সিরিয়ার আলেপ্পো শহর এখন আসাদের অনুগত সরকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এই নগরী এক সময় দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল ছিল। ২০১২ সালে এটি বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে চলে যায়। পূর্ব আলেপ্পোয় ঢোকার পর সরকারী বাহিনী বেসামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ অব্যাহত রাখায় ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটের মুখে দাড়িয়ে এখন পূর্ব আলেপ্পো। বিদ্রোহ মোকাবেলায় পূর্ব আলেপ্পো পুনর্দখলকে একটি বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে আসাদ বাহিনী। আলেপ্পোর মাসাকিন হানানো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার একদিন পর আসাদ বাহিনী জাবাল বাদরো এলাকার দখল নিয়েছে।
তারা এখন সড়ক পথে পার্শবর্তী এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। লক্ষ্য পূর্ব আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকা দ্বিখ-িত করা। পূর্ব আলেপ্পোর লোকসংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৭৫ হাজার। তাদের খাদ্য ও ওষুধ ফুরিয়ে এসেছে। সেখান থেকে সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে টুইট বার্তায় লিখেছে, ‘শেষ বার্তা-এখন প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ চলছে। যদি আমরা মারা যাই তবে শহরের বাকি দু’লাখ লোককে সাহায্য করার চেষ্টা করো। বিদায়। ফাতেমাহ। টুইটারে তার ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক হাজার। আসাদ বাহিনী এখন নিকটবর্তী সাখুর অঞ্চলকে টার্গেট করে অগ্রসর হচ্ছে। ওই এলাকাটির দখল নিতে পারলে তারা বিদ্রোহীর নিয়ন্ত্রিত এলাকার করিডোরের পাঁচশ’ মিটারের মধ্যে চলে আসবে। কুর্দি বাহিনীর সহায়তায় আসাদ বাহিনী রবিবার পূর্ব আলেপ্পোয় যৌথ অভিযান শুরু করেছে। এর ফলে সরকারী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বিভক্ত শহরটিতে অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন ওয়া লোকের সংখ্যা বাড়ছে। প্রাণ বাঁচাতে সাধারণ লোকজনকে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। হানানো ছাড়াও গত ১৩ দিনের অভিযানে ছোট খাট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আসাদ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই অভিযানে আসাদ বাহিনীর পাশাপাশি ইরান, ইরাক ও লেবাননের শিয়া মিলিশিয়ারা অংশ নিয়েছে। এছাড়া রুশ সামরিক বাহিনীর সহায়তাও পাচ্ছে আসাদ বাহিনী। আগস্ট থেকে আলোপ্পোর এই অংশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে সরকারী বাহিনী। ফলে শহরটিতে মজুত খাদ্যের পরিমাণ আশঙ্কাজনকভাবে কমে এসেছে। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ বিষয়ে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে। -ওয়েবসাইট