ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে গম বীজ সঙ্কট ॥ অনাবাদির শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে গম বীজ সঙ্কট ॥ অনাবাদির শঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ৩০ নবেম্বর ॥ ঠাকুরগাঁওয়ে গম বীজের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে, চাষীরা জমি তৈরি করলেও বীজের অভাবে বপন করতে পারছে না ফলে সিংহভাগ জমি অনাবাদি থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠাকুরগাঁও দেশের অন্যতম উন্নত ও উৎকৃষ্টমানের গম উৎপাদনের এলাকা। কিন্তু চলতি গম আবাদ মৌসুমে বীজের চরম ঘাটতি থাকায় চাষীরা মাথা ঠুকছে। বীজ সংগ্রহের আশায় বিএডিসিসহ খোলা বাজারে ডিলার পাইকারদের ঘরে ঘরে দৌড়ঝাঁপ করে বীজ সংগ্রহে সফল হচ্ছে না। জেলায় এবার ৬৮ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা সংশ্লিষ্ট দফতর নির্ধারণ করে। এ জন্য ৮ হাজার টন গম বীজের প্রয়োজন। কিন্তু বিএডিসি এ পর্যন্ত মাত্র ৮ ভাগের এক ভাগও সরবরাহ করতে পারেনি। এখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে মাত্র এক হাজার একশ’ মেট্রিকটন। প্রতি কেজি গম বীজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪ টাকা। কিন্তু অধিক দাম দিয়েও যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বিএডিসি’র চেয়ারম্যানের কাছে পত্র পাঠিয়ে আবেদন করেছেন যে বাফার স্টক হতে এক হাজার মেট্রিকটন গম দ্রুত ঠাকুরগাঁও জেলার জন্য বরাদ্দ ও প্রেরণের জন্য। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দফতর জানায়, গম চাষের প্রকৃত মৌসুম পেরিয়ে যাচ্ছে। বিলম্বে বীজ পৌঁছালে গম চাষ হবে নাবী। নাবী চাষে ফলন ও মান আশানুরূপ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বে এবং বিএডিসির কন্ট্রাক অধিক বীজ উৎপাদন আপনকালীন বীজ সংগ্রহ অভিযান ব্যাপকভাবে ব্যহত হতে পারে ফলে কৃষি বিজ্ঞানীরা মত প্রকাশ করেছেন। রেলওয়ের শত কোটি টাকা লোপাট সংবাদ সম্মেলন স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী ॥ বুধবার সকালে পাকশী হাসেম আলী মিলনায়তনে রেলওয়ে পাকশী বিভাগের তালিকাভুক্ত ঠিকাদাররা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। কথিত প্যাকেজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে রেলওয়ের শত শত কোটি টাকা লোপাটের প্রতিবাদে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম। বক্তব্য ও প্রশ্নের জবাব দেন- মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা চান্না, তরিকুল ইসলাম ভাদু, এনামূল হক বিশ্বাস, আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম বাবু ম-ল, হারুন অর রশিদ এবং আক্তার হোসেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ঠিকাদাররা সিডিউল মোতাবেক কাজ করলেও বড় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিডিউলের বাইরে মোটা অংকের দর দিয়ে অনৈতিকভাবে কাজ অনুমোদন করাচ্ছেন। আমরা কোন কাজ যে পরিমাণ অর্থে সম্পন্ন করি, বড় প্রতিষ্ঠান একই কাজ ২/৩ গুণ বেশি অর্থ ব্যয়ে সম্পন্ন করে। এতে রেলওয়ের শত শত কোটি টাকা গচ্ছা যাচ্ছে।
×