ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জমি কেনাবেচায় হয়রানি

লাভবান হচ্ছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

লাভবান হচ্ছেন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৯ নবেম্বর ॥ কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার আওতাভুক্ত জমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে প্রশাসনের অনুমতির বিধান রয়েছে। কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী, গঙ্গামতি, চরচাপলী ও কাউয়ারচর চারটি মৌজার জমি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের অনুমতি লাগছে। আর এ সুযোগে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের চাহিদা মতো নির্দিষ্ট অংকের টাকা না দিলে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ফাইল যায় না। অনিয়ম এক্ষেত্রে নিয়মে পরিণত হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে চলছে এ অরাজকতা। এ সকল অনিয়ম দেখার কেউ নেই। ফলে সীমাহীন হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও কুয়াকাটার উন্নয়নে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা। সোমবার বেলা ১১টায় কুয়াকাটা সৈকত সড়কে কলাপাড়া উপজেলা দলিল লেখক সমিতির উদ্যোগে এসব অনিয়ম বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচীতে জনপ্রতিনিধি, বিনিয়োগকারী, কলাপাড়া দলিল লেখক সমিতি, আবাসন কোম্পানি ও জমির মালিকসহ পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ভুক্তভোগীরা জানায়, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার চারটি মৌজায় ২৬ হাজার একর জমি এবং পায়রা বন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মাস্টারপ্ল্যান ও পারমিশনের নামে হয়রানি এবং জমি বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞার কারণে কুয়াকাটার উন্নয়ন থমকে আছে। বিনিয়োগকারীরা তাদের ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে চলে যাচ্ছে। জমির মালিকরা জমি বেচাকেনা না করতে পারায় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও চিকিৎসা করাতে পারছেন না টাকার অভাবে। মাস্টারপ্ল্যানের নামে আবাসন ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন না দেয়ার কারণে আবাসনখাতে বিনিয়োগ এখন শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। অপরদিকে জমি বেচাকেনা না হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। সব মিলিয়ে কুয়াকাটাকে নিয়ে সরকারের মহা-উন্নয়ন পরিকল্পনার অজুহাতে ভূমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের নানা হয়রানির কারণে দিশেহারা হয়ে বিনিয়োগকারী ও এলাকাবাসী। তাই তারা মাস্টারপ্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়ন ও পারমিশন জটিলতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
×