ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ০০:০৯, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন

জোবাইর চৌধুরী, নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী ॥ শীত শুরু হলে সুস্বাদু সবজির স্বাদ গ্রহণে ধুম লেগে যায় গ্রামে গঞ্জে। গ্রামের প্রতিটি পরিবারে শীতকালীন সবজির কদরও বেশি। সেই সাথে গ্রামের কৃষকরা ভোরের কুয়াশাকে ভেদ করে জমিতে ফলাচ্ছে শীতকালীন সবজি। উৎপাদিত হচ্ছে প্রতিদিন আশানুরূপ বিভিন্ন জাতের সবজি। এবার বাঁশখালীসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত উপজেলায় শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষক পরিবারে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। তবে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলন হলেও বাজারে চড়া দামের কারণে মধ্যবিত্ত ও গরীব পরিবারের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। এদিকে সোমবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন শেষে শীতকালীন সবজির বিভিন্ন রকমের দামের তারতম্য পাওয়া যায়। যেমন : টমেটো ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, মূলা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা এবং ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তবে পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতারা আরো কম দামে ক্রয় করলেও হাত বদলের সাথে সাথে এসব সবজির দাম বাড়তে থাকে বলে সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগ। বাঁশখালী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার বাঁশখালীতে ১৩০ হেক্টর জমিতে টমেটো, ১৩ হেক্টর জমিতে বাঁধা কপি, ২১০ হেক্টর জমিতে বেগুন, ১২ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, ৭৫ হেক্টর জমিতে মূলা, ৪৫ হেক্টর জমিতে মূলা শাক, ২২ হেক্টর জমিতে লাল শাক, ৩৫ হেক্টর জমিতে বরবটি, ২৫০ হেক্টর জমিতে দেশী শিম, ১৫ হেক্টর জমিতে ফরাস শিম, ৫০ হেক্টর জমিতে লাউ এবং ২৫ হেক্টর জমিতে তীত করলা আবাদ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও ৯০ হেক্টর জমিতে গোল আলু, ৩৫ হেক্টর জমিতে মরিচ এবং ৬০ হেক্টর জমিতে শসা চাষ হয়েছে। যা এখনো চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছে। শীতকালীন সবজি উৎপাদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জনকন্ঠকে জানান, এবার বাঁশখালীতে প্রচুর পরিমাণ শীতকালীন সবজি উৎপাদিত হয়েছে এবং আরো কিছু উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। চট্টগ্রামের অধিকাংশ সবজির চাহিদা যোগান দেয় বাঁশখালীর বিভিন্ন গ্রাম হতে। বাঁশখালীর চাষীরা সবজি চাষ থেকে শুরু করে নানাভাবে সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে আরো বেশী উৎপাদন ও লাভবান হতে পারবে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। তাছাড়া এ ব্যাপারে সরকারের মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপের মাধ্যমে কি করা যায় তাও খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।
×