ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তবে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বরফ গলছে মিয়ানমারে

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বরফ গলছে মিয়ানমারে

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ মিয়ানমারে সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশসহ সমমনা সব দেশকে নিয়ে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বর নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবির পর মিয়ানমারে বরফ গলতে শুরু করেছে। রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর দেশটির সেনাবাহিনী দমন-পীড়ন চালানোর প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে ব্যাপক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ইন্দোনেশিয়ায় মিয়ানমার দূতাবাসে জনতার হামলা ও ইবনে খালদুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে এ খবর পাওয়ার পর মিয়ানমারের নোবেল জয়ী নেত্রী আউং সান সুচি তার ইন্দোনেশিয়া সফর ইতোমধ্যে স্থগিত করেছেন। উত্তর মংডুর বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত সেনা টহল থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে রোহিঙ্গাদের উপর কোন ধরনের অত্যাচার করা হচ্ছে না বলে ওপার থেকে মুঠোফোনে পাওয়া খবরে জানা গেছে। সূত্র জানায়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তর মংডুর বিভিন্ন এলাকার রোহিঙ্গাদের উপর ১০ অক্টোবর থেকে ধরপাকড়, হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িতে আগুন ও ভিটাছাড়া করে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে আসছিল দেশটির সেনা বাহিনী ও পুলিশ। নির্মম হত্যা ও অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসে মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে না দিয়ে দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা সেখানেই সমাধান করতে বার বার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ওই প্রস্তাবকে ইতিবাচক দাবি মনে করে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ওই সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগী হয়েছে বুঝতে পেরে মিয়ানমার সরকার নমনীয় ভাব দেখিয়ে চলছে বলে জানা গেছে। মিয়ানমারে সহিংসতার শুরু থেকেই বাংলাদেশ বলে আসছে, রোহিঙ্গাদের ফের এদেশে ঢুকতে দেয়াটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান নয়। বরং মিয়ানমারে সমস্যার বিষয়ে দেশটির সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য জাতিসংঘসহ বহির্বিশ্বকে আহ্বান জানানো হয়। পরে আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশ প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ফলে মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে বরফ গলতে থাকে আরাকানে। ওপারের এক রোহিঙ্গা নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার আপাতত রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দেয়া থেকে বিরত রয়েছে দেশটির সেনা বাহিনী। ধরে নিয়ে যাওয়া হয়নি কোন রোহিঙ্গাকে। হয়নি কোন সহিংস ঘটনা। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য অন্যদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নাফ নদীর দিকে লাইন পড়েনি রোহিঙ্গা পরিবারের। তবে যারা ইতোপূর্বে পালিয়ে আসতে ওপারে জিরো পয়েন্টে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে, তারা বার বার বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। বিজিবি সূত্র জানায়, টেকনাফের চার পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই ৬ নৌকা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বাধা প্রদান করেছে বর্ডার গার্ড বিজিবির সদস্যরা। এছাড়াও মঙ্গলবার ৩৭ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। সেখানে ১০ পুরুষ, ১৪ নারী এবং ১৩ শিশু রয়েছে। কক্সবাজার ৩৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ইমরান উল্লাহ সরকার জানান, নাফ নদী দিয়ে অনুপ্রবেশকালে পালংখালী বিওপি এবং রেজুখাল যৌথ চেকপোস্টের জওয়ানরা সীমান্ত শূন্য রেখায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৭টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ওসব রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে। তিনি জানান, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে বিজিবির তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল ছিদ্দিকী জানান, মঙ্গলবার ভোরে নাফ নদীর ৪ পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা বোঝাই ৬ নৌকাকে বাধা প্রদান করা হয়েছে। এতে তারা বাংলাদেশে ঢুকতে না পেরে মিয়ানমারে ফেরত যায়। যেসব পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বেশি প্রবেশের চেষ্টা করছে, সেসব পয়েন্টে বিজিবির সর্বোচ্চ নজরদারি আছে। পাশাপাশি সীমান্ত জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। এক শ্রেণীর দালাল বিজিবির চোখে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে কিছু কিছু রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশ করিয়ে চলছে। স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে ৯ দালালকে ধরে কারাগারে পাঠিয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র ॥ কড়া নজরদারির মধ্যেও টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দালালের সহায়তায় বিচ্ছিন্নভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাচ্ছে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল। রোহিঙ্গাকে পুঁজি করে ওই মহলটি অতীতেও ফায়দা লুটেছে। রোহিঙ্গাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ এনেছে বিদেশ থেকে। ইতোপূর্বে সন্ত্রাসী গোচর রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চালিয়েছে ওই মহলটি। এবারেও দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চেয়েছিল ওরা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ঢাল হিসেবে ব্যবহারের পন্থা বের করতে চেয়ে বর্তমানে গুড়েবালি অবস্থা দেখে বেজায় নাখোশ বিএনপি-জামায়াতের কতিপয় নেতা, এনজিও কর্মী এবং আরাকান বিদ্রোহী গ্রুপ আরএসও ক্যাডাররা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর মনোভাব এবং পরবর্তীতে মিয়ানমারে সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশসহ সমমনা সব দেশকে নিয়ে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বর নির্যাতনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্র। বাড়িঘরে ফিরছে না রোহিঙ্গারা ॥ মিয়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় থাকা রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও তাদের শিশুরা শীতে কষ্ট পাচ্ছে দেখেও ফিরে যাচ্ছে না স্ব-স্ব বাড়িঘরে। দিনের পর দিন ওপারে বেড়িবাঁধ, ঝুপ-জঙ্গল ও স্বজনদের বাড়িঘরে অনুপ্রবেশ করতে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। মুঠোফোনের মাধ্যমে কথা বলে গভীর রাতে কেউ কেউ সীমান্ত গলিয়ে ঢুকে পড়ছে টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। অভুক্ত রোহিঙ্গারা ॥ রোহিঙ্গা নারী রেহেনা, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জাম্বুনিয়া পাড়ার মুসলিম নারী। অনুপ্রবেশ করার সময় টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তার স্বামী নুরুল আমিনকে দেশটির সেনাবাহিনী ধরে নিয়ে গেছে একমাস আগে। প্রাণ ভয়ে তার একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে গোপনে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। এখানে এসে আশ্রয় নেবে লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে। তার মতো নিজ ভিটাবাড়ি ছেড়ে আসা অসংখ্য রোহিঙ্গা ওপারে (মিয়ানমারে) মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। যাদের খাদ্য ফুরিয়ে গেছে, তারা খাচ্ছে লতাপাতা। তারা নাকি জান গেলেও নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে যাবে না। এদের মধ্যে রয়েছে দুগ্ধপোষ্য শিশু থেকে বৃদ্ধরাও। টেকনাফের লেদা ও উখিয়ার কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। এখানেই আশ্রয় নেয়া নবী আলম (৪০) জানান, তিনি উত্তর মংডুর গৌজিবিলের বাসিন্দা। মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন সইতে না পেরে সকলে চলে আসতে দেখে তিনিও স্ত্রী এবং ৪ সন্তানকে নিয়ে ৫ দিন আগে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। তার সঙ্গে আরও ৫ পরিবারের ২৮ জন এসে সবাই কুতুপালং অনিবন্ধিত ক্যাম্পের ই-ব্লকে আশ্রয় নিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা বস্তি ও ক্যাম্পগুলোতে হঠাৎ লোক বেড়ে যাওয়ায় জীবনযাত্রা, খাদ্যপণ্য ও চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাখাইনদের মানববন্ধন ॥ কক্সবাজারের রামুতে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে রাখাইন জনগোষ্ঠী। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় চৌমুহনী বাসস্টেশনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার মংহ্লাপ্রু রাখাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। মানুষ হিসেবে নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের মানবিক কর্তব্য। তাই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শান্তি-সম্প্রীতি রক্ষায় এবং মানবিক কারণে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। সাংবাদিক অর্পন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া, পলক বড়ুয়া আপ্পু, তপন মল্লিক, নুরুল আলম জিকু, নবীউল আরাকান, ছৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুস শুক্কুর, আজিজুল হক আজিজ। এতে চেরাংঘাটা বড় ক্যাং পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিমং রাখাইন, মং রাখাইন, কিম রাখাইন, লুইক্য রাখাইন, টিনটিলা রাখাইন, রাখাই রাখাইন, মংপ্র’ রাখাইন, চয়ে রাখাইন, চানু রাখাইন, মংবা রাখাইন, টচায়ে রাখাইন, বাংচে রাখাইনসহ রাখাইন জনগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম নগরীতে চেকপোস্ট ॥ চট্টগ্রাম থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আসা রোহিঙ্গারা যেন চট্টগ্রাম নগরীতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। নগরীর প্রবেশ পথ কর্ণফুলী সেতু ও আরাকান সড়কের কালুরঘাট এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রবেশমুখগুলোতেও সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। সিএমপি সূত্রে জানানো হয়, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কর্ণফুলী সেতু ও কালুরঘাটে দুটি স্থায়ী চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে যানবাহন থামিয়ে সন্দেহভাজনদের যাচাই বাছাই চলছে। এছাড়া অক্সিজেন মোড় ও সিটিগেট এলাকায়ও সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উগ্রতার পথ পরিহার করো ‘বুদ্ধের’ পথে চলো ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর সে দেশের সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে কক্সবাজারের রামুতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বৌদ্ধসম্প্রদায়। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সমবেত হন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন। এতে বৌদ্ধ নেতারা বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যাটি অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের। বিষয়টি ধর্মের নয় মানবতার। মহামতি গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, ‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক’ জগতের সকল প্রাণীর মধ্যে রোহিঙ্গারাও আছে। বৌদ্ধদের পঞ্চশীলের প্রথম শীল হলো, ‘প্রাণী হত্যা থেকে বিরত থাকব এই শিক্ষাপদ গ্রহণ করছি। মানুষত দূরের কথা কোন কীট-পতঙ্গকেও হত্যা করা যাবে না। রামু কেন্দ্রীয় সিমা বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন, রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক ভিক্ষু শীললপ্রিয় থের, রাংকুট বনাশ্রম মহাবিহারের পরিচালক জুতিসেন থের, বৌদ্ধ ধর্মীয়নেতা তরুণ বড়ুয়া, চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, দুলাল বড়ুয়া, অর্পন বড়ুয়া, লিটন বড়ুয়া ও রজত বড়ুয়া রিকু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিপুল বড়ুয়া। রোহিঙ্গা সমস্যার সুরাহা করতে হবে মিয়ানমারকে দাবি করে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, রোহিঙ্গা নিপীড়ন করতে গিয়ে মানবতা বিরোধী যত ধরনের অপরাধ এর সবটাই করছে বলে অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কোন রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার সর্বশেষ ভরসাস্থল সামরিক বাহিনী একই রাষ্ট্রের অধিকারবঞ্চিত একটি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর উপরে এতটা নির্দয় এবং বর্বর হয়ে উঠতে পারে! মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেই জঘন্য কাজটিই করছে।
×