ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সোল ফুড-পার্ট ১;###;সুমন্ত গুপ্ত

বেস্বাবা সুমনের সলো এ্যালবাম

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

বেস্বাবা সুমনের সলো এ্যালবাম

সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড অর্থহীনের প্রতিষ্ঠাতা এবং দলনেতা। জন্ম তারিখ ৮ জানুয়ারি। সঙ্গীত জগতে সুমন ‘বেস-বাবা’ নামে বহুল পরিচিত। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী শিল্পী, যাকে বিখ্যাত বেস গিটার ব্যান্ড এমটিডি পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। সুমন গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, ঢাকা থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেন, তারপর সঙ্গীতের জগতে প্রবেশ করেন। ১৯৮৬ সালে সুমন তার রকসঙ্গীতের জীবন শুরু করেন। এই বছরই সুমন ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ড গঠন করেছিলেন। ১৯৯০ সালে ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে সুমন বেস গিটার বাজাতেন। সে বছর সুমন তার ব্যান্ডের নাম বদলে ‘রক ফ্যান্টম’ রাখেন। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ওয়ারফেজ, ইন ঢাকা, সুইট ভেনম, রক বি-গ্রেডে বেস গিটারবাদক হিসেবে গিটার বাজান। ওই বছরই তিনি তার প্রথম এ্যালবাম ‘সুমন অর্থহীন’-এর কাজ শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে সুমন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিলিংস ত্যাগ করেন। তিনি একক এ্যালবাম করার পরিকল্পনা করেন। তার ইচ্ছা ছিল ভিন্ন ধারার গান করার। তিনি এমনভাবে একক গান করা শুরু করেন যাতে ব্যান্ডের পরিবেশটা একক গানেও বজায় থাকে। ১৯৯৫ সালে ‘শব্দ’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন এবং এই ব্যান্ড থেকে কিছু গান রেকর্ডিংয়ের কাজ শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে ‘শব্দ’ ভেঙে যায়। তারপর তিনি ‘ওয়ারফেজে’ যোগদান করেন। ১৯৯৭ সালে ওয়ারফেজের চতুর্থ এ্যালবাম ‘অসামাজিক’-এর কাজ শুরু হয়। জি-সিরিজ থেকে সুমনের প্রথম একক এ্যালবাম ‘সুমন ও অর্থহীন’ প্রকাশিত হয়। এ্যালবামটি ব্যাপক শ্রোতাপ্রিয়তা পায়। সমালোচকরাও নতুন ধারার এই গানটির প্রশংসা করেন। ১৯৯৯ সালে সুমন ওয়ারফেজ ত্যাগ করেন। এই বছরই ব্যান্ডের নাম ঠিক হয় ‘অর্থহীন’। ২০০০ সালে অর্থহীনের প্রথম এ্যালবাম ‘ত্রিমাত্রিক’ প্রকাশিত হয়। এই এ্যালবামটির জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। সুমনের নাম ওয়ারউইকের ‘ফেমাস ইউসার লিস্ট’-এ লিপিবদ্ধ হয়। তিনি প্রথম এশিয়ান সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। ২০০১ সালে অর্থহীনের দ্বিতীয় এ্যালবাম ‘বিবর্তন’ প্রকাশিত হয়। কারণ উল্লেখ্য, বিবর্তন বাংলাদেশের ব্যান্ডসঙ্গীতের ইতিহাসে অন্যতম ব্যবসাসফল এ্যালবাম। ২০০২ সালে অর্থহীনের তৃতীয় এ্যালবাম ‘নতুন দিনের মিছিলে’ প্রকাশিত হয়। এই এ্যালবামে রয়েছে ‘সাতদিন নামের ২৮ মিনিট ৩২ সেকেন্ড এর একটি গান। এটি বাংলা ব্যান্ডসঙ্গীতের ইতিহাসে দীর্ঘতম গান। সুমনের দ্বিতীয় একক এ্যালবাম ‘স্বপ্নগুলো তোমার মত’ প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে অর্থহীনের চতুর্থ এ্যালবাম ‘ধ্রুবক’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে সুমন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুমন আগের মতো আর গান করতে পারবেন না বলেও শঙ্কা দেখা দেয়। সুমন তখন মেটালসঙ্গীত গাওয়া কমিয়ে দেন। ২০০৪ সালে সুমনের অসুস্থতার কারণে ব্যান্ডের প্রায় সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। ২০০৫ সালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে যান সুমন। কিছু দিনের মধ্যে অর্থহীনের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয় যাওয়ার উপক্রম হয়। কিন্তু হাল ছেড়ে দেননি জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে সুস্থ হয়ে ওঠেন। ওই বছর সুমন জন ডেনভারের গানের অনুবাদ করে ‘মেঘের দেশে’ নামের একটি এ্যালবাম প্রকাশ করেন। ২০০৭ সালে সুমনের তৃতীয় একক এ্যালবাম ‘বোকা মানুষটা’ প্রকাশিত হয়। গত ৩১ অক্টোবর এই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী প্রথম একক ইস্টুমেন্টাল বেস এ্যালবাম ‘সোল ফুড-পার্ট ১’ প্রকাশিত হয়।
×