ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেনে পানি জমা

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

ব্রেনে পানি জমা

ব্রেনে পানি জমা এবং মাথা বড় হওয়াকে ইংরেজীতে বলে ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং। আমাদের ব্রেনের গভীরে ভেন্ট্রিকল নামে এক ধরনের খালি জায়গা আছে। যেখান থেকে ঈঝঋ বা পবৎবনৎড়ংঢ়রহধষ ভষঁরফ তৈরি হয়। একদিকে এই পানি যেমন তৈরি হয়, অন্যদিকে উহা রক্তে শোধিত হয়। যার ফলে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের মগজে ১৫০ মিলি ঈঝঋ থাকে। প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ মি. লি ঈঝঋ তৈরি হয়। বাকি অংশ রক্তে শোষিত হয়। কোন কারণে ঈঝঋ বা ঈবৎবনৎড়ংঢ়রহধষ ভষঁরফ চলার পথে যদি ঞঁসড়ৎ, রক্তক্ষরণ হয় বা জন্মগতভাবে রাস্তা বন্ধ হয় তখন (ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং) হয়। ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং এর প্রধান কারণ হলো (১) জন্মগতভাবে ঈঝঋ চধঃযধিু বন্ধ থাকা (২) টিউমার (৩) ব্রেনে রক্তক্ষরণ (৪) মেনিনজাইটিস বা ব্রেনের পর্দার প্রদাহ। জন্মগত বা ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং অনেক ক্ষেত্রে প্রতিরোধযোগ্য। প্রতিরোধগুলোর ব্যবস্থা হলো (১) ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিবাহ দেয়া বা না করা। (২) সাধারণত ঘবঁৎধষ ঃঁনব গর্ভ অবস্থার ৪ সপ্তাহের মধ্যে তৈরি হয়। ঘবঁৎধষ ঃঁনব থেকে ব্রেইন, স্পাইনাল কর্ড এবং স্পাইন তৈরি হয়। (৩) মায়ের ঋড়ষরপ ধপরফ নামক এক ধরনের ভিটামিনের অভাব হলে বাচ্চার ঘবঁৎধষ ঃঁনব ত্রুটিপূর্ণ হয়। ঘবঁৎধষ ঃঁনব এর ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ত্রুটিপূর্ণ হলে জন্মগত ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং ও মেরুদ-ের জন্মগত টিউমার হয়। ঐুফৎড়পবঢ়যধষঁং চেনার উপায় হলো বাচ্চার মাথা আস্তে আস্তে বড় হয়। শিশুটি ওৎৎরঃধনষব থাকে। তাছাড়া মেন্টাল রিটার্ডেশন থাকে, কোন সময় রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে এবং খিঁচুনি হয়। তাছাড়া রোগী মাথা ব্যথা, বমি, চেখে ঝাপসা দেখে। ঙপপরঢ়রঃড় ঋৎড়হঃধষ পরৎপঁসভবৎবহপব নরমালের চেয়ে বেশি থাকে। তাছাড়া রোগীর স্মৃতিশক্তি কমে আসে। হাঁটতে গেলে খসনধষধহপব হয়। ঈঞ ংপধহ ড়ভ নৎধরহ করলে ঈড়হভরৎস হওয়া যায়। চিকিৎসা হলো ঝঁৎমরপধষ (১) জঃ. ঝরফবফ াবহঃৎরপঁষড় ঢ়বৎরঃড়হবধষ ংযঁহঃ (২) ঊহফড়ংপড়ঢ়রপ ঃযরৎফ াবহঃৎরপঁষড়ংঃড়সু মেরুদ-ের জন্মগত ত্রুটি ও টিউমার মেডিক্যাল টার্মে মেরুদ-ের ত্রুটিকে ঝঢ়রহধষ ফুংৎধঢ়যুংস বলে। ঝঢ়রহধষ ফুংৎধঢ়যুংস আবার তিন প্রকারÑ ১. গুবষড়সবহরহমড়পবষ, ২. গবহরহমড়পবষ, ৩. ঝঢ়রহধ নরভরফধ ড়পপঁষঃধ. ব্রিটেনে প্রতি এক হাজারে দুইজনের এই ত্রুটি দেখা যায়। আমাদের দেশে জানামতে সুনির্দিষ্ট কোন জরিপ নেই। কারণ হিসেবে ঋড়ষরপ ধপরফ নামে এক ধরনের ভিটামিনের অভাব। তাছাড়া ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে বিবাহ উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া মা গর্ভের সময়ে যদি ঝড়ফরঁস াধষঢ়ৎঢ়ধঃব নামে খিঁচুনির ওষুধ খান তা হলেও সন্তানের এ রোগ হতে পারে। প্রতিরোধ : (১) কথায় বলে চৎবাবহঃরড়হ রং নবঃঃবৎ ঃযধহ পঁৎব। যদি মা বাচ্চা নেয়ার ৩ মাস আগে থেকে এবং গর্ভাবস্তায় ঞধন ভড়ষরংড়হ ১টা করে ২ বার খান তাহলে এই রোগের প্রকোপ অনেক কমে যাবে এ জন্য বাচ্চা নেয়ার আগে দম্পতির ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। (২) বাংলাদেশ ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব বা রক্তের সম্পর্কের বিবাহ প্রথা বেশি। ঈড়হংধহমঁরহড়ঁং সধৎৎরধমব কে নিরুৎসাহিত করলে এই রোগের প্রকোপসহ অনেক মবহবঃরপ ফরংবধংব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ডাঃ হারাধন দেব নাথ সহযোগী অধ্যাপক, নিউরো সার্জারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×