ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

২ লাখ ১২ হাজার ৬১১ টাকা কর দিলেন অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২৯ নভেম্বর ২০১৬

২ লাখ ১২ হাজার ৬১১ টাকা কর দিলেন অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৬-১৭ করবর্ষে ২ লাখ ১২ হাজার ৬১১ টাকা কর দিয়েছেন। আগের বছর তিনি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৩ টাকা কর দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা দুই মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫০ টাকার সম্পদ বেড়েছে। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন। অনলাইনে এই বিবরণী দাখিল করেন। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অর্থমন্ত্রীর আয়ের পরিমাণ ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ৪২ টাকা। এ সময়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ৮৬ টাকা। এই হিসেবে ২০১৬-১৭ করবর্ষে (এ্যাসেসমেন্ট ইয়ার) ২ লাখ ১২ হাজার ৬১১ টাকা কর দিলেন অর্থমন্ত্রী। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তাঁর আয়ের পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ ৯৪ হাজার ৯৬৭ টাকা। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ছিল ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫১ হাজার ৫৬০ টাকা। সচিবালয়ে অনলাইনে সম্পদ বিবরণী দাখিলের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীদের স্বচ্ছভাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় করবেন কি না, তা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রথমবার বলেছিলাম, কেউ সাড়া দিচ্ছে না।ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতাদের ২০১৬-১৭ করবর্ষের আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নবেম্বর। বছর বছর জনসম্মুখে সম্পদের হিসাব দিয়ে আসা অর্থমন্ত্রী এক প্রশ্নে বলেন, সম্পদ ও আয়কর ইত্যাদি খুবই ব্যক্তিগত বিষয়। কেউ চাইলে তা নিজে প্রকাশ করতে পারেন। আমি কাউকে আহ্বান করতে পারি না। ট্যাক্স আইন অনুসারেও পারি না। মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেন। প্রয়োজন মনে করলে কেউ সেখান থেকে মন্ত্রীদের সম্পদের হিসাব চাইতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে সেটা প্রকাশ করবেন। অনলাইনে বিবরণী দাখিল অনেক সহজ কাজ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এখানে আমার তথ্যগুলো আমাকে দিতে হবে। বাকি কাজ সফটওয়ার নিজে থেকেই করে নেয়। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়াই ঋণ দেয়ার একটা ঘটনা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে জববে মন্ত্রী বলেন, আমরা এগুলোর বিরুদ্ধে খুবই স্ট্রিক্ট। অনেক সময় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে যারা থাকেন, তাদের পরিচিতরা এই ধরনের ঋণ পেয়ে থাকে। এ জন্য আমরা রাজনৈতিক নিয়োগের পরিবর্তে দক্ষ লোকজনকে নিয়োগ দিচ্ছি। এর মধ্যেও যে ব্যাড হেড চলে আসে না, তা নয়। চলমান অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের হার সম্পর্কে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেন, রাজস্ব আদায়ের হার উর্ধমুখী। প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৭ শতাংশ। আয়কর, শুল্ক, ভ্যাট তিন বিভাগেই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।
×