ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

ওয়াকিলুর রহমানের ছাপচিত্রে প্রবাস জীবনের বিলম্বিত যাত্রা

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

ওয়াকিলুর রহমানের ছাপচিত্রে প্রবাস জীবনের বিলম্বিত যাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পের পথে নিরন্তর ধাবিত হওয়া এক চিত্রশিল্পী ওয়াকিলুর রহমান। সেই দীর্ঘ শিল্পযাত্রায় জীবনের বহুমাত্রিক অনুভূতির সঙ্গে প্রবাসে যাপিত জীবনের উপলব্ধিকে মেলে ধরেছেন ক্যানভাসে এই শিল্পী। সৃজনের স্রোতধারায় জার্মানিতে থাকাকালীন সময়ে সৃজন করেছিলেন বেশ কিছু চিত্রকর্ম। সেই সব ছবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে ধানমণ্ডির গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানে শুরু হলো ডিপ প্রিন্ট শীর্ষক ছাপচিত্র প্রদর্শনী। যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যলারি টোয়েন্টিওয়ান ও আর্টকন। হেমন্ত সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বরেণ্য শিল্পী মনিরুল ইসলাম। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্যালারি টোয়েন্টিওয়ানের পরিচালক শামীম সুব্রানা। নিজের শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে অনুভূতি প্রকাশ করেন ওয়াকিলুর রহমান। ডিপ প্রিন্ট শিরোনামের প্রদর্শনীটি ধারণ করেছে শিল্পীর জার্মানির প্রবাস জীবনের প্রলম্বিত যাত্রাকে। ছাপচিত্রের ইন্টাগ্রিও কৌশলে আশ্রয়ে যেখানে রং ছাচে মূলপৃষ্ঠের তলদেশে প্রয়োগের মাধ্যমে সৃজিত হয়েছে চিত্রকর্ম। ওয়াকিলের প্রদর্শনীর ছাপচিত্রগুলো এচিং, এ্যাকুয়াটিন্টের ব্যতিক্রমী স্বতঃস্ফূর্ততায় জলরংয়ের মতো ফ্রি লাইনে ও পৃষ্ঠতলের আকৃতির সঙ্গে আন্দলিত হয়েছে। লাইন, চেক্সচার, কম্পোজিশন, গাঢ় রংয়ের প্রয়োগ ও প্যাস্টেল বর্ণের উদ্ধত সমীকরণে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে কাজগুলো। ওয়াকিলের শিল্পকর্ম ফর্ম, লাইন, ভূপ্রকৃতি, জলজ ও প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানের চেক্সচারে ধ্যানমগ্ন। বস্তুগত ছাপচিত্রের পাশাপাশি তিনি তার কাজে সংশ্লেষণ করেছেন শব্দ ও সংখ্যা। শিল্পীর শিল্পকর্মগুলো ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার দীর্ঘ শিল্পজীবনের এক ঝলক হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এ যেন শিল্পীর ব্যক্তিগত আকাক্সক্ষা, আনন্দ, প্রেরণা অথবা দর্শনের সমন্বিত আখ্যান যা অনুঘটক হিসেবে সহায়তা করেছে কনসেপচুয়াল আর্ট ও নিউ মিডিয়ায় যাত্রাকে অতিক্রম করতে। প্রবাস জীবনে জার্মানিতে সৃজিত ৩৮ ছাপচিত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে প্রদর্শনী। ১৮ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে নামছে টিভি শিল্পীরা ॥ নানামুখী আগ্রাসনে ক্রমশই হুমকির মুখে ধাবিত হচ্ছে দেশের টেলিভিশন শিল্প। সেই আগ্রাসন ঠেকাতে এবার রাজপথে নামছেন এই শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিল্প ও কলাকুশলীরা। নানা প্রতিকূলতা, অনিশ্চয়তা ও বিদেশী সংস্কৃতির আধিপত্য থেকে শিল্পটিকে রক্ষা করতে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নামছে টিভি তারকা, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ সেøাগান ধারণ করে রাজপথে নামার ঘোষণা দিয়েছে দেশের টেলিভিশন মিডিয়ার শিল্পী ও কলাকুশলীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনাল অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ৫ দফা দাবি নিয়ে সমাবেশ করবে সংগঠনটি। তাদের ৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- দেশের বেসরকারী টিভি চ্যানেলে বাংলায় ডাবকৃত বিদেশী সিরিয়াল ও অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ করা, টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে এজেন্সির হস্তক্ষেপ ব্যতীত চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটির ন্যূনতম ও যৌক্তিক হার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে, দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে এবং ডাউনলিংক চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশী চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা ও পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এতে বক্তব্য রাখেন এফটিপিওর আহ্বায়ক মামনুর রশীদ, সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত, প্রডিউসার এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার পাঠান, নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, অভিনয়শিল্পী সংঘের আহ্বায়ক আহসান হাবীব নাসিম। আরও উপস্থিত ছিলেন রোকেয়া প্রাচী, শিরীন বকুল, শহিদুল আলম সাচ্চু, আনজাম মাসুদ প্রমুখ। সমাবেশে টিভি মিডিয়া সকল শিল্পী-কলাকুশলীদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়। দি জুবলী হোটেল নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন ॥ ঢাকার মঞ্চে যুক্ত হলো আরেকটি নতুন নাটক। আরণ্যক নাট্যদলের ৫৭তম প্রযোজনাটির শিরোনাম দি জুবলী হোটেল। নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন মান্নান হীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। দি জুবলী হোটেল নাটকে মফস্বল শহরের একটি বিখ্যাত চায়ের দোকানকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে কাহিনী। হোটেলটিতে শহরের সর্বস্তরের মানুষের নিয়মিত আড্ডা চলে। সেই সূত্রে হারু ম-ল নামের এক প্রবীণ নিদর্শকও দলবল নিয়ে সেখানে নিয়মিত আড্ডা মারে। নাটক নির্মাণের লক্ষ্যে সেখানে নিয়মিত মিটিং করে। তবে ২০ বছর ধরে সুলতান রাজিয়া নামের সেই নাটকটি আর মঞ্চে আসে না। কারণ, সুলতান রাজিয়া নামের চরিত্রের অভিনয়ের জন্য পাওয়া যায় না কোন অভিনেত্রী। এদিকে শহরে আসে যাদুর দল ‘দি ঘোষ ম্যাজিক পার্টি’। সেই ম্যাজিক পার্টির নৃত্যশিল্পী হেমামালিনীকে হারু ম-লের মনেয় সেই হতে পারে সুলতান রাজিয়া। হারু ম-ল তাকে প্রস্তাব দিলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ম্যাজিক পার্টিও সঙ্গে থাকা পাকা স্ট্যাম্পে চুক্তি। এদিকে জুবলী হোটেলের এক কর্মী মমতা শত প্রতিকূলতার মাঝেও সুন্দর সংসারের স্বপ্ন দেখে। তবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নির্মম ষড়যন্ত্রের তা ভেঙ্গে হয় খানখান। ওই হোটেলের আরেক নিয়মিত আগন্তুক হলেন বাউল। তার কণ্ঠে মানব ধর্মেও গান শুনে সকলের বোধোদয় হলেও ধর্মীয় উগ্রবাদীদের সেটা ভাল লাগে না। তাকে পড়তে হয় রোষানলে। চলমান সময়ের চলমান সামাজিক সঙ্কটের এমন নানা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে এগুতে থাকে নাটকের কাহিনী। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্রের প্রগতির চাকাকে থামিয়ে দেয়া, বিজ্ঞান ও শিল্পের আক্রান্ত হওয়া এবং নারীর সম্মান ও মর্যাদা- এমন বিষয়গুলোই মূল উপজীব্য হয়ে উঠে এসেছে প্রযোজনাটিতে। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কৌশিক সাহা, নিকিতা নন্দিনী, রুবলী চৌধুরী, তমালিকা কর্মকার, মান্নান হীরা, আমিনুল হক, কামরুল হাসান, ফিরোজ মামুন, জুবায়ের জাহিদ, সুজাত শিমুল প্রমুখ। শেখ মুজিব-কে জানুন গ্রন্থের প্রকাশনা ॥ প্রকাশিত হলো প্রাবন্ধিক মোঃ মতিউর রহমানের লেখা গ্রন্থ শেখ মুজিব-কে জানুন। মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান (অব), মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কামরুল লায়লা জলি প্রমুখ।
×