ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জটিল সমীকরণের মুখে সম্ভাব্য ট্রাম্প প্রশাসন

দুতের্তের বিশেষ দূত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৩০ নভেম্বর ২০১৬

দুতের্তের বিশেষ দূত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি

ডেনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার ফিলিপিনো ব্যবসায়িক পার্টনার হোসে অন্তেনিও এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এবার থ্যাঙ্কসগিভিং ডেতে ম্যানিলার একটি বিলাসবহুল হোটেলে অন্তেনিও জাঁকজমকপূর্ণ একটি পার্টি আয়োজন করেন। নিউইয়র্ক টাইমস। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের রগরিগো দুতের্তে অন্তেনিওকে ফিলিপিন্সে তার বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। বেশ সন্তর্পণেই তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ম্যানিলার ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকায় ডেভেলপার অন্তেনিওর ১৫ হাজার কোটি ডলার ব্যয়ে নির্মিত ৫৭ তালা টাওয়ার নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। এই টাওয়ার এখন ফিলিপিন্সের ধনাঢ্যতা, পুঁজিবাদ ও শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ৮ নবেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর অন্তেনিও গোপনে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে তিনি ট্রাম্প ছাড়াও তার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সন্তানরাও অন্তেনিওর ম্যানিলা প্রকল্পে যুক্ত আছেন। অন্তেনিওর সন্তানরাও বাবাকে একই ভাবে ব্যবসা দেখাশোনা করতে সহযোগিতা করে থাকে। অন্তেনিওর বড় ছেলে ফিলিপিন্সের অন্যতম ধনী। ম্যানিলার ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন দেশটির অনেক নামীদামী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও শোবিজ জগতের তারকা। অন্তেনিওর ছেলে উপস্থিত প্রায় ৫শ’ অতিথির উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছে এমন কিছু উপস্থাপন করতে যাচ্ছি যা নিয়ে আপনাদের গর্বের বিষয় হবে।’ ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লোক যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হয়েছেন। এ বিষয়টি দু’দেশের সম্পর্ককে জটিল করে তুলতে পারে। কারণ দুতের্তে ঐতিহ্যগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার দেশের যে সম্পর্ক ছিল তা থেকে সরে এসেছেন। তিনি চান তার দেশে যেসব মার্কিন সৈন্য রয়েছে তারা তল্পিতল্পা গুটিয়ে বিদায় হোক। এর জন্য তিনি দু’বছর সময় বেঁধে দিয়েছেন। মাদক চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে তার নেয়া পদক্ষেপে ইতোমধ্যেই বহু সন্দেহভাজন অপরাধী নিহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী বারাক ওবামার প্রশাসনের সঙ্গে তার বিরোধ ছিল। ট্রাম্প পরিবারের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তির ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে, বিষয়টি কোন গোপন খবর নয়। এখন দুতের্তে একদিকে যেমন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার নীতি গ্রহণ করেছেন, তেমনি মাদক চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে তার সরকারের নির্মম দমানভিযান চলছে। জানুয়ারিতে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণ করলেও ফিলিপিনো সরকারের পক্ষে কঠোর অবস্থানে যাওয়া তার পক্ষে সহজ হবে না। কারণ তার ব্যবসায়িক পার্টনার ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত। কোন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে এমন জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়নি বলে সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল গ্রিন মন্তব্য করেছেন।
×