ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হ্যামিল্টন টেস্ট

ম্যাচ বাঁচাতে পারবে কী পাকিস্তান?

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

ম্যাচ বাঁচাতে পারবে কী পাকিস্তান?

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হ্যামিল্টন টেস্টে জয়ের জন্য পাকিস্তানকে ৩৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কিউইরা। চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে আজহার আলিদের সংগ্রহ ১ রান। শেষ দিনে আজ আরও ৩৬৮ রান চাই অতিথিদের। জিততে হলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়ার নতুন রেকর্ড গড়তে হবে। সুতরাং তুখোড় পেস আক্রমণ সামলে দাঁতে দাঁত চেপে দিন পার করে কোনমতে ড্র করতে পারলে সেটিই হবে অনেক কিছু! ১-০তে পিছিয়ে থাকা সিরিজে অন্তত ‘হোয়াইটওয়াশ’ হতে হবে না! কিন্তু সফরে এ পর্যন্ত পাকিদের ব্যাটিংয়ের যা অবস্থা, সম্ভব কিনা, প্রশ্নটা থাকছেই। স্বাগতিকদের ২৭১ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান অলআউট হয় ২১৬ রানে। আর রস টেইলরের (১০২*) ম্যারাথন সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ৩১৩ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ক্যারিবীয়দের। ১৯৬৮-৬৯ সালে অকল্যান্ডে ৩৪৫ রান করে জিতেছিল গ্যারি সোবার্সের দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের অবশ্য সর্বোচ্চ ৩৭৭ রান তাড়া করে জয়ের নজির রয়েছে, তবে সেটি উপমহাদেশে। গত বছর পাল্লেকেলেতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এশিয়ার বাইরে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় পাকিস্তানের রেকর্ডটা ২৭৫ রানের। এই নিউজিল্যান্ডেরই বিপক্ষে, ওয়েলিংটনে। সেটি এক যুগ আগে ২০০৩-২০০৪ মৌসুমে। তবে ২২৫ আর শেষ দিনে ৩৬৮ এক নয়। সেøা-ওভার রেটের কারণে পাওয়া এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় এই ম্যাচে নেই নিয়মিত অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। যাচ্ছেতাই অবস্থা অভিজ্ঞ ইউনুস খানের। শেষ চার ইনিংসে তার রান ০, ২, ১ ও ২! সফরে আগের তিন ইনিংসে আজহার আলির দল অলআউট হয় ১৩৩, ১৭১ ও ২১৬ রানে। সুতরাং আজ শেষ দিনে ওভারপ্রতি চারের ওপরে রান তুলে ৩৬৮ করে ফেলবে, এমনটা বোধহয় পাকিস্তানের পাঁড় ভক্তও বিশ্বাস করতে চাইবে না! বাঁ চোখের ছানিজনিত সমস্যার কারণে এই টেস্টে খেলারই কথা ছিল না টেইলরের। ফর্মেও ছিলেন না। টানা এগারো ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি নেই। সেই তিনি প্রমাণ করলেন ‘ফর্ম ইজ টেম্পারারি, ট্যালেন্ট ইজ পার্মানেন্ট’। ১৩৪ বলে ১৬ চারের সাহায্যে খেললেন অপরাজিত ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৭৮ টেস্টে টেইলরের এটি ১৬ নম্বর সেঞ্চুরি। গ্রেট মার্টিন ক্রোর সঙ্গে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক সেঞ্চুরির আসনে বসতে আর মাত্র একটি তিন অঙ্কের ইনিংসই চাই ৩২ বছর বয়সী ডানহাতির। স্কোর ॥ নিউজিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ২৭১/১০ (৮৩.৪ ওভার; রাভাল ৫৫, লাথাম ০, উইলিয়ামসন ১৩, টেইলর ৩৭, নিকোলস ১৩, গ্র্যান্ডহোম ৩৭, ওয়াটলিং ৪৯*, স্যান্টনার ১৬, সাউদি ২৯, হেনরি ১৫, ওয়াগনার ১; আমির ২/৫৯, সোহেল ৪/৯৯, ইমরান ৩/৫২, ওয়াহাব ১/৫৭, আজহার ০/৪) ও দ্বিতীয় ইনিংস ৩১৩/৫ ডিক্লেঃ (৮৫.৩ ওভার; লাথাম ৮০, উইলিয়ামসন ৪২, টেইলর ১০২*, নিকোলস ২৬, গ্র্যান্ডহোম ৩২, ওয়াটলিং ১৫*; আমির ১/৮৬, ইমরান ৩/৭৬, ওয়াহাব ১/৫৩)। পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ২১৬/১০ (৬৭ ওভার; সামি ৫, আজহার ১, বাবর ৯০*, ইউনুস ২, শফিক ২৩, রিজওয়ান ০, সরফরাজ ৪১, সোহেল ৩৭, ওয়াহাব ০, আমির ৫, ইমরান ৬; সাউদি ৬/৮০, গ্র্যান্ডহোম ১/২৯, ওয়াগনার ৩/৫৯) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১/০ (৩ ওভার; সামি ১*, আজহার ০*) ** চতুর্থ দিন শেষে
×