ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

নামী স্কুল বনাম ভাল স্কুল

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৬

নামী স্কুল বনাম ভাল স্কুল

ভাল শিক্ষকের গুণে একজন লেখাপড়ায় অমনোযোগী ছাত্র কিভাবে মনোযোগী হয়ে ওঠে তার একটি উদাহরণ আমি নিজেই। ছোটকালে আমার স্কুলে যাওয়া ও লেখাপড়া ভাল লাগত না। স্কুল পালানো ছেলে ছিলাম আমি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিক্ষকদের কড়া নজরদারিতে লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়েছিলাম। ভাল ও আদর্শবান শিক্ষক পেলে শিক্ষার্থীরা ভাল শিক্ষা পাবে। আর ভাল শিক্ষকের গুণে একটি স্কুল ভাল স্কুল হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে সরকারী-বেসরকারী হাজার হাজার স্কুল আছে। স্কুল বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে স্কুলের লেখাপড়ার মান ও শিক্ষকদের দক্ষতা এবং শিক্ষার্থীরা কি শিখছে। এই সব বিষয়ের ওপর নির্ভর করে একটি ভাল স্কুলের বৈশিষ্ট্য স্কুলে শুধু পাঠ্যবই পড়া নয়, পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি দেশপ্রেমের শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা, সচেতনতামূলক শিক্ষা প্রদানসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে নানা সাংস্কৃতিক চেতনা জাগ্রত করা একটি ভাল স্কুলের বৈশিষ্ট্য। আর এতে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দেশে এমন স্কুলের সংখ্যা খুব কম। আমরা সাধারণত ভাল স্কুল বলতে বুঝি যেসব স্কুলে ভাল রেজাল্ট করে ব্যাস এতটুকু। তাও এসব স্কুলে অর্থের প্রতিযোগিতা চলে। আমরা দেখেছি উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এসব স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়। যদিও ভর্তি পরীক্ষা বলে কথা আছে। কিন্তু তার আড়ালে অর্থ বড় ভূমিকা পালন করে। স্কুলের পরিবেশ বলে একটি কথা আছে। অনেক স্কুলে এখনও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। এমনকি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। এসব নিয়ে পত্রিকায় লিখেছি। এখন কেজি স্কুলের কথা বলব। বাংলাদেশের চারদিকে অলি-গলিতে যেখানে-সেখানে ব্যাঙের ছাতার মতো কেজি স্কুল গড়ে উঠেছে। আপনি কি মনে করেন যারা কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন তারা কি সত্যিকারের শিক্ষাদান করার জন্য করেছেন? মোটেই না। এসব মূলত অর্থ কামানোর জন্য। শিক্ষা এখন বাণিজ্যের পণ্য হয়ে উঠেছে। টাকা থাকলে শিক্ষা, টাকা না থাকলে শিক্ষা নেই- এটাই আসল কথা। বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতা গ্রামের স্কুলের লেখাপড়া করেছেন। গ্রামের স্কুলে লেখাপড়া করে বড় বড় নেতা, দেশসেবক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সরকারী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ অনেকেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। দক্ষিণ মধ্য হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×