ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এএইচএফ কাপ হকি, এশিয়া কাপের মূলপর্বে খেলার ছাড়পত্র জিমি-চয়নদের, আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা বাংলাদেশের ;###;আশরাফুল, বাংলাদেশ ৩-০ শ্রীলঙ্কা

বাংলাদেশ অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কাকে সহজেই ৩-০ গোলে হারিয়ে এএইচএফ কাপ হকিতে (এশিয়ান হকি ফেডারেশন) অপরাজিত হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার বিকেলে হংকংয়ের কিংস পার্ক হকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন জুবায়ের হাসান, আশরাফুল ইসলাম ও এএইচএম কামরুজ্জামান। এর আগে ২০০৮ সালে সিঙ্গাপুর ও ২০১২ সালে থাইল্যান্ডেও এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবারের জয়ে তাই ঐতিহাসিক হ্যাটট্রিক ট্রফি জেতা হয়ে গেল লাল-সবুজের দেশের। অসাধারণ এই সাফল্যে বাংলাদেশ আগামী বছরের এশিয়া কাপের টিকেটও নিশ্চিত করেছে। টুর্নামেন্টটি ঢাকায় হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। লঙ্কানদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। আগের চার ম্যাচে তাদের হারানোর সুখস্মৃতি ছিল। সেই সঙ্গে ছিল লঙ্কানদের ম্যাচ খেলার দুর্বলতা। কারণ শ্রীলঙ্কাকে গতকালই দু’টি ম্যাচ খেলতে হয়। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় সেমিতে খেলার পর বিকেলেই ফাইনালে নামতে হয় তাদের। এজন্য কিছুটা হলেও কাহিল ছিলেন লঙ্কান খেলোয়াড়রা। শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশের হার মাত্র একটিতে। সেটি ২০০৬ কলম্বো সাফ গেমসে ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। ওই ম্যাচে লঙ্কানদের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এরপর আর কোনবারই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি দ্বীপদেশটি। এবারের এশিয়ান হকি ফেডারেশনের ফাইনালেও পাত্তা পায়নি হেরাথ বান্ডারার দল। অবশ্য ম্যাচের শুরুর দিকে ভালই প্রতিরোধ গড়েছিল ডি সিলভা বাহিনী। জিমি-চয়নদের সঙ্গে সমানতালে খেলতে থাকেন তারা। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধ ভেঙ্গে যায় লঙ্কানদের। ২২ মিনিটে জুবায়ের হোসেনের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়রা। আসরে এটি জুবায়েরের দ্বিতীয় গোল। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় কুর্টজ অলিভারের দল। বিরতির পর ৬১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আশরাফুল। পেনাল্টি কর্নার থেকে লক্ষ্যভেদ করেন ম্যাকাওয়ের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা এই তরুণ। এ নিয়ে টুর্নামেন্টে আশরাফুলের গোল ৯টি। যা আসরের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। দলগতভাবেও সর্বোচ্চ গোল বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশের গোল ৩২টি। ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন কামরুজ্জামান। ‘এ’ পুলে স্বাগতিক হংকংকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর একই ব্যবধানে চাইনিজ তাইপেকে পরাজিত করে। আশরাফুল ইসলামের হ্যাটট্রিকে ১৩-০ ব্যবধানে ম্যাকাওকে উড়িয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। এরপর ‘বি’ পুলের রানার্সআপ সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে আসে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই হংকং উড়াল দেয় বাংলাদেশ। দলনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমিসহ সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন। অবশেষে প্রত্যাশা পূরণ হওয়ায় বেজায় খুশি খেলোয়াড়রা। লঙ্কানদের হারানোর পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা মাঠে উল্লাসে ফেটে পড়েন। সর্বোচ্চ ৩২ গোল করার পাশাপাশি সবচেয়ে কম চার গোল খেয়েছে বাংলাদেশ। আশরাফুলের সর্বোচ্চ ৯ গোল ছাড়াও চারটি করে গোল করেছেন জিমি, পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন ও রোমান সরকার। তিনটি গোল করেন সারোয়ার হোসেন।
×