নিজস্ব সংবাদদাতা, সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম, ২৮ নবেম্বর ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) আধিপত্য নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক সোমবার বিকেলে উপজেলার সলিমপুর ফৌজদারহাট ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন কালুশাহ নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য হোস্টেল ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফৌজদারহাট কালুশাহ নগর ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে হোস্টেল ও ভর্তি বাণিজ্যের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের পুরনো ও নতুন কমিটির মধ্যে অন্তকোন্দল চলে আসছিল। সোমবার বিকেলে সাবেক ছাত্রলীগের কমিটির ফরহাদ ও ইয়াসিন গ্রুপের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির সাব্বির ও আহসান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের এক পর্র্যায়ে ছাত্রলীগের ১৫ জন আহত হয়। আহতবস্থায় উদ্ধার করে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহতরা হলো- মিঠুন, পারভেজ, রাম প্রসাদ, কবির, রিয়াল, রিফাত, অন্তর, সুজন, মাসুদ, ফারজিন, রিয়াদ, সুজন, সাব্বির ও আহসান। আহতদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার পরপর ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও ক্যাম্পাসের অবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য সীতাকু- থানার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেলে দিকে কর্তৃপক্ষ জরুরী সভা ডেকে ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম ও হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সন্ধ্যার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ প্রদান করেন।
লৌহজং নদী দখলমুক্ত আজ শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৮ নবেম্বর ॥ দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। লৌহজং নদী দখলমুক্ত করার কাজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে। টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদীটি অবৈধ দখলদারদের কবলে ক্রমেই অবয়ব হারিয়ে সরু খালে পরিণত হয়ছে। জেলা প্রশাসক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল শ্রেণীপেশার মানুষ নদী রক্ষায় আন্দোলন করছে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে নদী-খাল-বিল-জলাশয় রক্ষা করার। ঐতিহ্যবাহী লৌহজং নদী এখন মরা খাল। এক সময় খরস্রোতা থাকলেও বর্তমানে অবৈধ দখলদার ও ভূমিদস্যুর কবলে এটি খালে পরিণত হয়েছে। এক সময় টাঙ্গাইল শহরের পাশেই ছিল নৌবন্দর। দেশ-বিদেশ থেকে লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ ও বড় বড় নৌকায় পণ্য আসত এই বন্দরে। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল নদীতে। এখন বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়, এক সময় এই নদী দিয়েই চলত এসব। দীর্ঘদিন যাবৎ ড্রেজিং না করায় আর নদীর দু’পাশে অবৈধভাবে বাসাবাড়ি তৈরি করায় বর্তমানে এটি মরা খালে পরিণত হয়েছে। ভূমিদস্যুরা ক্রমেই নদীর দু’পাশে মাটি ভরাট করে গড়ে তুলেছে বাড়িঘর, দালানকোঠা।
সরকারীভাবে নদীটি ১৮০ থেকে ২শ’ ফুট চওড়া থাকলেও বর্তমানে এর বেশিরভাগ এলাকাতেই রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ফুট। ফলে নদী স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে। শহর ও বাসাবাড়ির বর্জ্য নদীর পানিতে গিয়ে আটকা পড়ে দূষিত হয়ে বিষাক্ত পানিতে পরিণত হচ্ছে। নদীর পানি কোন কাজেই ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।