গোল্ডম্যান স্যাকসের সাবেক অংশীদার স্টিফেন মানুচিনকে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী অর্থমন্ত্রীর ভূমিকায় দেখা যেতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো এমন আভাস দিয়েছে। ওয়ালস্ট্রিটের সাবেক এ সদস্যর নাম বুধবারই পরবর্তী ট্রেজারি সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষিত হতে পারে। এদিকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মঙ্গলবার নিউইয়র্কের এক বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় মিট রমনি সঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন। যা জল্পনা আরও উস্কে দিল যে, ট্রাম্পের এক সময়ের শত্রুই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর বিবিসি ও টেলিগ্রাফের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর প্রচার শিবিরের অর্থ বিভাগের দায়িত্বে থাকা মানুচিনের সঙ্গে ওই পদে আরও উচ্চারিত হচ্ছিল জেপি মরগ্যান চেজের চেয়ারম্যান জেমি ডিমন ও হাউস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান প্রতিনিধি জেব হেনসার্লিংয়ের নাম। ওয়ালস্ট্রিটের ব্যবসায় অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানুচিন ওই দায়িত্ব নিলে তিনি তার সাবেক বস গোল্ডম্যান স্যাকসের আরেক শীর্ষ নির্বাহী হেনরি পলসনের পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন। বুশ প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী পলসন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দা শুরুর সময়ও দুই বছর দায়িত্বে ছিলেন। প্রাইভেট ইক্যুইটি খাতে বিনিয়োগ ও হেজ ফান্ড ব্যবস্থাপনায় সফলতার নজির রাখা মানুচিন সরকারী কাজে ‘অভিজ্ঞ’ নন। গোল্ডম্যান স্যাকসে ১৭ বছর কাটানোর পর ২০০২ সালে সেখান থেকে বেরিয়ে ডিউন ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন মানুচিন। তার প্রতিষ্ঠান রুপার্ট মারডকের টোয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স ও টাইম ওয়ার্নারের ওয়ার্নার ব্রাদার্সে অনেক ছবিতে বিনিয়োগ করে। মানুচিনের বিনিয়োগ করা ছবির মধ্যে আছে ‘অ্যাভাটার’, ‘ম্যাড ম্যাক্স: ফিউরি রোড’, ‘এক্স ম্যান’ সিরিজ, ‘আমেরিকান স্নাইপার’ ও ‘সুইসাইড স্কোয়াড’ এর মতো ব্যবসাসফল ছবিও।
রাতের খাবার খাওয়ার জন্য নিউইয়র্কের থ্রি স্টার হোটেল বেছে নেয়া একটি পরিষ্কার ইঙ্গিত যে, ট্রাম্প তার প্রধান কূটনীতিক হিসেবে রমনিকে নির্বাচন করতে পারেন। ডিনারের পর ট্রাম্পের ব্যাপক প্রশংসা করেন রমনি।