ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে দুইয়ে সেভিয়া, পেনাল্টি মিসের খেসারত গিজনের, রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ স্পোর্টিং গিজন, সেভিয়া ২-১ ভ্যালেন্সিয়া

রোনাল্ডোর জোড়া গোলে জয় রিয়ালের

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ২৮ নভেম্বর ২০১৬

রোনাল্ডোর জোড়া গোলে জয় রিয়ালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাময়িক ছন্দপতন কাটিয়ে আবারও স্বরূপে ফিরেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। স্প্যানিশ লা লিগায় সবশেষ দুই ম্যাচে পাঁচ গোল করে এ প্রমাণ রেখেছেন রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগীজ সুপারস্টার। ১৯ নবেম্বর নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে চোখধাঁধানো হ্যাটট্রিক করার পর শনিবার রাতেও জ্বলে ওঠেন সি আর সেভেন। তার করা জোড়া গোলে ভর করেই লা লিগায় ঘরের মাঠে স্পোর্টিং গিজনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদ। এজন্য অতিথিদের ধন্যবাদ দিতেই পারে স্বাগতিকরা। তারা যদি পেনাল্টির সুযোগ মিস না করত তাহলে হয়ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হতো রিয়ালকে। এই জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আরেকধাপ এগিয়ে গেল জিনেদিন জিদানের দল। পরশুর আরেক ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে বার্সিলোনাকে টপকে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে সেভিয়া। অবশ্য রবিবার রাতে নিজেদের ম্যাচে ড্র বা জয় পেলে আবারও দুই নম্বরে উঠে আসবে বার্সা। আরেক ম্যাচে এস্পানিওল ৩-০ গোলে হারায় লেগানেসকে। গোলবন্যার মালাগা ও ডিপোর্টিভো লা করুনার মধ্যকার ম্যাচে মালাগা জয় পায় ৪-৩ গোলে। বর্তমানে ১৩ ম্যাচ শেষে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে রিয়াল। দুইয়ে থাকা সেভিয়ার পয়েন্ট ২৭। তিন নম্বরে থাকা বার্সার পয়েন্ট ২৬। ২২ পয়েন্ট নিয়ে গোলগড়ে চার ও পাঁচে যথাক্রমে ভিয়ারিয়াল ও রিয়াল সোসিয়েডাড। সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরু থেকেই গিজনের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে রিয়াল। তবে থেমে থাকেনি অতিথিরাও। পাল্টা আক্রমণে যায় তারা। যে কারণে ম্যাচ জমজমাট হয়ে ওঠে। পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। গিজন ডিফেন্ডার সার্জিও আলভারেজ ডি বক্সের মধ্যে লুকাস ভাজকুয়েজকে ফাউল করলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন স্প্যানিশ রেফারি আলেজান্দ্রো হার্নান্দেজ। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি রোনাল্ডো। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে সময় বেশি নেয়নি জিদানের দল। ১৮ মিনিটে নাচোর ক্রস থেকে রোনাল্ডো দুর্দান্ত হেডে লক্ষ্যভেদ করেন। কোন সুযোগই পাননি গিজন গোলরক্ষক দিয়াগো মারিনো। বিরতির আগে রোনাল্ডো আরও কয়েকটি সুযোগ নষ্ট না করলে মাদ্রিদের হয়ে ৪০তম হ্যাটট্রিক পেয়ে যেতেন। উল্টো ৩৫ মিনিটে লুকা মডরিচের ভুল পাস থেকে বামদিক থেকে ইসমা লোপেজের ক্রস কারমোনা শান্ত মাথায় রিয়ালের জালে পাঠিয়ে দেন। ২-১ ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় রিয়াল। পরের ম্যাচ সামনে রেখে অধিনায়ক সার্জিও রামোসকে ৭২ মিনিটে উঠিয়ে নেন রিয়াল কোচ। রামোসের অনুপস্থিতিতে নাচো সেন্ট্রাল ডিফেন্সে নেমে আসেন। এর পরপরই স্পোর্টিংয়ের বদলি খেলোয়াড় ভিক্টর রড্রিগুয়েজকে ডি বক্সের মধ্যে নাচো ফাউল করলে পেনাল্টি পায় গিজন। কিন্তু কপ স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলে হতাশ হতে হয় অতিথিদের। ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পর আর গোলের দেখা পায়নি তারা। যে কারণে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল। এ নিয়ে সবধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৩১ ম্যাচ জয় ধরে রাখলো গ্যালাক্টিকোরা। ম্যাচ শেষে রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান বলেন, ম্যাচটা আমরা ভুলে যেতে চাই। কারণ যেভাবে করতে চেয়েছি তার কিছুই হয়নি। সবকিছুতেই আমরা পিছিয়ে ছিলাম। তারপরও তিন পয়েন্ট তুলে নিতে পেরে আমরা খুশি। কারণ এটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে জুভেন্টাসের কাছে ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেভিয়া। কিন্তু রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র দুই পয়েন্ট দূরে থাকা ভ্যালেন্সিয়াকে কোন সুযোগই তারা দেয়নি। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ভিটোলোর ক্রস থেকে ইজিকুয়েল গারে আত্মঘাতী গোলে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন। বদলি খেলোয়াড় মুনির আল হাত্তাদি দারুণ দক্ষতায় সফরকারীদের সমতায় ফেরান। ৭৫ মিনিটে নিকো পারেজার গোলে সেভিয়া পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
×