ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আরামবাগকে হারিয়ে শীর্ষেই ঢাকা আবাহনী

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

আরামবাগকে হারিয়ে শীর্ষেই ঢাকা আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম লেগে যা হয়েছিল, দ্বিতীয় লেগেও সেই একই ফলের পুনরাবৃত্তি করল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে। খেলার প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়ে ছিল ১-০ গোলে। লীগের প্রথম পর্বের মোকাবেলাতেও ২-০ গোলে আরামবাগকে হারিয়েছিল আবাহনী। নিজেদের সপ্তদশ ম্যাচে এটা আবাহনীর একাদশ জয়। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা ভালমতো ধরে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি। এ জয়ে অবস্থান আরও সুসংহত করল তারা। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা আরামবাগের চতুর্থ হার। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে সপ্তম স্থানে। এ জয়ে আবাহনী চলতি লীগে তাদের অপরাজিত থাকার কৃতিত্ব এখনও ধরে রেখেছে। টানা ছয় জয়ের পর ব্রাদার্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পয়েন্ট খুইয়েছিল আবাহনী। তবে সোমবার চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় জিতে আবারও জয়ের ধারায় ফিরল আবাহনী। ম্যাচের শুরুর দিকেই গোল করে এগিয়ে যেতে পারত আবাহনী। দলের নবাগত ইংলিশ ফরোয়ার্ড জোনাথন ডেভিড ক্রস দেন আরামবাগের বক্সে সতীর্থদের উদ্দেশে। কিন্তু আবাহনীর খেলোয়াড়রা বল বুঝে পাওয়ার আগেই তা বিপন্মুক্ত করেন আরামবাগের ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটেই আরও একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন আবাহনীর আরেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক। কিন্তু এবারও একইভাবে আরামবাগের ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় ব্যর্থ হয় আবাহনীর আক্রমণ। ১৬ মিনিটে আবাহনীর বক্সে বল পান আরামবাগের আবু সুফিয়ান সুফিল। কিন্তু মাথা ছোঁয়ালেও বল জালে না গিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৯ মিনিটে সফলতার মুখ দেখে ১১ বারের লীগ শিরোপাধারী আবাহনী। গত কয়েক ম্যাচ ধরে গোলখরায় ভোগা নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার পা থেকেই আসে প্রথম গোলটি। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে আরামবাগের বক্সে ঢুকে পড়েন আবাহনীর এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। চমৎকার এক ক্রস দেন বক্সের মধ্যে। সেটাকে দক্ষতার সঙ্গে গোলে পরিণত করেন সানডে। এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ৪৩ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আরামবাগের ক্যামেরুনিয়ান মিডফিল্ডার ইয়োকো স্যামনিক সতীর্থকে ক্রস দিলে আবাহনীর গোলরক্ষক দৌড়ে এসে বল আয়ত্তে নেন। তবে বল ছুটে যায় তার হাত থেকে। সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচে সমতা আসতে পারত। কিন্তু বলটা জালে পাঠাতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন আরামবাগের এক খেলোয়াড়। ফলে আবারও বল আয়ত্তে নিয়ে নেন আবাহনীর গোলরক্ষক। প্রথমার্ধ এগিয়ে থেকেই বিশ্রামে যায় ঢাকা আবাহনী। ৭১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সানডে। আরামবাগের বক্সে বলতে গেলে ফাঁকায় বল পেয়ে যান এই নাইজিরিয়ান। আরামবাগের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি (২-০)। চলতি লীগে এটি সানডের ব্যক্তিগত অষ্টাদশ গোল, যা এখনও চলতি লীগের সর্বোচ্চ। পরের মিনিটে লি টাকের দূরপাল্লার শট চলে যায় আরামাবাগের পোস্টের ওপর দিয়ে। ৭৫ মিনিটে সেন্টার করেছিলেন সানডে। তবে আরামবাগের গোলরক্ষক-অধিনায়ক মিতুল হাসান বল ধরে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফেরা হয়নি আরামবাগের। ফলে ২-০ গোলের জয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে জর্জ কোটানের আবাহনী আর ভগ্ন মনোরথে মাঠ ছাড়ে সাইফুল বারী টিটুর আরামবাগ।
×