ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

নরসিংদীতে হত্যার দায়ে ৬ আসামির ফাঁসি, শরীয়তপুরে একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

নরসিংদীতে হত্যার দায়ে ৬ আসামির ফাঁসি, শরীয়তপুরে  একজনের মৃত্যুদণ্ড

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নরসিংদী পৌর শহরে বরফকল শ্রমিককে হত্যার দায়ে মঙ্গলবার ৬ আসামিকে ফাঁসি এবং শরীয়তপুরে পুত্রবধূ ও ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। খবর নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো। নরসিংদী : জানা গেছে, নরসিংদী পৌর শহরের বাজির মোড়ে বরফকল শ্রমিক মোঃ আইয়ুবকে হত্যার অভিযোগে ৬ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলো নরসিংদী পৌর শহরের পশ্চিম কান্দাপাড়ার মহল্লার শীতল চন্দ্র দাসের পুত্র সোহাগ, বৌয়াকুড় মহল্লার আবদুর রাজ্জাকের পুত্র সাদ্দাম, একই মহল্লার সুধীর চন্দ্র দাসের পুত্র সমীর, ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানার রামনাথপুর দক্ষিণপাড়ার লালউদ্দীন মোল্লার পুত্র সুজন, চাঁদপুর জেলার মতলব থানার আম্মাকান্দা গ্রামের সাদেক মিয়ার পুত্র এরশাদ ও বৌয়াকুড় মহল্লার কালাচাঁনের পুত্র বিমল। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নরসিংদী শহরের বৌয়াকুড়ের মোছলেহউদ্দীন সুপার মার্কেটে মোঃ কবিরের বরফকলের কর্মচারী মোঃ আইয়ুবকে উল্লেক্ষিত আসামিরা একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গত ২৯/০৮/২০০৮ শুক্রবার দুপুরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি পর ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ দুপুর ১২টায় শহরের দামের ভাউলা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাথাবিহীন তার লাশ পাওয়া যায় । এ ব্যাপারে আইয়ুবের পিতা আবদুল হেকিম সরকার বাদী হয়ে উল্লেখিত ৬ আসামির বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইমামউদ্দীন দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। এ মামলায় বাদীসহ ৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দেয়। তবে এ মামলার সকল আসামিই জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এপিপি অলিউল্লা, আসামি পক্ষে ছিলেন অলিউল্লাহ মিঠু। শরীয়তপুর ॥ মঙ্গলবার শরীয়তপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত একটি হত্যা মামলার আসামি গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজকে মৃত্যু দ-াদেশ প্রদান করেছে। মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাঁচালীয়া গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র কবিরাজের পুত্র। ২০১০ সালের ২৮ জুলাই পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে গোবিন্দ চন্দ্র কবিরাজ তার পুত্রবধূ অর্চনা কবিরাজ এবং ভাই লাল মোহন কবিরাজের স্ত্রী রানী বালাকে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন শরীয়তপুর জেলা জজকোর্টের পিপি এ্যাডভোকেট মির্জা হজরত আলী এবং আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সিনিয়র এ্যাডভোকেট বজলুর রশীদ আকন্দ ও মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কাশেম।
×