার্ট। এর বিস্ফোরক অংশে আসামি ১০ জন এবং হত্যা মামলায় ওই ১০জনসহ মোট আসামি ১১ জন। বিস্ফোরক অংশে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওই মামলা থেকে তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়। হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-সহ জরিমানা করা হয়। এদিকে রায় ঘোষণার আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের উৎসুক মানুষ আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়। ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের মাত্র ৫০ গজ দূরে রাস্তার ওপর দিবালোকে বোমা মেরে হত্যা করা হয় সাংবাদিক মানিক সাহাকে। এই ঘটনার দুই দিন পর খুলনা থানার তৎকালীন এস আই রণজিৎ কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে খুলনা থানায় মামলা দায়ের করেন। বহুল আলোচিত সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এনামুল হক বলেন, রায়ের কপি হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে এখন এটুকু বলতে পারি যে রায় হয়েছে তাতে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। দীর্ঘ ১২ বছর যাবত মামলাটি এক কোর্ট থেকে আর এক কোর্টে ঘুরেছে। এই রায়ের মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত একটি ম্যাসেজ দিতে পেরেছি যে, সাংবাদিকরা নিরাপদে নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন।
×